কাগজ কুড়ানী
রাতের আঁধারে ময়লার ঘরে
হাতরাতে হাতরাতে।
মনে মনে ভাবে যদি পাই চাবি
রূপকথার সিন্দুকের।
কত কত টাকা কত সোনাদানা
নানারূপ কারিগরি।
সাজবো সাজাবো পেটভরে খাবো
চড়বে ভাতের হাঁড়ি।
ভাবতে ভাবতে পুটলিটা হাতে
যেইনা স্পর্শ করে
বুকের ভেতর ধুকপুকানির
মাত্রা ততই বাড়ে।
কি ভরা আছে এই পুটলিতে
বোম ভরা আছে নাকি!
ফাটলো বুঝি সশব্দে সেটা
আমার উরে যাওয়া বাকি।
মিথ্যা আশঙ্কা বুক থেকে ঝেরে
পুটলিটা হাতে তুলে,
নিরিক্ষের পর নিরিক্ষ করে সে
পুটলিটা ফেলে খুলে।
অবাক চোখে অপলক চেয়ে
ভাবে সে মনে মনে,
কার এইসব কে গেল ফেলে
কাকে খুঁজি কোনখানে ।
সবাই সমান হয়না কখনও
লোভ সামলানো দায়।
দেখেই বলবে আমার আমার
কেমনে ফেললাম হায়!
তার থেকে ভালো পুটলিটা নিয়ে
জমা করি পুলিশে গিয়ে,
যা করার তারা করবে বিচার
ফেরাবে প্রমান নিয়ে।
পুটলি হাতে সোজা পৌঁছায়
যেথা পুলিশের ডেরা
সব কথা বলে পুটলিটা দিয়ে
কুড়ানির ঘরে ফেরা।
ঘরেতে ঢুকে বলে সব কথা
স্বস্তির শ্বাস ছাড়ে।
এমন সময় পুলিশের গাড়ি
এসে পৌঁছায় দ্বারে
বলে ব্রেভো ব্রেভো চিৎকার করে
সেলাম জানায় তারে।
ফুলের মালা আর উপহারে
হাত দুইখান ভরে।
তোমার মতো মানুষ এইক্ষনে
মেলা বড়ো দুস্কর
এমন ভাবে সৎ থেকে তুমি
চালাও সুখের ঘর।
--বুলু পাল।