( জুরাসিক শহরের ভোর )
গত রাতে বৃষ্টি হয়েছে খুব।
ছাদের মেঝে কুকুরের জিভের মতো ছোপ-ছোপ ভেজা।
দূরের বৃষ্টির ভেজা, সম্ভাবনাময় সুবাতাস গায়ে এসে লাগে।
দেখতে-দেখতে শূন্যে মেঘের রং ধীর হয়ে ওঠে;
পাশের বাড়ির কলতলায় শোনা গেলো লোহার বালতির ঝনঝন... ঝনঝন...
আচমকা, পানকৌড়িটা জলে দিলো ডুব!
ভোর হয়েছে এই এক ঘন্টা হতে চললো।
গত রাতে অসহ্য যন্ত্রণায়,
মন্ত্রণাময় স্বপ্নে কবিতার লাইনগুলো কুঁকড়ে যাচ্ছিলো!!
কপাল উঠছিলো ঘেমে,
পা টলছিলো নেশায়,
মদিরায় মাথা ছিলো ঝিমিয়ে।
ভোর হয়েছে এই দেড় ঘন্টা হতে চললো।
একগুচ্ছ টিউলিপ হাতে,
টেবিলের সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলো সিলভিয়া।
আমি ওকে দিয়েছিলাম অন্যের বাগানে রক্ত দিয়ে ফোটানো গোলাপ...
কিন্তু পারিনি ওকে বৃক্ষলতার মতো ঠাঁই দিতে!
বোকার মতো চোখে পড়ছিলো শুধু অচেনার সমারোহ।
ঘুম ভাঙলো --- বিছানা থেকে ছিটকে গেলাম ঘরের কোণায়।
অথচ, আমার ঘরের ঠিকানা শুধু ও-ই জানে।
শত প্রদীপে সলতে পাকিয়ে জ্বলায় তুলসীতলায়...
মেঝেতে ঝেড়ে ফেললাম আধপোড়া সিগারেটের ছাই।
এই জুরাসিক শহরে সকাল হয়েছে প্রায় দু-ঘন্টা হলো...
একটু পরেই পাশের কলতলায়, একটুখানি জলের জন্য কুরুক্ষেত্র শুরু হবে।
( অভ্র )