বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

এদিক ওদিকের তুষারপাত

          আর্য তার মা বাবার সঙ্গে এসেছে জম্পুই পাহাড়ে বেড়াতে। আজ জম্পুই পাহাড়ের অরেঞ্জ ফেস্টিভ্যাল দেখতে যাওয়ার কথা। প্রচন্ড শীত। সকাল থেকে তুষারপাত আর প্রবল শৈত্য প্রবাহের দাপটে হাত,পা,নাকের ডগা, সব, ঠাণ্ডায় কেমন শিথিল হয়ে আছে আর্যর। বাবাকে বলে এক্ষুনি ফায়ার প্লেসের সাথে রুম হিটার না চালালেই নয়।

           রুম সার্ভিসে অর্ডার করা ফুলকপি ভাজার গন্ধে সারা ঘর মম করছে। সাথে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে মায়ের গুন গুন করে গান ভেসে আসছে। এমন দিনে কোথাও না বেরোতে পারলে, ঘরে থেকে লেপের নিচে হাঁটু মুড়ে বসে সবাই মিলে একসাথে মজা করে পাহাড়ি শাকসবজির নানা রকমের পকোড়া, মম খেতেও যথেষ্ট ভালো লাগে!

       ‌ তবু পায়ে মোজা, মাথায় মাঙ্কি টুপি পুলোভারের উপর ফারওয়ালা জেকেট হাতে দস্তানা পরে আস্তে আস্তে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ায় আর্য। পর্দা সরিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে পেঁজা তুলোর মত তুষারপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকে। দেখতে দেখতে কৌতুহলী হয়ে জানালাটা একটু ফাঁক করতেই সশব্দে একগুচ্ছ তুষার উড়ে এসে তার চোখে মুখের উপর পড়লো। কান ঝালাপালা করা শব্দের সঙ্গে উড়ে আসা তুষার লাগতেই ঠান্ডায় চোখে মুখে একবারে কাঁটা ফুটে উঠলো যেনো।

              একটু ধাতস্থ হতেই বুঝতে পারলো, মা এতো সময় ধরে স্কুলে যাওয়ার জন্য ডাকাডাকি হাঁকাহাঁকি করছিলো। এবার ভাজা ফুলকপির পরোটা টিফিন বক্সে ভরতে এসে, তখনো লেপের নিচে শুয়ে স্বপ্ন দেখছে দেখে ঘুম ভাঙাতে চোখে মুখে ঠান্ডা জলের ছিটে দিয়ে শৈলশহর থেকে একেবারে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে চলে এসেছে। 😃

DCR


পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু