বিজয়িনী
#বিজয়িনী
#সরজিৎ_ঘোষ
অফিস থেকে বেরোতে একটু লেটই হয়ে গিয়েছিল সেদিন।তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে হবে।কারণ বাড়ি ফিরে একটা বিয়েবাড়ির ইনভাইটেশনে যেতে হবে।নিউটাউন থেকে গড়িয়া বেশ অনেকটা রাস্তা।সন্ধ্যের টাইমটায় জ্যামটা একটু বেশিই থাকে।যাওয়া আসার জন্য মাঝে মাঝে আমি ওলা বাইক বা রাপিডো ইউস করি।সেদিন নিউটাউন থেকে গড়িয়া আসার জন্য ওলা বাইক বুক করেছিলাম,রাইডার এর নাম টা প্রথমে লক্ষ্য করিনি।তারপর মোবাইলে একটা কল আসে, ট্রু কলারে নামটা ভেসে ওঠে স্ক্রিনে..সৃজা রায়।ফোন রিসিভ করতেই মহিলা কন্ঠস্বর।গাড়ির নম্বরটা যখন বললেন তখন একটু হকচকিয়ে গেছি। রাইডার নাকি মহিলা?এর আগেও ওলা বাইক বুক করেছি, আগে কখনো এমনটা হয়নি।কিছুক্ষণ পর যখন বাইকটা এসে আমার সামনে থামে দেখি সত্যিই তাই।বাইকে ওঠার আগে একটু ইতস্তত করছি। আমার ইতস্তত করা দেখে উনি সটান বলে দিলেন..
"অসুবিধা থাকলে বলতে পারেন, আমি ক্যানসেল করে দিচ্ছি,নো প্রবলেম।"
মনে মনে ভাবি প্রবলেম কিসের।আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এমনটা দেখব এটাই স্বাভাবিক।মেয়েরা যেখানে বিমান চালাচ্ছে, সেখানে এটা তো সামান্য ব্যাপার। তারপর মুখে হাসি রেখে বললাম..
"-ক্যানসেল করবেন কেন?আমার তো বেশ গর্ব হচ্ছে।"
"-না আপনি একটু ইতস্তত করছেন দেখে এটা আমার মনে হল। যাইহোক কিছু মনে করবেন না।"
"-না না, মনে করার কি কাছে। আসলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটাই এখনো পরিণত মনস্ক হয়নি। আজকের মেয়েরা যে বীরাঙ্গনা,তারা সব পারে।"
তারপর বাইকে উঠে বসি।রাইডার মহিলা, একটু তো অস্বস্তি হচ্ছিলই।তা উনি বললেন..
"স্যার, কোনো প্রবলেম হলে বলবেন?"
"আসলে কখনো কোনো মহিলা রাইডারের সাথে..."
সেই যে সেদিন কথা শুরু হলো তারপর থেকে আর কথা বন্ধ হয়নি।পরিচয় পর্বটা বাইকে যেতে যেতেই সেরেছিলাম।সেদিন বাইকে বসে নানা কথা বার্তার অছিলায় জেনে নিয়েছিলাম কোথায় বাড়ি, বাড়িতে কে কে আছেন ইত্যাদি।আর নাম্বার তো আগে থেকেই ছিল।
আসলে আমি মালদহের ছেলে।বি.টেক করার পর জবটা পেয়ে যাই কলকাতায়।আমারই এক পরিচিত দাদাই গড়িয়াতে একটা রুম দেখে দিয়েছিল থাকার জন্য।কারণ ওই দাদা যেহেতু গড়িয়ায় থাকে তাই দাদার আশে পাশে থাকলে নিজের অনেক সুবিধা হবে সেই হিসেবেই আমার গড়িয়াতে থাকা।যদিও বাসস্থান থেকে অফিস এর দূরত্ব কিন্তু বেশ অনেকটাই। কোথায় গড়িয়া আর কোথায় নিউটাউন।নিউটাউনে আমার অফিস।ছয় বছর হল আমি কলকাতায় এসেছি।এতদিন কলকাতায় থেকেও সেভাবে কাউকে কখনো মনে ধরেনি।কলকাতার মেয়েদের প্রতি আমার একটু অন্য রকম ধারণা ছিল। তাদের সাজ-গোজ ,লাইফ স্টাইল একটু আলাদাই হয় গ্রামের মেয়েদের থেকে।আর আমি বলতে গেলে গ্রামের ছেলে,তাই বিয়ে করলে গ্রামের মেয়েকেই করব, এমনই একটা ধারণা ছিল সর্বদা।আসলে মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক।
যাইহোক, এরপর থেকে সৃজার সঙ্গে আমার একটা ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়। সৃজার বাড়ি কলকাতার ভবানীপুর।বাড়িতে আছে বলতে সৃজা আর সৃজার মা।আর সবথেকে কাছের মানুষ রেখা মাসি,যার কাছে থেকেই তার বড় হয়ে ওঠা।কলকাতার মেয়েদের সম্পর্কে যে ধারণাটা ছিল সেটা সৃজাকে দেখে,ওর সঙ্গে ভালো করে পরিচয় হবার পর সেটা বদলে গেল।সৃজার চাল চলন, লাইফ স্টাইল একে বারে অন্য রকম। একদিকে যেমন তার পরোপকারী স্বভাব,অন্যদিকে সে আবার প্রতিবাদী মনোভাবাপন্ন।
সৃজার সঙ্গে পরিচয় হবার কয়দিন পর তাও মোটামুটি ওই দু'মাস হবে বোধহয়। ও আমাকে ওর জন্মদিনে ইনভাইট করল।আমি তো গিফট নিয়ে গিয়ে হাজির।দেখি জন্মদিনের কোনো আয়োজন নেই,কোনো লোকজন বন্ধু বান্ধবও নেই। বরং বেশ কিছু খাবারের প্যাকেট সাজানো আছে বাড়িতে।এত খাবার দাবার কার জন্য, ঠিক এমনটা ভাবছি, আর তখনই আমার দিকে তাকিয়ে সৃজা বলে ওঠে.....
"-আসলে আমি জন্মদিনটা একটু আলাদা ভাবে পালন করি।একটু অন্যরকম। আমার জন্মদিনে আমি গরীব দুস্থ মানুষ দের মুখে সামান্য কিছু খাবার তুলে দিই।এই সমস্ত খাবারের আয়োজন সেই সব মানুষদের জন্য যারা অনাহারে অর্ধাহারে থাকে আমার এলাকায়।আমার এই পরিশ্রম অর্থাৎ যা উপার্জন করি তার কিছুটা টাকা ওদের জন্য রাখি।"
সেদিন সৃজাকে চিনলাম অন্য এক রূপে। অন্তরের অপরিসীম শ্রদ্ধায় সৃজার এই কর্তব্যকে শ্রদ্ধা না করে পারলাম না।ভালোবাসার বীজটা বোধহয় রোপণ করে ছিলাম সেদিনই।তারপর একদিন শুনলাম সৃজাও লেখালিখি করে আমার মতোই।বেশ কয়েকটা গল্পও লিখেছে। সব থেকে ভালো একটা গল্প পেয়েছিলাম ওর থেকে। যে গল্পটার নাম ছিল "গুড টাচ আর ব্যাড টাচ"।সাধারণত আমরা বাড়িতে মেয়েদেরকেই শেখাই এই গুড টাচ আর ব্যাড টাচ এর শিক্ষা।কিন্তু সৃজার গল্পে দেখেছিলাম, গুড টাচ আর ব্যাড টাচের শিক্ষা একজন মা তার ছেলেকে শেখাচ্ছেন.. কীভাবে মেয়েদের সাথে মিশতে হয়,কেমন আচার আচরণ মেয়েদের সাথে করা উচিত,কোন টাচে মেয়েরা কখনোই অপমানিত হয় না আরো অনেক কিছু বিষয়। আর ওর গল্পটা পড়ে মনে হয়েছিল একটা মেয়েকে তার বয়ঃসন্ধিতে তার মা যেভাবে বিধি নিষেধ আচার রীতি কানুন বুঝিয়ে দেয়,ছেলেদেরও সেভাবে সব কিছু বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।তাতে বোধ হয় এক সুস্থ সুন্দর সমাজ গড়ে উঠবে,অপরাধবোধ ও অনেকটাই কমবে।
"-সৃজার আধুনিক চিন্তাকে স্বাগত না জানিয়ে পারিনি।মেয়েটার মধ্যে এত গুণ?এমন মেয়েকে ভালো না বেসে পারা যায় না.. তাই আমি ওকে ভালোবেসে ফেললাম খুব।"
তারপর একদিন সৃজাকে জানালাম মনের কথা।প্রত্যুত্তরে সৃজা বলে ওঠে....
"-আমার সম্পর্কে সব কিছু না জেনে আমাকে ভালো বেসে ফেললে?আমার মনে হয় সব কিছু জেনে তবেই ভালোবাসা উচিত।"
"-সৃজা প্রায় পাঁচ মাস হতে চলল তোমার সাথে পরিচয় হয়েছে।এই কয়েকটা মাসে তোমার সম্পর্কে যা জেনেছি, এর পর আর নতুন করে কিছু জানতে লাগবে না।সব থেকে বড়ো কথা তুমি একজন ভালো মনের মানুষ সৃজা।"
"-না সঞ্জয়, তুমি যা জেনেছো সবটাই ওপর থেকে।এটা আমার বাইরের আচ্ছাদন মাত্র।আসলে তুমি তো কিছুই জানো না।আমার অতীতটা ভীষণ অন্ধকার। যার কোনো রঙ নেই।একে বারে কালো মিশমিশে।"
"-আচ্ছা তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো না?আমি আর পাঁচটা ছেলেদের থেকে যে একটু আলাদা এটা তো মানো, নাকি?আর ছেলেদের প্রতি তোমার এত নেগেটিভ মনোভাব কেন?
"-ছেলেদের প্রতি আমার কোনো নেগেটিভ মনোভাব নেই। আসলে আমি সমগ্র ছেলেদের দুভাবে দেখি। পুরুষ আর কাপুরুষ।পুরুষ জাতির প্রতি শ্রদ্ধা আমার সব সময়ই আছে আর থাকবেও।শুধু ঘেন্না করি সেই বর্বর কাপুরুষদের।যারা পৌরুষ দেখায় অন্ধকারে লুকিয়ে।তারা পুরুষের মতো দেখতে এক প্রকার ভয়ঙ্কর দৈত্য,যাদের আমি কাপুরুষ বলি।শোনো সঞ্জয়,আজ যখন সময় পেয়েছি তাই তোমাকে আমার অতীতটাও শোনাতে চাই।"
"-হ্যাঁ সৃজা,আমি শুনতেও চাই।"
তখন আমি বেশ ছোটো।কত আর বয়স হবে,সাত কি আট।বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের হালটা মাকেই ধরতে হয়েছিল। খুব সামান্য বেতনে মা একটা চাকরি জোগাড় করে। তাই আমাকে দেখা শোনার জন্য থাকত রেখা মাসি।মা না থাকলে আমাদের পাশের বাড়ির কাকু প্রায় দিনই ওনাদের বাড়িতে আমাকে নিয়ে যেত।চকোলেট দিত মাঝে মাঝে।যেহেতু বাবা নেই,তাই অনেকটা ভালোবাসা কাকুর থেকে পেতে মন চাইত।একদিন কাকিমা ছিল না,সেই সুযোগে কাকু ওনার বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমাকে আদর করে ছিলেন। বুঝেছিলাম ওটা আদর নয়।তারপর থেকে কাকু ডাকলেও আর যেতাম না।রেখা মাসিকে বলতে রেখা মাসি বলেছিল "এসব কথা কাউকে বলিস না, তুই মেয়ে।" তারপর থেকে কথাটা কাউকে কখনো বলিনি।
এরপর আস্তে আস্তে বড় হলাম।আসলে মেয়েদের বড়ো হওয়াটাই বোধহয় তার সব থেকে বড়ো অপরাধ।তখন আমি ক্লাস টেন।একজন স্যারের বাড়িতে টিউশন পড়তে যেতাম।সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির আগেই আমি পৌঁছে গিয়েছিলাম স্যারের বাড়ি।তাই তখনো পর্যন্ত কেউ এসে পৌঁছায় নি।সেই সুযোগে স্যার ও আমাকে একবার জড়িয়ে ধরে বলেছিল.. 'তোকে আমি খুব ভালোবাসি।' পড়ার শেষে আমাকে ডেকে বলেছিল, 'এসব কথা কাউকে বলিস না যেন। সামনে তোর মাধ্যমিক পরীক্ষা।' সত্যিই আমি কাউকে বলতে পারিনি সেদিন। কারণ রেখা মাসির সেই কথা মনে পরে যায়..কারণ আমি মেয়ে, তাই সব কথা সবাইকে বলা যায় না।তারপর থেকে ঐ স্যারের কাছে আর কখনো পড়তে যাইনি।তার জন্য পরীক্ষার রেজাল্ট খুব একটা খারাপ হয়নি আমার।
উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর কলেজে যখন এলাম তখন একজন কে ভালো লাগলো।মন থেকে তাকে ভালোও বাসলাম।কিন্তু ভুল মানুষকে ভালো বাসলাম। তার কাছে ভালোবাসা মানে ভোগের খেলা।শারীরিক কামনা বাসনাটাই নাকি ভালোবাসার মূলে। সরে এলাম তার কাছ থেকে। তারপর থেকে একটা কথা বুঝে গেলাম জীবনে বাঁচতে হলে মেয়ে হয়ে নয়, বাঁচব মানুষ হয়ে। কারণ বার বার কামনার শিকার হতে হতে দেয়ালে পিঠটা ঠেকে গেছে। তারপর থেকে নিজেকে গড়ে তুলি অন্য ভাবে।জীবন টা অনেক বড়ো, তাই বাঁচতে হলে নিজেকে লড়াই করে বাঁচতে হবে।সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে না চললে চলা যাবে না। লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যারাটে শিখতে শুরু করি। একসময় আমি হয়ে উঠলাম ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন।এরপর বাইক,এমনকি ফোর হুইলারও চালাতে শিখলাম।তারপর থেকে নরম মনের মেয়েটা আজ অনেক বেশি শক্ত।নিজেকে এমন ভাবে গড়লাম যাতে কারো মুখাপেক্ষী না হয়ে থাকতে হয়। বুঝলে সঞ্জয়, জীবন এতটা সহজ পথে চলে না।আর এত সব কিছু জানার পর এই মেয়েকে কি আর ভালো বাসবে তুমি?
"হ্যাঁ,এত কিছুর পরেও......."
ছয় মাস পর।সময়ের সাথে সাথে দিন গুলো যে কীভাবে কেটে যায় তা আমরা বুঝতে পারি না।মনে মনে মাবি হয় এইতো সেদিন।"-আরে ভাই কি এত ভাবছিস?সৃজার কথা? মালদহ থেকে কলকাতা কম রাস্তা নাকি? হ্যাঁ,হ্যাঁ...ভাব। ভাবতে ভাবতে কলকাতায় পৌঁছে যাবি।"...গাড়িতে বসে থাকা আমারই এক বন্ধু পাশ থেকে বলে ওঠে।
কলকাতায় যেতে যেতে সেদিনের সে কথা গুলো আজ আমার মনে পরছে।কত রঙ বেরঙের স্মৃতি।সত্যিই জীবন কত ঘটনা বহুল।তাই তো জীবনের এত বৈচিত্র্য। মনের কথা গুলো বলতে বলতে সৃজা সেদিন কেঁদে ফেলেছিল।আর বলেছিল এমন একজন তার জীবনে আসুক,যে ভরসা যোগাবে তাকে চলার পথে,আর সেই সঙ্গে দরকার বিশ্বাসের দুটো হাত।কারণ জীবনের সংগ্রামটা দুহাতে নয়,চার হাতের শক্তিতে লড়বে।আমি জানি পৃথিবীর অন্তহীন গুণের আধার নারী। নারী অদম্য শক্তির অকৃত্রিম পথিকৃৎ।সৃজার চোখে দেখেছিলাম সেই বিদ্রোহের স্ফূরণ।সে হয়ে উঠতে পারে বিজয়িনী। কারণ সৃজা কখনো হারতে শেখেনি।আমি সে আশ্বাস সেদিন সৃজাকে দিয়েছিলাম,কারণ আমি সৃজাকে সত্যিই ভালোবাসি।
"-সবাই আমরা এত কথা বলে যাচ্ছি, আর তুই কবি কবি ভাব নিয়ে....ও খুব টেনশন হচ্ছে বুঝি?"..হঠাৎ করে কথাটা বলে ওঠে অতনু।
"-না রে..টেনশন করব কেন?"
"-আচ্ছা বেশ বেশ।বুঝলাম বুঝলাম। তাহলে তো সৃজার কথা ভাবছিস নিশ্চয়ই।"
"-আরে ধুরর্, তোরাও না। একটু চুপচাপ বসে আছি মানেই কি সৃজার কথা ভাবছি!"
"থাক আর নাটক করে লাভ নেই, তোর মোবাইলে রিং হচ্ছে ফোনটা ধর।"
"দেখি দেখি কে ফোন করছে,নিশ্চয়ই সৃজা" বলে মোবাইল টা অতনু হাতে নেয়..
"আমি সৃজার মা বলছি। এখনো কতদূর?"
"হ্যাঁ মাসিমা, আমরা প্রায় চলেই এসেছি। আর আধ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা ঢুকে যাব।"
কথা বলে মোবাইলটা আমার হাতে দেয়। সৃজার মোবাইল থেকেই কল করে জানতে চাইছিল আমরা কতদূর আছি।যতই হোক বাড়িতে অতো বড়ো একটা অনুষ্ঠান নিজে হাতে সব কিছু সামলাচ্ছেন।সন্ধ্যা সাতটায় বিয়ের লগ্ন,তার আগে পৌঁছতেই হবে। আজ সৃজার বিয়ে।এক অপরূপ সাজে সৃজা সেজেছে।অপেক্ষা করছে তার প্রাণনাথের জন্য।বর বেশে টোপর মাথায় দিয়ে চলেছে সেই প্রেমিক পুরুষ সুদূর মালদহ থেকে।পাত্র সঞ্জয় বোস, আমি নিজেই।
(সমাপ্ত)
ছবি: সংগৃহীত
