বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

অজ

#মাইক্রো_স্টোরি

#অজ

✍#ঝিলিক_মুখার্জী_গোস্বামী


সপ্তগ্রামের কালী ডাকাতের অত্যধিক অত্যাচারে গ্রামের পর গ্রামবাসী ভীত সন্ত্রস্ত। ভয়ের কবল থেকে বাঁচতে, গ্রামের তৎকালীন রাজাধিরাজ রামনারায়ণ রায়ের দ্বারস্থ হয় তারা। রাজামশাই অসীম চিন্তা করে কঠিন সিদ্ধান্ত নেন। ডাকাত-রাজায় মহাজোট। শর্তানুযায়ী মহারাজের খাজাঞ্চি খানা থেকে মহার্ঘ পরিমাণে অর্থ কালী ডাকাতকে প্রেরণ করা হয় প্রতি মাসে। গ্রামাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসে।


চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মতো এই শান্তি দীর্ঘস্থায়িত্ব লাভ করেনি। ডাকাতের অত্যাচার বন্ধ হলেও এক নতুন উপসর্গ পরিলক্ষিত হয় গ্রাম জুড়ে। গ্রামের আকাশে চিল-শকুনের উপস্থিতি বেড়ে ওঠে। মড়ক লাগে গ্রামে।


শিশুর সারল্য ভরা প্রতিটা মানুষের মনে আবারও ভয় জাগরুক হয়ে ওঠে। হঠাৎ মড়কে গ্রামবাসীর চিত্ত চাঞ্চল্য দৃষ্ট হয়। ঈশান উপাসক রাজার কাছে তারা আবারও উপস্থিত হয়। কুল পুরোহিত তাঁর স্বপ্নাদেশ, রাজার কাছে ব্যক্ত করেন। দেবীর কোপে, কুপিত হয়েছে গোটা গ্রাম। কুপিতা দেবীকে প্রসন্ন করার জন্য, তাঁকে উপাসনা করে মহাভোগ নিবেদন করার ব্যবস্থা অবিলম্বে প্রয়োজন। দেরি করলে হয়তো গ্রাম উজাড় হয়ে যাবে।


কালী ডাকাতের দলের চারিত্রিক পরিবর্তনের কারণে, বড়ো মা'র পুজো বন্ধ হয়ে যায়। এই মড়ক তারই প্রতিফলন। বড়ো মা চান...


গ্রামকে গ্রাম উজাড় হয়ে যায় 'অজ' এর সংখ্যা। রক্তের স্রোতে বড়ো মা'র চরণতল স্নাত হয়ে ওঠে। ডাকাত-রাজায় পুনরায় সন্ধি হয়। প্রতি মাসে একটি করে 'অজ' দেবীকে উৎসর্গ করা হয়।


গ্রামবাসীর প্রাণে বেঁচে থাকার মাশুল গোনে নিরীহ প্রাণীদেহ।

পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু