বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

চ্যালেঞ্জ(৩য় পর্ব)

কলেজ ক্যান্টিনে আড্ডা দেওয়ার সময় ভুত বিশ্বাসী পল্লবীকে বন্ধুরা খেপায়।পল্লবী ওদের ভুত আছে প্রমান করিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ দেয়।সুমিত আর গণেশ চ্যালেঞ্জ একসেপ্ট করে।সেই সূত্র ধরে এক বর্ষণ মুখর দিনে ওরা মুঙ্গেরের এক অভিশপ্ত সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছয় পল্লবীর আমন্ত্রণে।সেখানে ওদের এক কেয়ারটেকার খাবার ঘরের চাবি দিয়ে চলে যায়।রাতে ওদের কোনো মেয়ের আর্তনাদে ঘুম ভেঙে যায়।সারাঘরে তখন দুর্গন্ধ পূর্ণ।ওরা বাইরের জানলা দিয়ে লনে ছায়ামূর্তি দেখতে পায়। সুমিত টর্চ জ্বালায়----তারপর

    টর্চের আলো বাইরে পড়তেই আমাদের শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়। আমরা টর্চের আলোয় স্পষ্ট দেখতে পাই আমাদের দিকে পিছন করে একটা ছায়ামূর্তি আসলে একজন মহিলা সামনের একজন পুরুষের ধর থেকে মুন্ডু আলাদা করে দিয়েছে ,টর্চের আলো পড়তেই সেই মহিলা মূর্তি আমাদের দিকে ফিরে তাকায়,একটা ফ্যাকাসে সাদা মুখ তার চোখের কোটরের মনি গুলো বুনো বেড়ালের মতো হলদে ঠোঁট গুলো জমাট রক্তের মতো কালো সে এক বীভৎস চেহারা, আমরা কিছু বলতে যাবো তার আগেই কালো মতো কি একটা আমার হাতের উপর লাফিয়ে পড়ে আমার হাত থেকে টর্চটা ফেলে দিলো। টর্চটা জানলার নীচে ঝোপে গিয়ে পড়লো, তার ক্ষীণ আলোয় আমি স্পষ্ট দেখলাম একটা কালো বিড়ালের মতো জন্তু দৌড়ে পাশের ঝোপে অদৃশ্য হয়ে গেলো। গণেশ বিদ্যুৎ গতিতে জানলার পাল্লা বন্ধ করে সেখানে পিঠ চেপে দাঁড়ালো।ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে গণেশ আমাকে বললো"কি রে সুমিত ভয় পেয়ে গেছিস"এই বলে খুব হাসতে লাগলো। তারপর হাসি থামিয়ে বললো"পল্লবী আর রজত আমাদের জন্য ভালো প্লট তৈরী করেছে ভুত বিশ্বাস করানোর জন্য।একটু থেমে আবার বলে, এসব পল্লবীর মাথা থেকে বেরিয়েছে, ওই দোকানী ওদেরই ফিট করা,আমাদের গল্পের সূত্র ধরানোর জন্য। আমি মনে হয় ওই কালো জন্তুটাকে কিছুটা হলেও চিন্তে পেরেছি। তিব্বতে এক ধরেন বেটে থেব্রা মার্কা মুখের কুকুর পাওয়া যায়,খুব সহজে পোষ মানানো যায় এবং এরা খুব খৃপ্ত তাই এদের শিকারের কাজে লাগানো হয়। আমি বললাম তাহলে এখুনি যেটা দেখলাম? গণেশ হেসে বললো জাস্ট ড্রামা বস, আমি যদি ভুল না করি ওটা পল্লবী আর রজত ছাড়া কেউ নয়,মেকআপ করে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। ওরা এই বাড়ির কোনো রুমে আছে,সাউন্ড এফেক্ট আর মেকআপ করে চ্যালেঞ্জ জিতে আমাদের বোকা বানাতে চাইছে, এবাড়ির ইলেকট্রিক লাইন অফ করে রাখা হয়েছে।

 আমি বলি মানে এখানে ইলেকট্রিক আছে?

গণেশ বলে আলবাত আছে এই বলে ওর হাতের টর্চ ঘরের সিলিং লক্ষ্য করে ফেলে সেখানে একটা বাল্ব লাগানো যেটা আমি এর আগে দেখতে পাইনি। এরপর দেয়ালের একটা কোনে একটা সুইচ দেখিয়ে গণেশ বলে এই এটার সুইচ,আরো বিশ্বাস না হলে চ বাইরে গিয়ে তোর টর্চটা আগে কুড়িয়ে আনি না হলে এই জলে সারারাত ওটার বারোটা বেজে যাবে,তারপর সব কানেকশন দেখাবো।

  আমি দেখলাম গণেশের কথায় যুক্তি আছে।অগত্যা সেই রাতেই দুজনে বাইরে বেরোলাম, প্রধান দরজার তালা যেমন কে তেমন রয়েছে।কোনের দিকে একটা সিঁড়ি উপরে উঠে গেছে গণেশ আর আমি যতটা সম্ভব টর্চের আলো ফেলে সিঁড়ির উপর অব্দী দেখলাম সিঁড়িটা তালা দেওয়া,আমরা লনে বেরিয়ে এলাম। তখনো বৃষ্টি পড়েই চলেছে। যে জায়গায় ওই নারী মূর্তি দাঁড়িয়ে ছিলো সেখানে গণেশ টর্চের আলো ফেলে ভালো করে কি যেনো পর্যবেক্ষণ করছিল তারপর সোজা হয়ে বললো বলেছিলাম না সুমিত ওই মুন্ডু কাটা আসলে নাটকের একটা অঙ্গ,তখনো কোনো রক্ত ছিলো না এখনো কিছু নেই। আমি কিছুটা এগিয়ে ঝোপের কাছে জ্বলন্ত টর্চটা কুড়োতে যাবো এমন সময় গণেশ চিৎকার করে ওঠে সাবধান সুমিত আমি চমকে উঠি।। গণেশ তখন ঠোঁটে তর্জনী ঠেকিয়ে আমাকে চুপ করে দাঁড়াতে বলে,তার টর্চের আলো আমার ঝোপে পরে থাকা টর্চের পাশে গিয়ে পড়ে সেখানে তখন কি একটা ডোরা কাটা কাটা লাঠির মতো বস্তু পড়ে আছে। বৃষ্টির জলে ধুয়ে চক চক করছে,গণেশ চাপা গলায় বলে রেটল স্নেক সাক্ষাৎ যম। সে আসতে করে একটা কাদা মাটির ডেলা হাতে তুলে নেয় তারপর পাশের ঝোপ লক্ষ্য করে ছুড়ে দেয়। সেটার ঝপ করে আওয়াজে সাপটা এক লাফে পাশের ঝোপে অদৃশ্য হয়ে যায়। গণেশ ইশারায় আমায় টর্চ উঠিয়ে নিতে বলে,আমি টর্চ তুলে নেওয়ার পর গণেশ চাপা গলায় বলে। এই জঙ্গলে আর না থাকাই ভালো, এখানে অনেক বিষধর সাপ খোপের বাস চ রুমে ফিরে যাই। কাল ভালো করে দেখবো আর ওই বেটা রতনকে দিয়ে পরিষ্কার  করাবো। মেন দরজায় চাবি দিয়ে নিজেদের রুমের দরজায় এসে দেখি দরজাটা কে যেনো ভিতর থেকে বন্ধ করে দিয়েছে। এ কি করে সম্ভব ভিতর থেকে বন্ধ করার কিছু তো আমাদের চোখে পড়লো না। গণেশ আমি বার কতক ঠেলাঠেলি করেও দরজা খুলতে পারলাম না। গণেশ বললো পুরোন ক্লামে জং লেগে বসে গেছে ,দাঁড়া জোরে ধাক্কা মারি। গণেশ অনেক ভাবে চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু দরজার পাল্লা কিছুতেই নড়ে না।এদিকে হটাৎ করে সেই মাংস পচা গন্ধটা আবার বেরোতে আরম্ভ করে। এবার আবার সেই অট্টহাসি হুটপাটির আওয়াজ তবে এবার আওয়াজটা সিঁড়ির দিকে তারমানে যেই করুক সে এবার উপড়ে করছে মানে উপরে ওঠার আরো কোনো রাস্তা আছে। গণেশ এবার বিরক্ত হয়ে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যায় টর্চের আলো ফেলে চিৎকার করে ওঠে পল্লবী,রজত ইয়ার্কির একটা লিমিট আছে। চ্যালেঞ্জ মানে স্পোর্টিং মনোভাব নিয়ে সামনে আসতে হয়,তোদের এই নাটক বন্ধ কর। এসব করে তোরা কিছুতেই আমাদের ভুতের ভয় দেখাতে পারবি না। পাতি হরর ফিল্মের দর্শক আমাদের মনে করিস না,এখুনি বন্ধ কর তোদের এই বাঁদরামি। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই গণেশের কথা শেষ হতে না হতেই সব চুপ করে যায়।কিন্তু পচা গন্ধটার তীব্রতা অনেক বেড়ে গেছে। হটাৎ পায়ের কাছে টর্চ ফেলে দেখি পায়ের তলায় কি একটা চট চটে কালো রংয়ের তরল পদার্থ রয়েছে। একটু ঝুঁকে দেখি ওই দুর্গন্ধ ওই তরল পদার্থ থেকে বেরোচ্ছে, ঠিক রক্ত জমাট বেঁধে গেলে যেমন হয় তরল পদার্থটা সেরকম।এরপর বারান্দায় টর্চের আলো ফেলে দেখি সারা বারান্দা আসতে আসতে ওই দুর্গন্ধ তরলে ভর্তি হচ্ছে তার উপর সাদা সাদা দলা ভাসছে। আমি চিৎকার করে গণেশ কে বলি,ঠিক সেই সময় বন্ধ গ্রীলের বাইরে সেই রহস্যময়ী নারী মূর্তি দেখতে পাই। তার হলদে চোখে আগুন ঝরছে ,গণেশ পাগলের মতো তাকে আক্রমণ করতে যায় তরল পদার্থে সে পা হরকে পড়ে যায়। বাইরে দাঁড়ানো সেই প্রেতমূর্তি অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে বন্ধ দরজায় ঠেলা মারি অদ্ভুত ভাবে ঘরের দরজা খুলে যায় আমি ঘরের মধ্যে ছিটকে পড়ি আমি ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে অদ্ভুত ভাবে দরজাটা বন্ধ হয়ে যায়। বাইরে গণেশের ভয়ার্ত চিৎকার শুনতে পাই সুমিত দরজা খোল,গন্ধে আমার দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ওর আর্তনাদ ছাপিয়ে সেই পৈশাচিক হাসি,আমি দৌড়ে দরজার দিকে যেতে গিয়ে থমকে যাই ,দরজা আগলে বসে আছে সেই কালো বীভৎস জন্তুটা ,এখন তাকে ভয়ঙ্কর বীভৎস লাগছে। জন্তুটার চোখের মণিগুলো লাল হয়ে জ্বলছে, মুখের ভিতরের হিংস্র দাঁতগুলো বেরিয়ে এসেছে, পায়ের থাবা যেনো মানুষের দুটো হাত সেখানে বড়ো বড়ো নখগুলো বেরিয়ে এসেছে। আমি ভয়ে সিঁদিয়ে যাই,কতক্ষণ ঐভাবে ছিলাম জানিনা,একসময় বাইরে সব চুপ চাপ হয়ে যায়,গণেশের চিৎকার আর শোনা যাচ্ছে না। কিন্তু জন্তুটা স্থির হয়ে দরজা আগলে আমার দিকে তখনো তাকিয়ে আছে। আমার হাতখানেক দূরে আমাদের খাট আমি সন্তর্পণে মেঝে ঘসটিয়ে খাটের কাছে পৌঁছে এক লাফে খাটে উঠে গেলাম। জন্তুটা যেনো এটাই চাইছিলো সে তার পাথর দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে রইলো কিন্তু কোনোরকম আক্রমণ করলো না।কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানিনা হটাৎ স্বপ্নে দেখলাম পল্লবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে সে কাঁদছে। সেই মিষ্টি গন্ধ সারা ঘরে,মনে পড়েছে এটা পল্লবীর একটা প্রীয় ব্রান্ডের পারফিউম কলেজে প্রায়ই মেখে আসতো।আমি পল্লবীকে কাঁদতে দেখে বলি কাঁদছিস কেনো। পল্লবী বলে আমাদের বাঁচা সুমিত আমি আর রজত একা এদের সঙ্গে পেরে উঠছিলাম না তাই তোর আর গণেশের কথা মনে পড়লো। বিশ্বাস কর ভাই চ্যালেঞ্জ জেতার কোনো উদ্দেশ্য আমার নেই। তুই আমাদের বাঁচা,এখন তুই ছাড়া আমাদের আর কেউ বাঁচাতে পারবে না। ওরা গণেশ কেও ছাড়েনি।

   আমি আঁতকে উঠি তার মানে! পল্লবী ঘরের মেঝের দিকে আঙ্গুল দেখায়। আমি ভয়ার্ত চোখে দেখি মেঝেতে তখন পরে আছে গণেশের মুণ্ডুহীন দেহ,মুন্ডুটা দরজার কাছে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আমি চিৎকার করে উঠি না হতে পারেনা,আমার ঘুমটা ভেঙে যায় দেখি বর্ষা মাখা ভোরের আলো জানলা দিয়ে ঘরে ঢুকেছে,আমার পাশে গণেশ নেই, দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি সেটা তখনো বন্ধ।আমি দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলি দেখি মেন দরজার তালা খোলা বাইরের লনে গণেশ ব্রাশ করছে।আমাকে দেখে গণেশ বলে দেখ সুমিত কি ফান্টাস্টিক জায়গা। তারপর একটু থেমে আমাকে জিজ্ঞাসা করে আমার মুখের দিকে হাঁ করে কি দেখছিস।

    আমি ওর কাছে এগিয়ে গিয়ে বলি কালকের ঘটনার পরও তুই এই জায়গাকে ফ্যান্টাস্টিক বলেছিস। গণেশ ব্যাপারটা আমার ভালো লাগছে না মন বলছে আমরা কোনো বিপদে পড়তে চলেছি,চ এখুনি এখান থেকে ফিরে পড়ি।

    গণেশ আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে বললো"কি ব্যাপার রে সুমিত তুইও শেষে ভুতের ভয় পেলি! এই বলে উচ্চস্বরে হাসতে লাগলো।হাসি থামিয়ে বললো তা কাল রাতে টর্চ নিয়ে একা বাইরে বেরিয়ে ভুতটুত দেখেছিস নাকি?

  আমি অবাক হয়ে বলি একা মানে তোর কালকের কথা কিছু মনে পড়ছে না। এইবলে আমি কাল রাতে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা ওকে বললাম।বোকার মতো মুখ করে গণেশ এতক্ষণ আমার সব কথা শুনছিল,আমার কথা শেষ হতেই বললো সুমিত তুই কবে থেকে হরর বুকস বা সিনেমা দেখছিস। যত গাঁজাখুরি স্বপ্নের কথা সকাল বেলা বলে মুড চটকাচ্ছিস। কাল খাবার পর আমি বিছানায় শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে দেখে তুই তো টর্চ হাতে বেরিয়ে পড়লি,বললি ঘুম আসছে না বাড়িটা ভালো করে ঘুরে দেখি। আমি উল্টে তোকে বারণ করলাম অচেনা অজানা জায়গায় ভুত থাক বা না থাক সাপ খোপ আছে যাসনা, তুই আমার কথা না শুনে বেরিয়ে গেলি।বেশি রাত অব্দী ঘুরে রাতে ঘুমিয়ে এখন স্বপ্নের ঢপ আমায় দিচ্ছিস। তোর যেতে হয় যা আমি এখানে থাকছি ব্যাস, ভুত দেখবো পল্লবীর সঙ্গে দেখা করে তবে  ফিরবো। আমি কিছু বলতে যাচ্ছিলাম তার মধ্যেই রতনলাল বাইরের দরজা ঠেলে ঢুকলো। লনে আমাদের দেখে যেনো কিছুটা নিশ্চিন্ত হলো,বাইরে কাউকে সঙ্গে এনে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল তার উদ্দেশ্যে বললো "লট যা,ম্যায় বাবু লোগ কা নাস্তা পানি করাকে আ রাহা হুঁ,ঘরমে বোল দে না সব ঠিক হ্যায়।"এরপর আমাদের দিকে দাঁত বের করে বললো,বাবু কাল নিন্দ আচ্ছা হুয়া না। গণেশ একটু খেঁকিয়ে বললো কিউ তুমহারা কেয়া খেয়াল তা হামলগ কো কই উঠাকে লে জায়গা। রতন লাল লাজুক ভাবে বলে নেহি সাহাব এইসা কই বাত নেহি,হাম ইউহি পুছে।

    দিনের আলোয় রতন লালকে ভালো করে দেখি। পাকানো রোগা শরীর, মুখ দেখেই বোঝা যায় বেশ ধুরন্ধর টাইপের, নাকের নীচে একটা তাগড়া গোঁফ যেটা মুখের অনুযায়ী বেমানান।

    রতন লাল বলে বাবুজী কাল এক ভুল হো গায় থে চায় কা ডিব্বা ঘর মে ছোড় আয়ে থে মাফ কর দেনা, আজ সাথ মে লায়ে হ্যায়। আমরা সবিস্ময়ে লক্ষ্য করি অবিকল কালকের সন্ধ্যের সেই  ফ্লাক্স,গণেশ কিছু বলতে যাচ্ছিল আমি ওকে ইশারায় থামাই। তারপর চট করে রুমে এসে দেখি না টেবিলে কালকের সেই ফ্লাক্সের অস্তিত্ব নেই।

   গণেশ রতনের কাছে বাড়ির বাকি চাবি চায়।রতন অধবদনে বলে জি হুজুর নীচে কা রুমকি চাবি মেরে পাস হ্যায় লেকিন উপর কা চাবি খো গায়ে, অভিতক বানায় নেহি,লেকিন বাবু উপর মত জানা। আমি বলি কেনো কি আছে ওপরে? রতন হা হা করে ওঠে কুছু নেহি বাবু এইসেই বোলা উপর বহুত দিনও সে সাফা নেহি হুহা, ইদার মে সাপ বহুত হ্যায় জি ইসলিয়ে বোলা।

   কথা না বাড়িয়ে রতনলাল খাবার চা দিয়ে চলে যায় দুপুরে খাবার দিয়ে যাবে বলে যায়। ঝিরি ঝির করে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঘরের ভিতর দুজনে কি করবো ভেবে পাইনা। আলমারির পাল্লা ধরে খানিক টানা হেঁচড়া করি কিন্তু সেটা চাবি দেওয়া। হটাৎ কি মনে হতে বিছানার তলা হাতড়াতে একটা চাবি পাই। সেটা দিয়ে একটু চেষ্টা করতেই আলমারির পাল্লা খুলে যায়। আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখি আলমারির ভিতরে মহিলা পোশাক আসাকে ভর্তি। সেই চেনা মিষ্টি গন্ধটা ভিতর থেকে বের হচ্ছে। একটু হাতরাতেই একটা ডায়েরি আর মহিলাদের রুমালে বাঁধা এক গোছা চাবি পাই। ডাইরির পাতা উল্টাতেই আমাদের চক্ষুস্থির হয়ে যায়,ডায়রিটা পল্লবীর। আমরা আগ্রহ সহকারে প্রথম পাতা উল্টাই, হয়তো সব রহস্যের পর্দা আজই উঠবে। কিন্তু আমরা তখনো জানতাম না আমাদের ভয়ঙ্কর দিনের শুরু হতে চলেছে।

                   --------চলবে-------

কপিরাইট রিজার্ভ@সৌগত@মুখোপাধ্যায়#২০২২







পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু