বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

লজ্জা

লজ্জা

*****

✒️অকথিত


মেঘনা দৌড়ে এসে দুহাতে বেঁধে ফেললো আকাশকে।

তারপরেই ছেড়ে দিল," কেন এলি বল তুই? কেন এলি?এই তো কদিন আগে কথা হলো,খুব বললি দেখা হবে না আর এই রথে!নাহয় বিশাল রথ হবে না এবছর।কিন্তু দেখ,মিঠু বনু প্রতিবারের মতই ছোট্ট রথ সাজিয়ে নিয়ে বেরিয়েছে কেমন সুন্দর।"

আকাশ নিরুত্তর।

-"মহান আকাশ বলে এরকম চুপ করে থাকবি তুই?আর মেঘনা বলে আমি স্রোতের মতো কলকল করে একা বকব?পাঁচ বছর আগে খুব তো জিলিপি খাইয়ে সারপ্রাইজ নিউজ দিয়েছিলি যে নিজের স্বপ্ন ছুঁতে পেরেছিস,সব বাধা পেরিয়ে,সেদিন তো চুপ ছিলি না?"

আকাশ নির্বাক।

মেঘনার মুখে রাঙা দ্যুতি খেলে গেল," অবশ্য আমিও দিয়েছিলাম সারপ্রাইজ তোকে, কারণ আমারও স্বপ্নপূরণের দিন ছিল সেটা।আমরা একসাথে মেঘ ছুঁয়েছি,তাই না বল?"

আকাশ চুপ।

আবার রেগে যায় মেঘনা,"বলবি না বল কথা?ফোনে খুব ডায়লগ দিচ্ছিলি সেদিন...ডাক্তারবাবু,আমরা যে যার যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধে ব্যস্ত এখন।দুজন দুই রকমের আক্রমণকে প্রতিহত করে চলেছি,প্রতিনিয়ত,আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে বাঁচাতে।নাইবা হলো দেখা এ রথে,আকাশ আর মেঘনা যে দূর দিগন্তে একসাথে বাঁধা,দূরত্বে ভালোবাসার কি এসে যায়?যুদ্ধ শেষে দেখা হবে আবার...বললি তো এত কিছু,তবে কেন এলি এভাবে আজ?জবাব দে না!"

ডঃ মেঘনা ডুকরে উঠে আবার জাপটে ধরলেন ক্যাপ্টেন আকাশকে।পাঁচ বছর আগের রথের ভিড়ে লোকলজ্জা ফল্গু করে রেখেছিল মনের আবেগকে।কিন্তু আজ মেঘনার লজ্জা,অভিমান ধুয়ে নামা স্রোতে ভিজে যাচ্ছে রক্তমাখা তেরঙায় ঢাকা একটি দেহ।দূরে কোথাও থেকে ভেসে আসছে," আমায় বলে বলুক লোকে মন্দ,বিরহে তার প্রাণ বাঁচে না...”

পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু