জীবনের প্রেরণা মা
ছোটবেলায় সফল নারী পুরুষ অনেকেই ছিল প্রেরণা...
এমনকি পাশের বাড়ির ডলি কাকিমা, যে কিনা
নিজের ছোট বাচ্চাকে কাজের লোকের ভরসায় রেখে
পরিপাটি হয়ে চাকরি করতে যেতেন ......
ভাবতাম উনিও বুঝি আমার প্রেরণা হতে পারেন।
শুধু প্রেরণার তালিকায় বাদ ছিল মায়ের নাম।
ঘর্মাক্ত শাড়িতে সবার জন্য মা খেটে চলত অবিরাম।
কাজে একটু এদিক ওদিক হলেই বাবা বলত,
--বাড়িতে বসে কি করো কি সারাদিন?
আমিও তখন ভাবতাম, মা একেবারে কেরিয়ার বিহীন!
আজ দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত....
আমি নিজেও আজ সংসারের জোয়াল টানতে ক্লান্ত।
চাকরি আমি করি, এটুকুই যা তফাৎ মায়ের সাথে।
কথা হয় এখন মায়ের ছবির সাথে, প্রতি রাতে।
সংসার যে কি বিষম বস্তু টের পাই হাড়ে হাড়ে,
ছেড়ে যেতে গেলে আটকে দেয় পিছুটান বারে বারে।
এর চেয়ে শুধু নিজেরটা বোঝা ভালো স্বার্থপরের মতো
যেমনটা পাশের বাড়ির ডলি কাকিমা করতো।
কিন্তু ওই... সন্তানের হাসি মুখ দেখা যেন স্বর্গ সুখ,
সে আমি তার প্রেরণা হই না হই, তাতে নেই কোনো দুখ্।
ক্লান্ত আমি মাঝে মাঝে ভাবি, নিয়ে নিই স্বেচ্ছা নির্বাসন,
আবার মায়ের কথা মনে করে শক্ত করি মন।
মায়ের ছবির দিকে চেয়ে মনে মনে বলি,
তুমিই আমার প্রেরণা, তোমাকে আদর্শ করেই চলি।