বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

চিরন্তন



নদীর কিনারায় বসে ভাবতে থাকি ফেলে আসা সময়, 

খরস্রোতা নদী পাক খেয়ে খেয়ে মোহনার দিকে ছোটে  

পাহাড়ের মায়া কাটিয়ে, আবার সাগরের মায়ায় লীন হয় 

মায়ার বন্ধন ছিন্ন হতেই, কেন মায়া কাননে ফুল ফোটে? 


জীবনের হলদে পাতায় কোন কিছুই হলো নাতো সঞ্চয়। 

স্ত্রীপুত্রকন্যা সকলেইতো মায়ার বাঁধনে বেঁধেছিল আমাকে 

কীসের অভিমানে আজ নদী কিনারে সব তুচ্ছ মনে হয়? 

তবুও অমোঘ আকর্ষণে বারেবারে পেছনে কে যেন ডাকে! 


ভেতরে ভেতরে যুদ্ধ শুরু হয়, কেউ নেই কোথা কিছু নেই 

এসো এসো ঝাঁপিয়ে পড়, ঢেউয়ে মিশে সাগরে বিলীন হই 

পায়ে কেউ কী বেঁধে দিয়েছে অদৃশ্য শৃঙ্খল কোন ঊষাতেই?  

রাতের আকাশের ধ্রুবতারার মতো হাজার প্রশ্নে জেগে রই! 


চারিদিকে রব ওঠে, সব আমার, তবুও কিছুতে নেই অধিকার 

নিঃশ্বাস বায়ূ যতক্ষণ, মায়ার বন্ধন সেই সময়ের নিগঢ়ে বাঁধা 

পরম সত্য জেনেও হৃদয় গহীনে সৃষ্ট যে কত উপন্যাসিকার 

সকালে মায়ায় জড়িয়ে ছিল যে, সেই করে খাটিয়ায় বাঁধাছাঁদা  


এ জগৎ সংসারে যারা আপনজন বা নিজের বলে করি প্রচার 

তাই কী মায়া? নাকি এর কোথাও সত্যিই আছে কোন বন্ধন? 

কে বলতে পারে মায়ায় নাকি সাময়িক বেঁচে থাকার আধার!  

বাউলের একতারার সুরে সেই চিরন্তন সত্যিই করে ক্রন্দন।

পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু