বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

ধ্রুবতারা

তারা রথ সাজানোর ফুলের থালা  নিয়ে যেতে যেতে হঠাতৎই হোঁচট খেয়ে পড়তে গেলে বলিষ্ঠ এক হাত তারার হাতটা শক্ত করে পেছন থেকে ধরে নিজের দিকে টানলে সেই ব্যক্তির বুকে গিয়ে আঁছড়ে পড়ে তারা। ফুলের থালা উল্টে সব ফুল ধীরে ধীরে তাদের উপর পড়ছে; আঁখি তুলে তার দিকে চাইতেই বিস্মিত হয়ে তারার দুই চোখ ঝাপসা হয়ে এল। অপরজনও বিস্মিত দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে তার দিকে।

তারার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। সেই ব্যক্তির হাত ছাড়িয়ে ছুটে চলে যায় ছাদে।

  " সেই তো সাতটা বছর আগে পুরীর রথের দিনই তো সব শেষ করে এসেছিলাম তবে কেন আজ আবার ?আমি যে ধ্রুবকে দেখলে দুর্বল হয়ে পড়ি।চাইনা ওর আর মীরার মাঝে বাঁধা হতে। ভালোবাসে যে মীরা ওকে " আপনমনে ভাবতে ভাবতে চোখ বেয়ে জলধারা নেমে এল।

হঠাৎই  আবেগবিহ্বল কন্ঠস্বর "এতটা স্বার্থপর হয়ে একটা চিঠি লিখে চলে যেতে পারলে তারা? সব হারানোর পর আমার অনুভবগুলো আবার ডানা মেলেছিল যেই আকাশে তার নাম তারা।
যাকগে এই সাতটা বছরে কাউকে মন দিয়ে থাকলে সুখী হয়ো তার সাথে। চললাাম ;তবে ধ্রুব শুধু তারারই..."ভেসে এলে তারা  ধ্রুবর চলে যাওয়ার পানে চেয়ে, সিক্তমনে বিষাদক্লিষ্ট হেসে মনে মনে বলে উঠল,"প্রেমালয়ে অর্চিত দেবতার  যে একই থাকে..ভালোবাসি আজও তোমারেই ।আমিও শুধু ধ্রুবর তারা.."

সেই নীরবতার ভাষা যেন বৃষ্টির  সুরমূর্চ্ছ্বনা আর রথযাত্রা শুরুর শঙ্খধ্বনির অন্তরালে।

 

পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু