আমার বসন্ত
স্বপ্নে দেখলাম, সেদিন তুমি আমায় নাম ধরে ডাকছ__অস্ফুটে,কানে কানে,প্রায় অবোধ্য স্বরে।
তোমার গলা শুনে ঘুমের ঘোরেই আঁকড়ে ধরেছিলাম
আমার দুরন্ত অস্থিরতাকে;
আর কান পেতে নিঃশব্দে শুনছিলাম
তোমার ভালবাসার গান।
সমস্ত আলোড়ন ও নিঃসঙ্গতার মধ্যেই
সেদিন শুনতে পেয়েছিলাম
কোকিলের মিষ্টি সুরে কবিতার সূচনা।
আহ্লাদে যেন বসন্তে রূপান্তরিত হয়েছিলাম আমি। পলাশ খুঁজতে খুঁজতে অতিক্রম করেছিলাম
জীবনের আঁকাবাঁকা মেঠোপথ।
আর এক ছুটে পৌঁছে গিয়েছিলাম
অতীতের স্মৃতিমুখর দিনে।
সেদিনের সেই বসন্ত ছিল
কোকিলের কুহু সুরে মেতে ওঠা প্রেমিক প্রেমিকা;
আবির রাঙানো পলাশ শিমুলের মেলায়
দেখেছিলাম বেহিসেবী আবেগ
উদ্ধত স্পর্ধার মত সে টেনেছিল তোমার কাছে।
তারপর? তারপর রঙিন মোড়কে মোড়া দিন
ন্যায়_অন্যায়, চাওয়া_পাওয়া সব
হেঁটেছিল একসাথে, পাশাপাশি
প্রথম ফাগুন হয়েছিল মিলনের ক্ষণ।
আর আজ?
ফাগুনের শেষ বেলায় এসে নিজেকে প্রশ্ন করি,
আমাদের কী সবই গেছে?
মনের গভীরে ঘুমিয়ে থাকা আলিঙ্গনের স্ফুলিঙ্গকে
ছুঁতে যাই, নাড়া দিই সমূলে
আর অনুভব করি,
ধূলিময় আস্তরণের নীচে সুখস্মৃতি ছেয়ে আছে
সমস্ত হৃদয়ের আঙিনা জুড়ে।
তাই, প্রতি বসন্তেই আমি থাকি অপেক্ষারত
কারণ জানি,
প্রেম পিয়াসী তুমিও বারে বারে প্রেমিক হবে
শুধু সেদিনের সেই বাসন্তিক স্মৃতিকে
ফিরে পাওয়ার প্রতীক্ষায়!
