বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

রসায়নের রহস্যে

দিন পনেরো ধরে সন্ধ্যা সাতটা তিরিশের আপ হাওড়া-কাটোয়া লোকাল ধরছে বছর পঞ্চাশের শুভব্রত সাহা । প্রায় বারো বছর হল --- পূর্বস্থলীর পৈতৃক ভিটে ছেড়ে কল্লোলিনী কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা সে । শুধুমাত্র রাতে গ্রামের বাড়িতে ফেরার তাগিদেই ল্যাব থেকে বেরিয়ে , নানা সমস্যাকে অতিক্রম করেও এত রাতের ট্রেন ধরা । ঘরে পা দিতে দিতে বেজে যায় প্রায় দশটা তিরিশ । আগে ছুটিছাটা ছাড়া তেমন বাড়ি ফিরত না শুভব্রত । কিন্তু ইদানীং রোজ ফিরতেই হচ্ছে । এখনকার এই ডেলিপ্যাসেঞ্জারির পিছনে কারণ হিসেবে আছে এক গুরুতর সমস্যা । শুভব্রতর মা , অপরাজিতা দেবী , প্রায় একমাস ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় শয্যাশায়ী । ডাক্তারবাবু বলেছেন , শেষের প্রহর শুরু হয়ে গেছে; যে কোনো দিন চিরশান্তির দেশে পাড়ি দেবেন মা । তাই এই শেষ মুহূর্তটায় মায়ের পাশে থাকতেই প্রতি রাতে কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরে মায়ের একমাত্র সন্তান শুভব্রত । রাতের খাবারটা খেয়েই মায়ের সাথে মেতে ওঠে নানান গল্পে  । অসুস্থ অপরাজিতা দেবী বেশিরভাগ কথাই শুনতে পান না বা শুনলেও বয়সের কারণে তা বুঝে উঠতে পারেন না । উত্তর দেবার তো প্রশ্নই নেই । কিন্তু শুভব্রত আপন মনেই বকে চলে । বাপমরা ছেলেটাকে একা হাতে বড়ো করে তুলেছেন মা। খুবই মধুর সম্পর্ক তাদের । তাই মায়ের মৃত্যুদিন এগিয়ে আসার সাথেসাথেই মায়ার বাঁধন যেন আরও দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরছে তাকে , দিনযাপনে থাবা বসাচ্ছে দুশ্চিন্তার করালগ্রাস । মা বিছানা নেওয়ার পর থেকেই শুভব্রতের মস্তিষ্কও যেন বিকল হতে শুরু করেছে । 

জৈবরসায়নে পোস্টডক্টরেট শুভব্রত কলকাতায় নিজস্ব ল্যাবেই কাজ করে । এখন তার হাতে রয়েছে স্বল্প মূল্যে ফ্যাটপাচনকারী ওষুধ তৈরির একটি বড়ো বাজেটের প্রজেক্ট । ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে বিশাল অঙ্কের  অগ্রিম সে নিয়ে নিয়েছে আগেই । শুধু টাকার জন্যই নয় ,মানুষের মঙ্গলের জন্যও এই প্রকল্পের সাফল্য খুবই জরুরি তার কাছে । গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দিন দিন যেভাবে জীবন্ত বিভীষিকা হয়ে উঠেছে , তার একমাত্র স্থায়ী সমাধান হতে পারে এই ওষুধ । যুগান্তকারী এই আবিষ্কার হয়ে উঠতে পারে গরিবের বিশল্যকরণী । কিন্তু সব কিছু যেন মিলেও মিলছে না । শুভব্রতের মগজ প্রতি মুহূর্তে বিশ্বাসঘাতকতা করে চলেছে। দশটির বেশি জীবনদায়ী ওষুধের আবিষ্কারক , ডক্টর শুভব্রত সাহা কর্মজীবনে প্রথমবারের জন্য অনুভব করছে এক নিদারুণ  অসহায়তা । 

আবারও রোজকার মতই সাতটা তিরিশের আপ ট্রেন ধরলেন তিনি । ফার্স্ট লেডিসের ঠিক পিছনের কামরাকেই বিজ্ঞানসাধক  বেছে নিয়েছেন স্বল্পমেয়াদী এই ডেলিপ্যাসেঞ্জারির মাধ্যম হিসেবে । পনেরো দিন সময়টা তো নেহাত কম নয় । কয়েকদিনের ট্রেনযাত্রাতেই বন্ধুত্ব বেশ জমে গেছে দু-তিন জনের সঙ্গে । তাদের মধ্যে  একজন বারিন ঘটক । লক্ষ্মীপুরনিবাসী এই ভদ্রলোক একসময় সারদার এজেন্ট ছিলেন । কোম্পানি গুটিয়ে যাবার পর থেকে কলেজ স্ট্রিটে এক বইয়ের দোকানে কাজ করছেন বছর দুয়েক হল । মাইনের স্বল্পতার কারণে  রাজধানীতে মেস ভাড়া নিয়ে থাকা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে । অগত্যা প্রতিদিন ভোরের ট্রেনে কলকাতা যাওয়া আর রাতে বাড়ি ফেরা । মিশুকে এই লোকটার সরলতা খুব আকৃষ্ট করে শুভব্রতকে , সাথে কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও বেঁচে থাকার এই দুর্দম লড়াই দেখে অনুপ্রাণিত হয় সে ।

দ্বিতীয়জন চন্দননগর গভর্নমেন্ট কলেজে রসায়ন বিভাগে পাঠরতা ইরানা রায়, বাড়ি সমুদ্রগড়। কলেজ ছুটির পর টিউশন শেষ করে এই ট্রেনটি সে ধরে চন্দননগর থেকে  । রাতের দিকে লেডিস কামরা প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়, তাই লেডিসের ঠিক পিছনের এই কামরাটিতেই রোজ ওঠে মেয়েটি । যদিও কালনা পেরোনোর পর এই ট্রেনের কোনো কামরাতেই দশজনের বেশি যাত্রী খুঁজে পাওয়া সম্ভবপর হয় না; তমসার বুক চিরে একের পর এক নির্জন প্ল্যাটফর্ম ছুঁয়ে এগিয়ে যায় একাকী ট্রেন । বারিন আর ইরানা ছাড়াও আরেকজনের সাথে ভাব বেশ জমে গেছে শুভব্রতবাবুর । তিনি নবদ্বীপের বাসিন্দা , ঝালমুড়ি বিক্রেতা পল্টু পাল । এই আপের ট্রেনটাতেই উনি বাড়ি ফেরেন প্রতিদিন  । মোটামুটি বলাগড় বা বেহুলায় ট্রেন ঢোকার আগেই তার বিক্রিবাট্টা পুরপুরি শেষ হয়ে যায় । তারপর আর প্যাসেঞ্জারও থাকে না তেমন । সর্বশেষ বিক্রয়স্থল ফার্স্ট লেডিসের ঠিক পিছনের এই কামরা । অম্বিকা কালনাতে এই কম্পার্টমেন্টে উঠেই তিনি সওয়ার হন বাড়ির পথে । শুভব্রত তাকে দেখে আর ভাবে -- "এই লোকটাও ক্রেতাদের কাছে নিজের প্রোডাক্টকে আকর্ষণীয় করে তুলতে নিত্যনতুন ফর্মুলায় নানান ধরনের মশলা মেশান । আমরা সবাই-ই আসলে এক একজন ফর্মুলার কারবারি । যার ফর্মুলা যত সফল , সে তত বেশি হিট । নতুন হজমের ওষুধটা কেন যে বারবার আমার ফর্মুলাকে প্রত্যাখান করছে , কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছি না । দিন দিন কেমন যেন চক্রব্যুহের অভিমন্যু হয়ে যাচ্ছি আমি !  " রোজ এক ঠোঙা ঝালমুড়ি পল্টু এখন বাঁচিয়েই রাখে শুভব্রতর জন্য । ' পল্টুর স্পেশাল ঝালমুড়ি' তার মন থুড়ি জিভ জিতে নিয়েছে । 

ইরানার সাথে প্রথম পরিচয় ঠিক দশ দিন  আগে । চিন্তান্বিত শুভব্রত সেদিন ট্রেনে বসেই , ল্যাবে করে আসা কিছু কাজের বিশ্লেষণাত্মক ফলাফল খুঁটিয়ে লিখছিল । কয়েকটি সমীকরণ নিয়ে খাতায় পুরোপুরি ডুবে গেছিল ও । হঠাৎই একটা সুরেলা স্বরে ঘোর কাটে । " কাকু, এখানে বোধ হয় , আপনার একটু ভুল হচ্ছে । কিটোনের বদলে এস্টার মেশালে ইকুয়েশনটা হয়তো সহজেই  মিলে যাবে । " -- শুভবাবুর পাশে বসে থাকা ইরানা একমনে দীর্ঘক্ষণ খাতার দিকে তাকিয়ে থাকার পর অবশেষে বলে ওঠে । চমকে যায় শুভব্রত । এত অল্পবয়সী একটি মেয়ের এমন জটিল বিষয়ে এত নিখুঁত ধারণা মুগ্ধ করে তাকে । শুধরে নেন নিজের ভুল । পরে কথোপকথনে জানতে পারেন , সমুদ্রগড় নিবাসী স্কুলশিক্ষকের একমাত্র মেয়ে ইরানা চন্দননগর গভর্নমেন্ট কলেজের রসায়নের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী । আগের দুটি ইয়ারে ইউনিভার্সিটির সর্বোচ্চ নম্বর তারই  দখলে । তবে এমনিও যে মেয়ে বিজ্ঞানী শুভব্রত সাহার ভুল ধরতে পারে , তার মেধা নিয়ে সংশয়ের কোনো জায়গাই নেই । পরদিন থেকে ট্রেনে উঠে ঠিক নিজের পাশের সিটটাই শুভ রাখতে শুরু করে ইরানার জন্য । ক্লান্ত রেলযাত্রায় তাদের সম্বল পল্টুর ঝালমুড়ি আর নির্ভেজাল রাসায়নিক আড্ডা । 

স্টেশন থেকে ফিরে , বাড়িতে পা দিতেই চমকে উঠল শুভব্রত । উঠোনে আত্মীয়স্বজনের  বিশাল ভিড় । ফুলে, মালায় অপরাজিতাদেবীর নিথর দেহ সাজানো রয়েছে সেখানে ; অথচ তাকে জানানো অবধি হয়নি । ডাক্তারবাবুকে খবর দেওয়া থেকে মৃতদেহ সাজানো, আত্মীয়পরিজনদের সাথে যোগাযোগ --- সবই করেছে বাড়ির কাজের মেয়ে কল্পনা ও কেয়ারটেকার রাঘব । দুপুর ১ টা ৫৫ তে অপরাজিতা দেবীর  শেষ নিশ্বাস ত্যাগের সাথে সাথেই রাঘব ফোন করেছিল দাদাবাবু শুভব্রতকে , পরেও চেষ্টা করেছে অনেকবার । কিন্তু অন্যান্য দিনের ন্যায় আজও ল্যাবে ঢুকেই ফোন অফ করে দেয় শুভ , বেরোনোর সময় যথারীতি ভুলে যায় সুইচ অন করতে । বাড়ি ফিরেই সে প্রথমবারের জন্য জানল --- মা আর নেই । 

মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল ওই রাতেই । এখনও সারাদিন ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে চলেছে শুভ । মায়ের মৃত্যুমুহূর্তে পাশে থাকতে না পারার যন্ত্রণা তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে । 

একে প্রাণাধিক প্রিয় মায়ের মৃত্যু , তার ওপর গুরুদশায় অর্ধাহার --- মানসিক ও শারীরিক দিক দিয়ে ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছে মাতৃভক্ত বিজ্ঞানসাধক । দিন সাতেক হল কলকাতা যাওয়াও বন্ধ । মায়ের মৃত্যুর দিন ফিরে এসে সেই যে কাঁধের ব্যাগটা ফেলেছে , আর ফিরেও দেখেনি । ওষুধটা বোধ হয় আর আবিষ্কার হবে না ওর দ্বারা । এখন কয়েকটা দিন লম্বা বিশ্রাম দরকার । শ্রাদ্ধশান্তি মিটলেই মাস দুই কোনো নির্জন এলাকায় কাটিয়ে আসবে সে । 


" কালই কলকাতা গিয়ে ওষুধ কোম্পানির অ্যাডভান্স-এর টাকা আর ল্যাবে থাকা ওদের জিনিসপত্রগুলো ফেরত দিয়ে আসবো । এই কাজটা আমার জন্য নয় । ফিরে থেকে তো আর হাত-ই দিইনি ব্যাগে , গোছানোই আছে সব ! ফার্স্ট ট্রেনেই বেরিয়ে পড়ব কাল । " -- গুরুদশাতেই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল শুভব্রত । যেই ভাবা সেই কাজ । বেরিয়ে পড়লো পরদিন ভোরে । ল্যাবরেটরিতে যখন পৌঁছলো, ঘড়ির কাঁটা দশটা ছুঁইছুঁই । কোম্পানির বিকার , ব্যুরেট, পিপেটগুলো ধুতে ধুতে রসায়নপ্রেমী শুভ ভাবলো ---  একবার শেষবারের মতো ব্যাগ থেকে ফর্মুলার খাতাটা বের করে বসাই যাক না ! তারার দেশে থাকা মায়ের আশীর্বাদে মিলেও তো যেতে পারে এবার । 


তবে নিজের অবচেতন মনে শুভব্রত কিন্তু  ব্যর্থতার আভাসই পাচ্ছিল । তার মানসিক অস্থিরতা যে পর্যায়ে পৌঁছেছে , তাতে আর যাই হোক , এই পাহাড়সম কঠিন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় তার পক্ষে । ব্যাগ ঘেঁটে খাতাটা বের করতে গিয়ে দু-একটা ছেঁড়া কাগজ এসে বাঁধল হাতে ,  দুমড়ে ফেলে দিতে গিয়েও কি ভেবে যেন খুলে দেখলো শুভ আর তাতেই হৃদস্পন্দন গেল থমকে । 

কাগজে মুক্তখচিত হস্তাক্ষরে লেখা --  ওষুধের সেই বহুকাঙ্ক্ষিত ফর্মুলার সমাধান । কিন্তু শুভব্রত নিজে তো এই সমাধান করেনি । তবে কি এ মা অপরাজিতা দেবীর আশীর্বাদ ?  ছেলের ব্যর্থতায় ব্যথিত মায়ের চূড়ান্ত সহায়তা স্বর্গ থেকে ? হয়তো অলৌকিক , কিন্তু অসম্ভব তো নয় ! অশরীরি মা কি তবে গোপনে এই সমাধাননামা রেখে গেছেন ব্যাগে ? কিন্তু হাতের লেখা তো মিলছে না । এসব ভাবতে ভাবতেই শুভ আনন্দে চেঁচিয়ে উঠলো --" আই লাভ ইউ মা  ।" আবারও হাত ঢোকালো ব্যাগে । পেল আরেকটি চিরকুট । 

তাতে লেখা ---

“নমস্কার স্যার , ভয় পাবেন না । আমি ইরানা লিখছি । দিদিমার মৃত্যুর দিন ফেরার পথে , ট্রেনে আমি আপনার ব্যাগে এই সমাধানের কাগজটা ভরে দিই । মনে পড়ে , বছর কুড়ি  আগে অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে আপনাকে তড়িঘড়ি একটি পেইনলেস ভ্রূণহত্যাকারী ওষুধের ব্যবস্থা করতে বলা হয় আর আপনি দেড় দিনের মাথায় নতুন কম্পোজিশনের ইনজেকশন তাদের সরবরাহ করেন ।  তা দিয়ে হত্যা করা হয় আগরওয়াল দম্পতির চার মাসের কন্যাভ্রূণকে । ঘটনাটা আপনার অজানা ছিল না । আপনার যা সামাজিক প্রতিপত্তি , তাতে অনায়াসে আপনি এই অন্যায় রোধ করতেই পারতেন । কিন্তু ,আপনি টাকার কাছে বিকিয়ে দিলেন বিজ্ঞানকে । পরপর দুটি কন্যাসন্তান হওয়ার পর ওই ধনী দম্পতি যখন ভ্রূণস্থ আগত কন্যাটিকে হত্যা করতে চায় , আপনি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের যথোপযুক্ত সহায়তা করেন । আমিই সেদিনের সেই মৃত কন্যাভ্রূণ , আমিই সেই অতৃপ্ত আত্মা । তার আগের জন্মে আমার প্রিয় বিষয় ছিল রসায়ন । পরের জন্মেও হয়তো তাই-ই হতো । কিন্তু আপনি তো আমাকে পৃথিবীতে আসতেই  দিলেন না , তাই এভাবেই ভূত হয়ে বিপদাপন্ন রসায়নপ্রেমীদের নানাভাবে সহায়তা করি আমি । এবার আপনাকেও করলাম ইরানার ছদ্মবেশে । তবে যেহেতু এককালে একটি নিষ্পাপ, নিরপরাধ ভ্রূণকে হত্যা করে আপনি এই পবিত্র বিষয়কে কলুষিত করেছেন , তাই রসায়নই আপনাকে শাস্তি দেবে । ভবিষ্যতে একসাথে গবেষণার ইচ্ছে রইল, স্যার । স্বাগত । " 

ঘাবড়ে গেছে শুভব্রত । ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেও গলদঘর্ম অবস্থা তার । সন্ধ্যে নেমেছে বাইরে । ফর্মুলাটা তাড়াতাড়ি ওষুধ কোম্পানিকে মেইল করে ল্যাব থেকে বেরোতে গেল সে । অসাবধানতায় উলটে দিল কেমিক্যাল শেলফ । বার্নারটাও অফ করা হয়নি । 

' সুপ্রভাত ' পত্রিকায় পরদিনের হেডলাইন ---

" যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কারের কয়েকমিনিটের মধ্যেই ক্ষণিকের অসাবধানতায় নিজের ল্যাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত বাঙালি বিজ্ঞানী শুভব্রত সাহা । " 


বাতাসে বিজয়োল্লাসের একটা অদৃশ্য অট্টহাসি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ॥ 



   

 

পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু