বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

ভাড়াবাড়ি

রিমঝিমের সাথে সাহেবের বিয়ের পাকা কথা অবশেষে হয়েই গেল। সামনের মাঘ মাসেই বিয়ের দিন স্থির করে ফেলা হল। রিমঝিম আজ খুব খুশি। বিয়ে অবধি পৌঁছতে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে দুজন কে। কিন্তু রিমঝিম আর সাহেবের জেদও কম নয়, দীর্ঘ সাত বছরের ভালোবাসাকে জয় করতে চলেছে তারা। দু’বাড়ির অনেক অমতের পরেও বাড়ির অনুমতি ছাড়া বিয়ে করতে নারাজ সাহেব। তার মতে সকলের আশীর্বাদ ছাড়া মনের শান্তি আসবে না। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সকলের মতে বিয়েটা ধুমধাম করে হয়ে গেল। বেশ ভালই কাটছিল তাদের দিনগুলি। কদিন পর একটা সমস্যা শুরু হল। সাহেবের বাড়ি বারাসাতে কিন্তু রিমঝিমের অফিস কলকাতায় হওয়ার জন্য তার যাওয়া আসার একটা অসুবিধা শুরু হতে থাকে। তাই তারা স্থির করে কলকাতার কাছাকাছি কোন বাড়ি ভাড়া করে নেবে। ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার তাড়া সাহেবেরই বেশি ছিল। ঝটপট করে কাজে লেগে যায় সাহেব, একদিনে অনেক বাড়ি দেখেও ফেলে সে। তার মধ্যে উত্তর কলকাতায় কম ভাড়ায় খুব ছিমছাম একটি বাড়ি পেয়ে যায় সাহেব। নিচের তলায় ডাইনিং আর রান্নাঘর, ঘরের মধ্যে দিয়েই সিঁড়ি উপরে উঠে গেছে, উপরে দুটি ঘর আর এক চিলতে বারান্দা। খুবই পছন্দ হয়ে যায় সাহেবের। আর বেশি কিছু না ভেবে বাড়িটির অগ্রিম বুকিং করে নেয়, তারপর রিমঝিমকে ফোন করে জানায়। রিমঝিমের মনেও তখন খুশির বন্যা বইছে, যতই হোক নতুন সংসারের আনন্দই আলাদা। দু’জনে মিলে ঠিক করে পরদিন অফিস ফেরত একসাথে দেখতে যাবে বাড়িটি। পরিকল্পনা মতো বাড়ির মালিককে ফোন করে জানায়। কিন্তু তাদের যেতে একটু সন্ধ্যা হয়ে যায়, তখন ভদ্রলোক জানান ঘরে কোন লাইট না থাকায় ঘর দেখানোর অসুবিধা আছে।  অতোটা গিয়ে বাড়িটা না দেখতে পাওয়ার কথা শোনার পরে দুজনেরই মন খারাপ হয়ে যায়। সাহেবও ছাড়বার পাত্র নয়, সে রিমঝিমকে বলে, যে করেই হোক এসেছি যখন ঘর তোমাকে দেখাবই। মালিককে অনেক অনুরোধ করে তারা, আর মোবাইলের আবছা আলোতেই ঘর দেখার আবদার করে। উনি আর না করতে পারেন না। দু'জনের মুখে সে এক বিজয়ীর হাসি, যেন বিশাল কিছু প্রাপ্তি হল। তারা ঘরে প্রবেশ করে যতটা সম্ভব দেখতে থাকে, কিন্তু হঠাৎই রিমঝিমের শরীরটা কেমন খারাপ করতে থাকে, সাহেবকে সে বলে আজ তার আর বাড়ি দেখার ইচ্ছে হচ্ছে না, সে তাড়াতাড়ি ফিরতে চায়। সাহেব একটু অবাক হয় কারন ঘর দেখার ইচ্ছেটা রিমঝিমেরই বেশি ছিল, যাইহোক সাহেব তাকে আর জোর না করে বলে,' তাহলে একবারেই এসে দেখো।'  এরপর তারা বারাসাতের বাড়িতে ফিরে যায়। বাড়ি দেখে ফেরার পর থেকেই রিমঝিমের মনের মধ্যে এক অস্থিরতা কাজ করতে থাকে। যাইহোক নতুন সংসার সাজানোর পরিকল্পনায় দুজনে ব্যস্ত হয়ে পরে। আগামী সাত দিনের মধ্যেই নতুন বাড়ি যাওয়ার দিন স্থির হয়। সাহেব সাথে তার মা বাবাকেও নিয়ে যায়। রিমঝিমের সেদিন ঘর দেখতে না পাওয়ার অনুশোচনা এবার কেটে যাবে, সেই ভাবনা নিয়ে প্রবেশ করলো বাড়িটিতে। ঘরে যাওয়ার আগেই সাহেব সারপ্রাইজ দেবে বলে খুব সুন্দর গুছিয়ে ফেলেছিল। রিমঝিম তো দেখে একদম অবাক, সাহেবের এরকম সংসারী রূপটা তার একেবারেই অজানা, আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়লো সে। উপরের ঘরটা দেখার ইচ্ছেটা আরও প্রকট হয়ে উঠল তার। তাই দেরি না করে এক ছুটে উপরের ঘরের দরজা খুলে যেই ঢুকতে যাবে আচমকাই এক দমকা হাওয়ার সাথে ধাক্কা খায় রিমঝিম, তার শরীরে এক অদ্ভুত শিহরণ অনুভব হয়। কিছু যেন তার শরীরকে ভেদ করে চলে গেল। একটু থমকে গেল সে, কিন্তু দরজা খুলে                যেতেই ঘরের ভিতরে আলো-আঁধারির মধ্যে অপূর্ব ফুলের গন্ধে মন বিভোর হয়ে গেল তার। আনন্দে চোখের জল আর ধরে রাখতে পারে না সে, ততক্ষণে সাহেব তার পিছনে এসে উপস্থিত, তাকে দেখে রিমঝিম আনন্দে জড়িয়ে ধরে জানায় বাড়িটি তার খুব পছন্দ হয়েছে। 

     সারাদিন বেজায় খাটাখাটনির পর সেদিন তারা সকলেই খুব ক্লান্ত হয়ে তাড়াতাড়ি শুতে চলে গেল। এ.সি টা লাগাতে কদিন সময় লাগবে তাই জানলাটা খুলে পর্দা টেনেই শুতে যায়, কখন তারা গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে। রাত দু'টো নাগাদ হঠাৎ পর্দা সরানোর আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেল রিমঝিমের। সোজা জানলায় চোখ যেতেই মনে হল যেন এক আবছায়া দাঁড়িয়ে। চমকে উঠলো সে,“ এটা কি ছিল? একি মনের ভুল নাকি ঘুম জড়ানো চোখের ভ্রম?” রিমঝিম এই ভেবে বিছানা থেকে নেমে পর্দাটা টেনে দিতে যাবে এমন সময় এক ঠান্ডা হাতের স্পর্শ অনুভব হল তার হাতে। এবার ভয়ে হিম হয়ে গেল সারা শরীর, তাড়াতাড়ি সাহেবকে ডাক দেয়, ক্লান্ত সাহেব একটু বিরক্ত হয়ে বলে, ‘কি সব বলছো? ঘুমিয়ে পড়ো’, রিমঝিম ও মনের ভুল ভেবে সাহেব কে জড়িয়ে শুয়ে পড়ে। পর্দা সরানোর আবারও আওয়াজ পায়, কিন্তু এবার চোখ বন্ধ করে জোর করে শুয়ে থাকে সে। ঘুম আসা তো দূরের কথা, এবার যেন মনে হতে থাকে পিছনেই কেউ দাঁড়িয়ে আছে। প্রচন্ড ভয়ে রিমঝিমের শরীরটা অবশ হতে থাকে। সাহেবকে যে ডাকবে সেই ক্ষমতাটাই হারায় সে, এইভাবে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে সে নিজেও জানে না। সকালে উঠে সাহেব দেখে রিমঝিম গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। সাহেব রিমঝিমের মাথায় হালকা হাত বুলানোতে ঘুম ভাঙে তার, কিন্তু তখনও ভয়ের রেশ কাটেনি। সাহেবকে জড়িয়ে ধরে সব কথা খুলে বলে, সাহেব মৃদু হেসে আদর করে বলে ' ও সব কিছু নয়, এত ক্লান্তিতে স্বপ্ন দেখেছো নিশ্চয়ই। এরকম আবার হয় নাকি! আমি তো দিব্যি ঘুমালাম কিছুই টের পেলাম না, চলো তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নাও অফিসের দেরি হয়ে যাবে এবার’- এই বলে সাহেব স্নানে চলে যায়। স্নান সেরে আসলে  রিমঝিম জানায় আজ আর অফিস যাওয়ার মন করছে না তার, বরং আজ  ঘরটা সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে করছে। সাহেব তাতে সম্মতি জানিয়ে অফিসে চলে যায়। তারপর সারা সকাল নানা কাজ নিয়ে শাশুড়ির সাথে গল্প করে বেশ ভালোই কেটে যায়। দুপুরে আবার নিজের ঘরে চলে আসে রিমঝিম। খুব ক্লান্ত বলে ঘুমে চোখ জুড়িয়ে আসছিল তার - কিন্তু উপরে উঠে আসতেই শরীরে আবার এক অদ্ভুত ঝাঁকুনি অনুভব হল………মনে হল কারোর সাথে ধাক্কা লাগলো যেন, কেন হচ্ছে এরকম বারবার? উপরে এলেই, চিন্তা বাড়তে থাকে রিমঝিমের। মানুষের এক আধ বার ভুল হয় কিন্তু এতো বার বার হচ্ছে? সাহেব একটু রোমান্টিক, সে সাজগোজ পছন্দ করে। তাই রিমঝিম ঠিক করে - নতুন শাড়ি পাট ভেঙে পড়ে,লম্বা বিনুনি করে, সোনার চুড়ির রিনিঝিনি শব্দে তাক লাগিয়ে দেবে সাহেব কে। ভাবতে ভাবতেই সাহেবের ফোন। সে জানালো আজ তাড়াতাড়ি ফিরবে, কাছে পিঠে কোথাও ঘুরতে যাবে। এই কথা শুনে খুব খুশি হয়ে যায় রিমঝিম। তাই সাজতে ব্যস্ত হয়ে যায় সে , হঠাৎ দরজা খোলার আওয়াজে  মনের মধ্যে এক উন্মাদনার সৃষ্টি হয়, কিন্তু পেছন ফিরতেই অদ্ভুত ভাবে দরজার পাশে কাউকে না দেখে আবার অবাক হয়ে যায় সে। হঠাৎ কানের পাশে অনুভব করে কে যেন ফিসফিস করে কিছু বলতে চাইছে, প্রচন্ড ভয়ে কেঁপে ওঠে। নিজেকে আর সামলাতে না পেরে চিৎকার করে ওঠে। ততক্ষনে সাহেব ফিরে এসেছে। নিচ থেকে রিমঝিমের চিৎকার  শুনে উপরে ছুটে আসে, তখন প্রায় সে নিজের ভারসাম্য হারিয়েছে। প্রশ্ন করলে উত্তরের বদলে রিমঝিমের কথার কিছু অসংগতি, আর মুখে এক অজানা আতঙ্কের ছাপ সাহেবের চোখ এড়ায় না। দেরি না করে তাকে বিছানায় শুইয়ে দেয় সাহেব। কিছুক্ষণ পর রিমঝিম একটু স্বাভাবিক হয়, সাহেবকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে সে। নিজেই বুঝে উঠতে পারেনা কি হচ্ছে, সাহেবকে সব খুলে বলে কিন্তু সাহেবের মানতে একটু অসুবিধা হচ্ছিল এই সব কথা। সে তাকে সান্ত্বনা দেয়,“কদিন ধরে তুমি একটু বেশি ভাবছো,মনের ভুল হবে। আর এত ভাবলে এবার শরীর খারাপ করবে। খুব তাড়াতাড়ি তোমাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাব চিন্তা কোর না।” মুখে যতই সান্ত্বনা দিক মনের মধ্যে প্রশ্ন চলতে থাকে সাহেবের, রিমঝিমকে সে তো অনেক ভাল করেই চেনে, আগে কখনো তার এমন আচরণ দেখেনি সে। মানসিক ভাবে কোন অসুবিধা চলছে কি রিমঝিমের? নাকি সত্যি কোন অশুভ শক্তির ছায়া পড়লো তার উপর। খুব অস্থির অসহায় লাগতে থাকে তার নিজেকে। নিচে গিয়ে তার মা বাবা কে বলে ঘটনাটি, কিন্তু তারাও বিশ্বাস করতে চাইছিলেন না। রিমঝিম তার ঘরে  তখন একটু শুয়েছিল তাই সাহেব নিচে আসে।  কিছু পর রিমঝিমের  হঠাৎ মনে হল তার ঘাড়ের কাছে গরম নিশ্বাস এসে পড়ছে কিন্তু সে যে ফিরে দেখবে সেই শক্তি টুকুও তার নেই, এ এক সাংঘাতিক অনুভূতি! খুব মনের জোরে পিছনে ফিরতেই সে দেখে এক পুরুষাকার অবয়ব তার দিকে তাকিয়ে। রিমঝিমের সারা শরীর তখন কম্পমান। সে আজ একদম নিশ্চিত যে এই ঘরে কোন আত্মার বাস, তাই খুব কষ্ট করে উঠে সিড়ি দিয়ে ছুটে নীচে নেমে আসতে যায় কিন্তু পেরে ওঠে না। অতি কষ্টে নীচে নামে আর পিছন ফিরে দেখে সেই অবয়ব সিড়ির একদম উপরের ধাপটায় দাঁড়িয়ে যায়, নিচে আর নামে না। সে চিৎকার করে সবাইকে দেখায় সেই ছায়ামুর্তিকে, কিন্তু কোথায় কি? বাড়ির কারোর চোখেই কিছু ধরা পরলো না। কিভাবে বিশ্বাস করাবে সকলকে? রিমঝিমের নিজেকে তাই খুব অসহায় লাগছিল। সাহেব যে বুঝতে চাইছিল না তেমন নয় কিন্তু বিশ্বাস ও করতে পারছিল না কিছু নিজের চোখে না দেখে। সাহেব তাকে আশ্বাস দেয় যে ভয় নেই, রিমঝিমের সাথে আছে সে। সেই দিন অনেক বুঝিয়ে রাতে শোয়ার ঘরে  নিয়ে যায় সাহেব। রিমঝিমেরও মন ভাল নেই, বিয়ের পর থেকেই সাহেবের জীবনে এক দুশ্চিন্তার কালোছায়ার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে সে। যাইহোক সেইরাতে রিমঝিম তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে, সেদিন আর কিছু অস্বাভাবিক হয় নি রাতে, হঠাৎ ভোরের দিকে ঘাড়ের কাছটা আবার সেই গরম নিশ্বাসের ফুঁ তে শিউরে ওঠে সে, প্রচন্ড ভয়ে  ঠান্ডা হয়ে যায় তার শরীর, সাহেবের ঘুম ভেঙে যায় গোঁঙানির আওয়াজে। তাড়াতাড়ি রিমঝিমকে তুলে চোখে মুখে ভালো করে জল দেওয়াতে একটু স্বাভাবিক হয় সে। রোজকার এই অদ্ভুত ঘটনাতে রিমঝিমের জন্য তার শশুর,শাশুড়িও খুব চিন্তায় পড়ে যান। সাহেব এবার স্থির করে আজই এর কিছু একটা করতে হবে। ততক্ষণে রাত কেটে ভোরের আলো ফুটে উঠেছে। রিমঝিমকে আস্তে আস্তে ধরে নীচের ঘরে শুইয়ে দেয়, মনে মনে ঠিক করে সকালে বাজার সেরে আজই ডাক্তার দেখিয়ে নেবে তাকে। এরপর বাজার যাওয়ার পথে সাহেব কে ডেকে যেচেই আলাপ করেন পাশের বাড়ির এক ভদ্রলোক, এবং কথার ছলে জানতে চান তাদের বাড়িতে কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা? সাহেব একটু ইতস্তত হয়ে জবাব দেয় “না সব ঠিকই আছে, কেন বলুন তো?” ভদ্রলোক জানান “ আপনারা আসাতে বেশ ভাল হল।  কয়েক বছর বাড়িটা খালি পড়ে ছিল, আসলে যারা ভাড়া আসতেন তারা দু’দিনের বেশি আর থাকেতে পারেনি।” এবার বেশ কৌতুহল হয় সাহেবের, কারনটা জানতে চায় সে। উনি জানান যে, বাড়ির মালিকের ছেলে তার বৌ এর সাথে অশান্তি করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। এই শুনে সাহেবের পায়ের তলার জমি যেন সরে যায়। নিজের খুব অনুশোচনা হয়। 'তাহলে কি রিমঝিমের বলা কথাগুলো সত্যি?'  ভাবতে ভাবতে বাড়িতে ফিরে যায় সে। রিমঝিম মানসিক ভাবে খুব  দুর্বল হয়ে পড়াতে তাকে আজ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যায় সাহেব। ডাক্তার অনেকক্ষণ কথা বলে বোঝেন রিমঝিমের ছোট বেলায় কোন ভৌতিক গল্প শোনার পর থেকেই অশরীরী আত্মার ভয় মনের মধ্যে গেঁথে গেছে, তাই ভয়ের কোন কারণ নেই। সবটাই তার মানসিক। রিমঝিম ডাক্তারের পরামর্শ শুনে একটু আশ্বস্ত হয়। সাহেব সেদিন স্থির করে রিমঝিমকে তার বাপের বাড়ি ক’দিনের জন্য পাঠিয়ে দেবে। ডাক্তার বাবু এটাও বলেন, অনেক অসাধু লোক নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য কোন পুরনো বাড়ি কে ভৌতিক বাড়ির আক্ষা দেয়। কথাটা খুবই সত্যি মনে হয় সাহেবের ' ভদ্রলোকের কি তাহলে সত্যিই কোন পরিকল্পনা আাছে বাড়িটা নিয়ে? কেনই বা যেচে উনি বলতে এলেন?' এসব চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। তাই সাহেব স্থির করে আজ রাতে নিজে ওই ঘরে একা শুয়ে দেখবে। রিমঝিমকে তার বাড়ি দিয়ে এসে সাহেব আজ খুব ক্লান্ত। কাল রাতের ঘুমটাও ভাল হয় নি। এই ভেবে ঘুমিয়ে পড়ে সাহেব। রাত তখন বেশ গভীর।  পাড়ার কুকুরগুলো একনাগাড়ে চিল্লিয়ে যাচ্ছে। ঘুমটা একটু আলগা হতেই মনে হল তার পায়ে ঠান্ডা কিছু লাগছে আর সারা ঘরে এক অদ্ভুত অলৌকিক পরিবেশ, আর সামনে কেউ দাঁড়িয়ে ডাকছে “সাহেব”। সব কিছু যেন আবছা হয়ে যায় চোখের সামনে। পরদিন সকালে ঘুমের মধ্যে শুনতে পায় মা ডাকছেন সাহেব ওঠ দেরি হয়ে যাচ্ছে অফিস যাবি না? ধর ফরিয়ে  ওঠে সাহেব, “তাহলে এটা কি আমি স্বপ্ন দেখলাম?” উত্তরের অপেক্ষায় আরো কয়েক রাত অপেক্ষা করতে হবে সাহেব কে।

                  


পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু