মনে রেখো
তোমাকে বলার কিছু নেই
দেবার জন্য রিক্ত কর ।
তিক্ততা, তর্ক, অভিমান সবকিছু একদিন মিথ্যে হয়ে দাঁড়ায়
তখনও তোমাকে আমার কিছুই দেওয়ার থাকে না।
অনতিদূরে তুমি মাপা পায়ে পদক্ষেপ ফেল
আঁকতে চেষ্টা করো ফেলে আসা অতীত
তখনও শূন্যতা ছাড়া আর কি পাও!
ফেলে রাখা ওড়নার জরি
ফেলে রাখা পকেটে হাত
ফেলে রাখা সাইকেলের ক্যারিয়ার
ফেলে রাখা সন্ধ্যার ফিরতি পথের ছোঁয়া।
জানো তো সবই একসময় পড়ে রয়ে যায়
আমাদের সেই ভূতের ছায়া দেখা খনিকের আতঙ্কের মতো
সেই খেলনাবাটির ফেলে আসা খোলামকুচির মিষ্টির মতো।
এখন আয়নার সামনে নিজেকে ধরলে কি পাও
কেবলই নিজেকে !
নাকি শক্ত বলিরেখার ভাঁজে ফেলে রাখা নরম যৌবনকে।
কেটে যায় এমন করেই আমাদের দেহাতি যাপন
রথ যায়, পুজো আসে, পুজো যায়, পৌষ আসে
একের পর এক যাওয়া আসার স্রোতে
আমরা কেবল খড়কুটোর মতো ভেসে যায় স্রোতের দিকে
পিছনে ফিরে আসার উপায়টুকু নেই।
তাই তুমি চলে গেছো যে পথ দিয়ে
সাইকেলের আওয়াজ, পারফিউম, সদ্য গোঁফদাড়ি সব গেছে
এখন আর আমার বলার কিচ্ছু নেই
দেবার হাতও রিক্ত!
শুধু এটুকুই বলতে পারি
রোজ সূর্যের দিকে তাকিয়ে একটা দিন বেড়ে গেল
আর আমাদের মুহূর্ত যাপন কমে গেল এটাই ভেবে নিয়ো।
একদিন নীলকন্ঠ পাখি কুলায় ফেরার পথে
তোমায় একটা চিরকুট দেবে
তাতে আমার কোন নালিশ থাকবে না
শুধু লেখা থাকবে, মনে রেখো আমায়
যতদিন রক্ত ছুটবে মনে রেখো আমায়
যতদিন স্মৃতিভ্রষ্ট না হচ্ছে মনে রেখো আমায়
মনে রেখো ......শুধু মনে রেখো।
তোমাকে তো বলার কিছুই নেই, আর দেবার হাতও.....