বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

( নতুন যা কিছু... )

ইঁটফাটা দুপুরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে দিগন্ত থেকে দিগন্তে।

অনুনাদী তেল-মশলার গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে কোনও বহুজাতিক রান্নাঘরে।

এখন কাজ হলো, সময়ের এই ভঙ্গুর গ্রীবায় ঘর্মসিক্ত শরীর নিয়ে যথাসাধ‌্য বেঁচে থাকা।

সহসা, রাত্রি খসে পড়বার পূর্বমুহূর্তে তিমিরগহনে শীতার্ত হলো শীর্ণ পাজরের খাঁচা!

মননের রেডিও-তে সিগারের কন্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হচ্ছে অশ্রুর নীল মদ্যরূপে।

আমি প্রাণপণে চাইছি যেকোনো অবস্থায়একজন মানুষরূপে পুনর্জন্ম নিতে!

কিন্তু, দেবতার কল‌্যাণে নয়, পুনর্জন্ম চাইছি সত্যিকার কোনও অমর কবিতায়।

শূণ্যপ্রসব উদ্বাস্তুপল্লী থেকে খুঁদ জমিয়ে ভেসে থাকতে চাইছি স্টিলের থালার কানায় কানায়।

আমি আর জন্মাতে চাইছি না কোনো দেশে, বরং সম্পূর্ণ বসুন্ধরার বুকে পুনর্জন্ম চাইছি।

কোনও কলের মালিকের শিশমহলে নয়; উনুনের কৃষ্ণ গহ্বরে বাঁচার কামনা করছি।

এই অনিয়মের সময়েও পুড়ে যাওয়া সিগারেটের ফিল্টার হাতে তুলে নেয় ঝাড়ুদার।

মাসের পয়লা দিনে পূর্ণিমার চাঁদের গা বেয়ে শ্রমিক-বস্তিতে চুইয়ে পড়ে সস্তার মদ।

প্রতিদিনের আলু-ভাতের সংসারে শুরু হয় লুচি-সন্দেশ আর রোম‌্যান্সের কারবার।

মাতাল নেতা পূর্বতন ধর্মঘটের স্পীচ আওড়ায় চোখে নিয়ে বিস্তৃত কাস্পিয়ান সৈকত।

আমি একটি বুভুক্ষু কুকুরের মতো চাই, সাইকেল-রিক্সাগুলো শিস দিয়ে বনান্তরে মিশে যাক ;

নীচু হয়ে জুতোর ফিতে বাঁধতে বাঁধতে আমার মাথা লাল শালুর স্পর্শ পাক।

নরম সোফায়,

হোমার-দান্তে-তলস্তয়ের সঙ্গে মালিক একান্তে ভোদকার স্বাদ নেন।

সস্তার সরাইখানার নর্দমায় ভেসে আসে বহুজাতিক রান্নাঘরের শীতল, সাদা ফ‌্যান।

আমি চাই, আমার ভিতরকার এই থ্যাঁতলানো রোমান্টিসিজম, ট্রামলাইনের পাশের পানের দোকানে বিক্রি হোক।

জামরুল গাছের প্রতিটি কোটরে করে প্রবেশ করুক নতুন বাতাস, নতুন প্রেরণা, নতুন ভোর!


( অভ্র )


পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু