আলোর রোশনাই
আলোর রোশনাই
নতুন সংসার দুচোখে স্বপ্ন,
মেয়েটি লজ্জায় আবেশে মগ্ন,
প্রেমের নদীজলে চলেছে ঢেউ তুলে
মানস তরণী কত না ছলে বলে।
প্রেমিক পুরুষের প্রতিটি চাহনি
বলেছে তোমাকে কবে থেকেই চিনি।
আকাশকুসুম ঐ স্বপ্ন ধরা দেয়
নয়নে নয়ন কেবলই চেয়ে রয়।
কাটলো আবেশে দিন কয়েকটা
কঠিন মানুষেরা পড়ালো ঘোমটা।
পণের দায়ভার চাপালো তার ওপর
বাপের বাড়ি গিয়ে নিয়ে আসো মোহর
টাকার বান্ডিল,গহনা এন্তার,
না দিলে মুখ বুজে সও অত্যাচার।
বাসন মেজে করো ঝকঝকে সব
রান্না,কাচা ধোওয়া,মোছা সবার ঘর,
বকাঝকা আর কলহ ,দোষারোপ,
বাবা ও মায়ের জরুরী তলব।
নালিশে নালিশে কান পাতা দায়
মেয়েটিকে ঘিরে কাহিনী শোনা যায়।
মেয়েটি শিখে নেয় প্রতিবাদের ভাষা,
বাপের বাড়ি ফিরে যাবার দুরাশা
পোষণ করেছিল,গুছিয়ে নিল ড্রেশ,
স্বামীকে বলেছিল,এই যাওয়াই শেষ।
স্বামীও বলেছিল,মানিয়ে নিতে হয়,
ওরা তো আমাদের আপনজনই হয়।
ঝগড়া কলহের মাঝেই একদিন
আগুন জ্বেলে দিল,ঢাললো কেরোসিন,
ঘরেতে ছিল এক ছোট্ট দেশলাই,
নিমেষে ছুঁড়ে দিল,আলোর রোশনাই।
বধূর চিৎকারে সবাই এসে পড়ে,
মিথ্যে বাঁচানোর শুধু নাটক করে।
নিজের জেদে মেয়ে দিল আগুন গায়,
পাড়া চাউড় হোল মিথ্যে রটনায়।
মিষ্টি মেয়েটা না পেলে ভালোবাসা
কথার চাবুকে মিটলো সব আশা।
জ্বলতে জ্বলতে মৃত্যু এসে গেল
নিভলো জীবনের সবটুকু আলো।
বাপের বাড়িতে খবর পাঠালো
বেহায়া মেয়েটা শেষেও জ্বালালো!
@শিখা