বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

আমিকথা

সকলে বলে আমিটা বড্ড জটিল,চোখকেও নিজের ইচ্ছেমত কথা বলাতে পারি।মনের ভেতর বয়ে চলা ধ্বংসের ঘুর্নিঝড় চাপা দিতে পারি নির্লিপ্তির হাসিতে,বুকের ভেতরের পাড় ভাঙা শব্দপুঞ্জ চেপে দিই মেকী হাসির অন্তরালে।না ছিলাম না আমি এরকম,বহুদিন ধরে বহুপথ ঘুরে আজ এসে দাঁড়িয়েছি এই গলির বাঁকে,যেখানে নিজের বলতে সম্বল লাল-নীল দগ্ধদায়ক নেশাসমূহ,একা পরিপূর্ণ একা এই ধরণীর বুকে,দুপাশে গভীর খাদ,পা হড়কালেই......মৃত্যু!!

দক্ষ জিমন্যাস্ট মত ব্যালান্স করে হাঁটছি দড়ির ওপর,কোথায় শিখলাম মরে গিয়েও বেঁচে ওঠার ফিনিক্সিয় কসরত??কে জানে!!বহুবর্ষ পার হয়েছে নীরব আর্তনাদে,এখন আর মনে পড়েনা পূর্বজন্মের হাসি কলতান সম্বলিত উৎসবমুখর সন্ধ্যার কথা,কে যেন হাত ধরে বলত আয় নাচি,আমরাও বাঁচতে পারি,প্রাচুর্য এ নয়,পরিতৃপ্তিতে।খড়ছাওয়া কুঁড়েঘরের দখিনের জানলায় দাঁড়িয়ে হাতে হাত রেখে কেউ প্রশ্ন করেনা,"চাঁদের গায়ে এত কলঙ্কনিশান,তাও কেন এত ভালোবাসো তাকে?" তার নরম চুলে হাত বুলিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলতে পারিনা,-"তোমায় ভালোবাসি,তোমার দোষ গুন সবই আমার সম্পদ,তুমি অনন্য।"

একদিন খুব বকেছি তাকে নিকোটিন ছাড়ার জন্য,আজ নিজের ফুসফুস দগ্ধ করি প্রতিনিয়ত তাকে ছোঁয়ার ব্যার্থ চেষ্টায়,পোড়া ঠোঁটে আঁকি নৈঃশব্দ্য এর হননকাল।হ্যাঁ আমি বিবাগী,সংসার সীমান্ত ছেড়ে এসেছি বহুদিন,হেঁটে চলেছি দিগন্তপারে,অনন্ত মুক্তিপ্রতিক্ষায়।

এক পাগলি চায় জুড়তে সাথে,প্রতিবার শেকল পরায় নৈব্যক্তিকে,স্বপ্ন দেখে আজও একসাথে পথ চলার।কিকরে বোঝাই,শবের নেই কোনো ঘর,পরিবার,তারা লাশকাটা ঘর পেরিয়ে হেঁটে চলেছে চিতামুখে।তার পথ আটকাতে নেই,চুড়ান্ত অমঙ্গল,যেতে দিতে হয়,অসীম নির্বাণপথে।

জ্বরের ঘোরে কলম হারাচ্ছে শব্দ,বিধাতার প্রতি ভয় নেই,চুড়ান্ত নিরীশ্বরবাদী। চাইব সেই পাগলিকে যেন ভালো রাখে,আমার বিগত কোনো পুণ্যফলে।হ্যাঁ আমি ভবঘুরে,বোহেমিয়ান, ধ্বংস লিখি কলমে,করি অন্তিমের আহ্বান।।

©রিয়া

পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু