বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

সেই রাত বর্ষায়

তখন অঝোরে বৃষ্টি পড়ছিল । আমরা ক জন একটা অটো করে বালিগঞ্জ থেকে আনন্দ পালিত রোডে ফিরছিলাম। রাত তখন অনেকটাই হবে ! শুন্শান রাস্তা । এত বৃষ্টি হচ্ছে যে কিছু দেখা যাচ্ছে না । হঠাৎ একটা বৃদ্ধ মহিলা রাস্তা ঘিরে দাঁড়ালো । যেন মনে হলো যে আমার দিকেই তাঁর দৃষ্টি স্হির । ভয়ঙকর  দেখতে।পুরো সাদা চুল । মুখে বয়সের চাপে কুচকে গেছে ।চোখের দৃষ্টিটা কি জলন্ত । যাকে দেখবে মনে হয় যে তার সেটি শেষ দিন হবে । 

আমি আর বেশিক্ষণ তাকাতে পারলাম না । হঠাৎ বলে উঠল ,'সে যে ফিরে এসেছে ...।'অটোটা মনে হয় ওনার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য এগোতে পারছিল না । এখন দেখি আবার অটো চলছে। অটোওয়ালা অকপটে বলে উঠল ,'কি আর বলবো দিদি ...রাস্তার জমা নোংরা জলে যেন অটোটি দাঁড়িয়ে গেছে । 

যেই বৃদ্ধার কথা শেষ হল ,অমনি দুম করে সব ঠিক হয়ে গেল । মোনটা তোলপাড় করতে থাকলো । এ তিনি কি বললেন ? কে এসেছে ?কি করতে এসেছে ? আমার সন্দেহবাতিক মনের গভীরে ঐই বাক্যগুলি কুরে কুরে খেতে লাগলো ।যখন অটোটা চলতে লাগল আর বৃদ্ধাকে দেখতে পেলাম না । নিমেশে উধাও।

আমার সাথে যে আমার আরো পাঁচজন বান্ধবী ছিল ,তারাও কিছু বুঝে উঠতে না পেরে আমায় প্রশ্ন করতে লাগলো । এর উত্তর আমার নিজেরও জানা ছিল না । এসব চিন্তা করতে করতে আমরা আমাদের গেসট -হাউসের বাড়িতে ফিরলাম ।তখন ভোর চারটে হয়ে গেছে ।

এতো ক্লান্ত ছিলাম যে জামাকাপড় পাল্টেই মনে হল যে শুয়ে যাই।যথারিতী তাই করলাম ।আজেবাজে স্বপ্ন দেখতে লাগলাম ।তাই বেশিক্ষণ আর শোয়া হয়ে উঠল না । আমাদের এই গেসট -হাউসের বাড়িতে একজন কাজের মাসি আসে ,তখন এক কাপ চা এনে হাসি মুখে সামনে এসে দাঁড়ালো ।মোনটা কিছুটা হাল্কা হল এবং মনে হল সবটাই হয়তো একটা খারাপ স্বপ্ন ছিল ।আজ ভাবলাম যে আজকে আর চাকরিতে যাবনা । বরং একটা সিনেমা দেখে আসি । 

সকালেই টিকিটটা কাটলাম ।সিনেমা হলে খুব বেশি ভীড় ছিল না । হঠাৎ পাশে মনে হল কেউ যেন আমার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে । একটু অস্বস্তি হতে লাগল । এমনি আমার অচেনাদের সাথে ভাব করতে ইচ্ছাই করে না । দেখলাম সেই বৃদ্ধাটি ।

একদম পাশের সিটেই বসা । তীক্ষ্ণ দৃষ্টি । মুখটা অতি ভয়ের । আবার বলছে।'সে এসে এবার কিন্ত ছাড়বে না ।' আমি শীউরে উঠলাম । হাত-পা একদম ঠান্ডা হয়ে আসছে ।আমি চিৎকার করে উঠলাম ',আপনি কে ? কেন আমাকে বিরক্ত করছেন ?' 

ততক্ষণে সিনেমার 'ইন্টারভেল ' হয়েছে । একগুচ্ছ লোক আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে । আর পাশের সীটের সেই বৃদ্ধাটি ? আর নেই । আমি নিজেই হতবাক হয়ে রইলাম । কিছু কিছু লোক ভীড় থেকেই বলে উঠল ,'দিদি আপনি ভূতের সিনেমা দেখতে এসেছেন তো ...তাই হয়তো বিশেষ ভয় পেয়েছেন...'বলে হেসে ,ধীরে ধীরে সবাই নিজের সীটে গিয়ে বসল । সিনেমার শেষ পর্ব আবার চালু হল । 

আমি কাউকেই কিছু বলতে পারলাম না যে কি দেখলাম । এসব সত্যি কাউকে বলার মত ব্যাপারও না । খালি মনে হতে লাগল ,আবার যদি সেই বুড়িটা ফিরে আসে ?...আবার যদি বেশি শরীরখারাপ হয় আমার ? সাত -পাঁচ ভাবতে ভাবতে ,আর সিনেমা দেখতে পারলাম না ।

তখন অঝোরে বৃষ্টি পড়ছিল । আমরা ক জন একটা অটো করে বালিগঞ্জ থেকে আনন্দ পালিত রোডে ফিরছিলাম। রাত তখন অনেকটাই হবে ! শুন্শান রাস্তা । এত বৃষ্টি হচ্ছে যে কিছু দেখা যাচ্ছে না । হঠাৎ একটা বৃদ্ধ মহিলা রাস্তা ঘিরে দাঁড়ালো । যেন মনে হলো যে আমার দিকেই তাঁর দৃষ্টি স্হির । ভয়ঙকর  দেখতে।পুরো সাদা চুল । মুখে বয়সের চাপে কুচকে গেছে ।চোখের দৃষ্টিটা কি জলন্ত । যাকে দেখবে মনে হয় যে তার সেটি শেষ দিন হবে । 

আমি আর বেশিক্ষণ তাকাতে পারলাম না । হঠাৎ বলে উঠল ,'সে যে ফিরে এসেছে ...।'অটোটা মনে হয় ওনার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য এগোতে পারছিল না । এখন দেখি আবার অটো চলছে। অটোওয়ালা অকপটে বলে উঠল ,'কি আর বলবো দিদি ...রাস্তার জমা নোংরা জলে যেন অটোটি দাঁড়িয়ে গেছে । 

যেই বৃদ্ধার কথা শেষ হল ,অমনি দুম করে সব ঠিক হয়ে গেল । মোনটা তোলপাড় করতে থাকলো । এ তিনি কি বললেন ? কে এসেছে ?কি করতে এসেছে ? আমার সন্দেহবাতিক মনের গভীরে ঐই বাক্যগুলি কুরে কুরে খেতে লাগলো ।যখন অটোটা চলতে লাগল আর বৃদ্ধাকে দেখতে পেলাম না । নিমেশে উধাও।

আমার সাথে যে আমার আরো পাঁচজন বান্ধবী ছিল ,তারাও কিছু বুঝে উঠতে না পেরে আমায় প্রশ্ন করতে লাগলো । এর উত্তর আমার নিজেরও জানা ছিল না । এসব চিন্তা করতে করতে আমরা আমাদের গেসট -হাউসের বাড়িতে ফিরলাম ।তখন ভোর চারটে হয়ে গেছে ।

এতো ক্লান্ত ছিলাম যে জামাকাপড় পাল্টেই মনে হল যে শুয়ে যাই।যথারিতী তাই করলাম ।আজেবাজে স্বপ্ন দেখতে লাগলাম ।তাই বেশিক্ষণ আর শোয়া হয়ে উঠল না । আমাদের এই গেসট -হাউসের বাড়িতে একজন কাজের মাসি আসে ,তখন এক কাপ চা এনে হাসি মুখে সামনে এসে দাঁড়ালো ।মোনটা কিছুটা হাল্কা হল এবং মনে হল সবটাই হয়তো একটা খারাপ স্বপ্ন ছিল ।আজ ভাবলাম যে আজকে আর চাকরিতে যাবনা । বরং একটা সিনেমা দেখে আসি । 

সকালেই টিকিটটা কাটলাম ।সিনেমা হলে খুব বেশি ভীড় ছিল না । হঠাৎ পাশে মনে হল কেউ যেন আমার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে । একটু অস্বস্তি হতে লাগল । এমনি আমার অচেনাদের সাথে ভাব করতে ইচ্ছাই করে না । দেখলাম সেই বৃদ্ধাটি ।

একদম পাশের সিটেই বসা । তীক্ষ্ণ দৃষ্টি । মুখটা অতি ভয়ের । আবার বলছে।'সে এসে এবার কিন্ত ছাড়বে না ।' আমি শীউরে উঠলাম । হাত-পা একদম ঠান্ডা হয়ে আসছে ।আমি চিৎকার করে উঠলাম ',আপনি কে ? কেন আমাকে বিরক্ত করছেন ?' 

ততক্ষণে সিনেমার 'ইন্টারভেল ' হয়েছে । একগুচ্ছ লোক আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে । আর পাশের সীটের সেই বৃদ্ধাটি ? আর নেই । আমি নিজেই হতবাক হয়ে রইলাম । কিছু কিছু লোক ভীড় থেকেই বলে উঠল ,'দিদি আপনি ভূতের সিনেমা দেখতে এসেছেন তো ...তাই হয়তো বিশেষ ভয় পেয়েছেন...'বলে হেসে ,ধীরে ধীরে সবাই নিজের সীটে গিয়ে বসল । সিনেমার শেষ পর্ব আবার চালু হল । 

আমি কাউকেই কিছু বলতে পারলাম না যে কি দেখলাম । এসব সত্যি কাউকে বলার মত ব্যাপারও না । খালি মনে হতে লাগল ,আবার যদি সেই বুড়িটা ফিরে আসে ?...আবার যদি বেশি শরীরখারাপ হয় আমার ? সাত -পাঁচ ভাবতে ভাবতে ,আর সিনেমা দেখতে পারলাম না ।সজোরে হাঁটা দিলাম বাড়ির দিকে । সেদিন রাতে দেখলাম আমার হারিয়ে যাওয়া রাম কে ।যে রাম পুরো পাগল করে দিতো আমায় তার ছোয়ায়।আগে চুমু তারপর আমার ভরা বুকে ,পেটে গোপন যাগায় হাত । সেদিন ও তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল আর আজও...সে আমায় নিয়ে যেতে আহবান করছে...।

 

 

পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু