( সকাল-সন্ধ্যা-রাত )
মানুষের মতো বেঁচে থাকার জ্যোৎস্নায় ঝরাপাতা অরণ্যে হেঁটে চলেছি।
নিজের বাদামী মুঠোয় তপ্ত রোদকে রুদ্ধ করে পদতলে তুলেছি পাতা-ভাঙার শব্দ।
কখনো আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে খুঁজেছি গোলাপের রহস্যময়ী হাসি।
কখনো দেখছি ক্ষুধার্ত চোখে চাঁদের আবছায়াতে বসেছেন কবি সুকান্ত।
আকাশের মসৃণ নগ্নতা দেবদারুর শরীরময় জড়িয়ে রইলো।
বুকের কাছাকাছি আকস্মিক ভূমিকম্পে বিঘ্নিত হলো সুখী জীবনযাপন।
আমার অপরিচ্ছন্ন মুখ স্বচ্ছ হিরণ্ময় ভোরের আশায় বসে থাকলো।
সিগারেট-সমৃদ্ধ হাত, মনের বারুদ পুড়িয়ে ঠোঁটের রুক্ষতাকে করে নিলো আপন।
সিগারেট ঠোঁটে চেপে দু’চোখের কোণ ভিজিয়ে উঁকি দিলাম যৌবনের কোণে কোণে।
হঠাৎ উঠে এসে একে একে জড়িয়ে ধরলো ক্লান্ত অন্ধকার, শীতল ভালোবাসা আর দীঘল দীর্ঘশ্বাস!
কয়েক ঘন্টা ধরে ক্রমশ বেতারের কবিতা ফেরত পাঠালাম সন্ধ্যার আকাশে।
কলকাতা শহর আপাতত রইলো কবিশূন্য, পড়ে রইলো দিগন্তে তার ব্যস্ত সংসার!
মোমের আলোর মতো নরম শরীরে নীরা ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালো।
নীরার প্রেমের হবিষ্যান্নপুষ্ট আমি খুব গোপনে দাঁড়ালাম নিথর আলোর তলায়।
চশমা-পরা গোল মুখে ফ্যাকাশে ঠোঁটের চুমু কফির সঙ্গে ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হলো...
নীরব জোলো হাওয়ায় ভিজলো আমার মন, দাঁড়িয়ে থেকেও রয়ে গেলাম এক করুণ অদেখায় !
( অভ্র )