বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

বিবাহবিহীন সমাজ হ’বে সমস্যাবিহীন

আজকের পৃথিবীর মূল সমস্যা কী কী?

·         আবহাওয়ার অতর্কিত পরিবর্তন

·         সহিংস দাম্পত্য কলহ

·         গর্ভপাতের বাধা-নিষেধ

·         ক্ষমতাশালী নেতাদের দুর্নীতি

·         ব্ল্যাক লাইভস্ ম্যাটার

·         কোভিড-১৯ মহামারী

·         উপনিবেশীকরণ

·         মানুষের বিভিন্ন শ্রেণী-বৈষম্য

o (পুরুষ ও মহিলা, o উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ, o ধনী দরিদ্র, o চাকুরীজীবী ও বেকার, o সক্ষম ও প্রতিবন্ধী, o শিক্ষিত ও নিরক্ষর o গায়ের রঙ  o ধর্মের বিভেদ o জাতিভেদ)।

 
উপরের সবকটি সমস্যার সমাধান সম্ভব, যদি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত থাকে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় বংশবৃদ্ধির প্রতিরোধ- বিবাহের প্রথার পরিবর্ত্তন। মানুষের বিয়ে করার মূল উদ্দেশ্য সন্তানের জন্ম দেওয়া – পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্য্যা। গড়ে পঁচিশ বছর বয়সে পুরুষ সন্তান উত্পাদন শুরু করে। যদি প্রতিটি পরিবার ছয়টি সন্তানের জন্ম দেয় তবে প্রতিটি পরিবার আরও ছয়টি পরিবার শুরু ক’রতে পারে। যেহেতু প্রতি বিবাহে এক পরিবারের পুরুষের সাথে আর একটি পরিবরের মহিলা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়, দুটি পরিবার গড়ে ছয়টি পরিবার শুরু করে; অর্থাৎ গড়ে প্রতিটি পরিবার তাদের জীবদ্দশায় আরও তিনটি পরিবার উত্পন্ন করে। ধরুন, এক একটি পরিবার এক একটি সাম্রাজ্য। একটি সাম্রাজ্য উত্পন্ন করে তিনটি সাম্রাজ্য। প্রতি সাম্রাজ্যের দরকার একটি বাড়ীর; প্রতি বাড়ীতে আরামে থাকার জন্যে চাই ফ্রিজ, ওভেন, এয়ারকণ্ডিশনার ইত্যাদি যন্ত্রপাতি, জামাকাপড়, চাল-ডাল, কাঁচাবাজারের শাকসব্জী, মাছ-মাংস ও মেসিনে প্রস্তুত খাদ্যদ্রব্য। পঁচিশ বছর আগে দেশের শিল্পব্যবস্থাকে যে পরিমাণে দ্রব্য ও পরিষেবা সরবরাহ ক’রতে হ’তো, এখন তার চারগুণ সরবরাহ ক’রতে হচ্ছে। কাজেই শিল্পব্যবস্থাকে বাড়াতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্যে কয়লা জ্বালাতে হ’চ্ছে, কারণ জলবিদ্যুৎ বা সৌরশক্তির উৎপাদন চাহিদার তুলনায় পর্য্যাপ্ত নয়। খনিজ জ্বালানীর অতিরিক্ত অপচয় বাড়াচ্ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা, আবহাওয়াকে ক’রছে বিপজ্জনক, যার পূর্বাভাস করাও সম্ভব হচ্ছে না।
যত বেশী ঘর-বাড়ী নির্মিত হবে, তত বেশী গাছ কেটে দেওয়া হবে, তত কম জমি উপলব্ধ থাকবে কৃষিকাজের জন্য এবং আরও বেশী সংখ্যক পরিবারের জন্যে গ্যাজেট উত্পাদন করা জরুরী হ’য়ে উঠবে; সুতরাং আরও বেশী জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়াতে হবে, আরও বেশী হবে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে আরও বেশী হবে নিজের পরিবারকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্যে প্রতিযোগিতা; বাড়বে দুর্নীতির প্রলোভন। এই দুর্নীতি পরিবারগুলির মধ্যে বৈষম্য তৈরি ক’রবে; দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পরিবার আরও বেশী সম্পদ অর্জন ক’রবে সৎ উপায়ে উপার্জনকারী পরিবারদের তুলনায়।
দুর্নীতি যখন পুরো পরিবারকে সমৃদ্ধ করে, তখন পুরো পরিবারই আরও বেশী বৈষয়িক সুবিধা উপভোগ ক’রতে পারে। তবে প্রায়ই পরিবারের এক অংশীদার বাকী অংশীদারদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং দুর্বল ও সৎ অংশীদারদের উপর চাপ প্রয়োগ করে, নিজের সুবিধার জন্যে অন্য অংশীদারকে কষ্ট দেয়, বঞ্চনা করে, ঘরোয়া সহিংসতা চালু করে।
এই নানা ধরণের উদ্বেগের সমাধান হ'লো: বিবাহিত ব্যক্তির জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্যে যত আইন আছে সব সরিয়ে ফেলা, যাতে অবিবাহিত ব্যক্তিরা বিবাহিত ব্যক্তিদের সমান সুযোগ উপভোগ ক’রতে পারে। অর্থাৎ সমাধান হ'লো বিবাহ দ্বারা সৃষ্ট সমস্ত বৈষম্যের কারণ সরিয়ে দেওয়া।
যে কোনো একটি বিবাহের ব্যাপারে, যেখানে ক এবং খ পরস্পরের সাথে বিবাহিত, সেখানে ঘরোয়া অত্যাচার বা সহিংস দাম্পত্য কলহের মূল কারণ কি সে ব্যাপারে আলোচনা করা যাক। বিয়ের আগে, ক আইনতঃ খ-কে শোষণ ক’রতে পারে না, বা খ-ও আইনীভাবে ক-কে শোষণ করতে পারে না। অবৈধভাবে, বা বে-আইনীভাবে যে কেউ যে কাউকে শোষণ ক’রতে পারে, যদি আইন-শৃঙ্খলা বজায় না থাকে। ক খ-এর সাথে বিবাহিত হওয়ার পরে, তাদের উভয়েই পার্টনারকে শারীরিক এবং আর্থিকভাবে শোষণ ক’রতে পারে। দেশের সমাজ এবং আইনগুলি প্রায়ই শোষকদের উত্সাহ দেয়, শোষকরা তাদের পার্টনার ব্যতীত অন্য ব্যক্তির সাথে শারীরিক ও আর্থিকভাবে সম্পর্ক রাখে কিনা তা জানার প্রয়োজন মনে করে না।
বিবাহিতেরা আয়কর, স্বাস্থ্যবীমা, জীবনবীমায় অবিবাহিত ব্যক্তির তুলনায় বেশী সুবিধা পায় গভর্ণমেন্টকে প্রদেয় আয়কর এবং ইনসিউরান্স কোম্পানীকে প্রদেয় বীমার ব্যাপারে। বিবাহিত দম্পতির একজনের মৃত্যুতে অপরজনের আর্থিক সমৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে; অনেকসময়ে এই সম্ভাবনা দাম্পত্য সহিংসতার কারণ হ’য়ে ওঠে, কারণ নিঃস্বার্থ প্রেম আজকাল বিরল। অনেক সময়েই দম্পতির একজন বা উভয়েই দম্পতি-বহির্ভূত ব্যক্তিদের জন্য খাওয়া-থাকা-আমোদ করা এমনকি ব্যভিচার ক’রতেও প্রস্তুত থাকে।
যেহেতু প্রযুক্তির বিকাশ ক্রমবর্দ্ধমান এবং পুরুষ ও মহিলা উভয়ই নিজেদের জীবিকা নির্বাহে সক্ষম, কোনও বিবাহ ছাড়াই অধিকাংশ সুযোগ সুবিধা উপভোগ করা যায়। এখনও পর্য্যন্ত যৌনমিলন এবং সন্তানের উৎপাদন করার আইনতঃ অনুমতি আছে কেবল বিবাহিত পুরুষ এবং তার স্ত্রীর মধ্যে।
বিজ্ঞানের প্রগতির সুবিধা নিলে বিবাহের প্রয়োজন কয়েক দশকের মধ্যেই একেবারে অন্তর্হিত হবে। গর্ভনিরোধক পিলের উদ্ভাবক Carl Djerassi[1]-এর জীবনদর্শন অনুযায়ী, ২০৫০-সালের পরে নারী আর পুরুষে মিলে সেক্স বা রতিক্রিয়া ক’রবে শুধু নির্ম্মল মজার জন্যে, সন্তানকে জন্ম দেওয়ার আশা বা দুশ্চিন্তা কিছুই থাকবে না। গর্ভনিরোধক পিলের আর দরকার থাকবে না, কারণ নারীরা তাদের ডিম অর্থাৎ eggs আর পুরুষেরা তাদের শুক্রাণু বা শুক্রকীট অর্থাৎ sperm ঠাণ্ডাঘরে জমিয়ে রেখে নির্বীজন ক’রবে নিজেদের, অর্থাৎ বন্ধ্যা হ’য়ে যাবে। কৃত্রিম ডিমও তৈরী হবে হয়তো ২০৩০এর আগেই।  ভ্রূণহত্যার আর প্রয়োজন হবে না, কারণ বিনা পরিকল্পনায় সন্তানের ভ্রূণ সৃষ্টি ক’রবে না কেউ। সন্তান উৎপাদন ক’রতে সক্ষম অনেক নারী তাদের তরুণীজীবনের ডিম [eggs] ঠাণ্ডাঘরে জমিয়ে রাখবে একটু বড় বয়সে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে IVF-এর মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা হবার জন্যে। জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী নির্ব্বাচনের কাজটি অত্যন্ত দুরূহ, এবং ত্রুটির ফল সুদূরপ্রসারী। বিশ বছরের তরুণীরা এই পন্থা নিয়ে নিশ্চিন্ত হবে যে বয়স হ’য়ে ডিম নিঃশেষ হবার আগে, তাদের জীবনসঙ্গী বেছে নেবার দুরূহ কাজটি শেষ ক’রতে হবে না; কর্ম্মজীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পরে সন্তানকে জন্ম দিয়ে লালনপালন করার সুযোগ থাকবে। সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য নারী ও পুরুষের রতিক্রিয়ার প্রয়োজন হবে না। কাজেই ‘পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্য্যা‘ শ্লোকটি তখন নিরর্থক হ’য়ে যাবে। বিবাহিতেরা যদি অবিবাহিতদের তুলনায় কোনো বেশী সুযোগ সুবিধা না পায়, পার্টনারকে ঠকিয়ে মজা পাওয়ার জন্যে কেউ বিয়ে ক’রবে না।

 
যত দিন যায়, ততই বাড়ে আমাদের আরও শিক্ষা-দীক্ষা ও বুদ্ধিবিবেচনার  ক্ষমতা। আমরা ইতিমধ্যে বর্জন করেছি অনেক কুসংস্কার:- সতীদাহের প্রথা, মহিলাদের স্কুলে না পাঠানোর প্রথা[2], বিধবাবিবাহে নিষেধ।
এই সংস্কারগুলি দূর করার ইতিহাস থেকে বোঝা যায়, এখন বিবাহপ্রথারও আর প্রয়োজন নেই, এখন বিবাহ বিলোপের পরিকল্পনা করার সময় এসেছে। বিবাহ বিলোপের পরেও, যদি কেউ বিয়ে করে, বিবাহিত ব্যক্তি পার্টনারের থেকে কোনও আইনসঙ্গত সুবিধা পাবেন না।
নির্বিবাহ জগৎ হোক একটি বিরাট পরিবার, যেখানে বিবাহিতেরা অবিবাহিতদের সঙ্গে সমান সুযোগ সুবিধা পাবে। স্বামী বা স্ত্রীকে প্রবঞ্চিত ক’রে ব্যক্তিগত লাভ করার সুযোগ থাকবে না।

 
  প্রবন্ধের প্রারম্ভে যে উদ্বেগগুলির উল্লেখ করা হ’য়েছে, তার প্রতিটি সমাধান করার জন্য গবেষণার প্রয়োজন আছে। প্রথম উদ্বেগ- গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে আলোচনা করা যাক।
Global Warming Temperature = F(Natural Phenomena) + F(Anthropogenic Activities)

গ্লোবাল ওয়ার্মিং তাপমাত্রা নির্ভর করে (প্রাকৃতিক জলবায়ুর পরিবর্ত্তন) এবং (জীবজন্তুর ক্রিয়াকলাপ) এর উপর
গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর মাত্রা কমানোর জন্যে দুটি উপায়:
(১) জনসংখ্যা বাড়তে না দিলে, চাহিদা বাড়বে না; ইনডাস্ট্রি বাড়াবার দরকার হবে না, জ্বালানির ব্যবহারও নিয়ন্ত্রিত হবে।
(২) বন্যা, অগ্নি ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে শক্তির অপচয় ঘটে, সেই শক্তি সঞ্চয় করার উপায় উদ্ভাবন ক’রে পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরী ক’রতে হবে, যাতে জ্বালানির ব্যবহার নিতান্তই কম লাগবে।
 

জলবায়ু পরিবর্তনের পিছনে কারণগুলি: জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বড় অংশ প্রাকৃতিকভাবে ঘটে। মানুষ এই পরিবর্তনগুলি ত্বরান্বিত ক’রতে কী ক’রেছে এবং এই পরিবর্তনগুলি প্রতিহত করার জন্য এখন আমাদের কর্মপরিকল্পনা কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে আমাদের ধ্যান রাখতে হবে।  মানব প্রজনন, অত্যধিক জিনিসপত্রের চাহিদা, বনভূমির মতো প্রাকৃতিক সম্পদের অত্যধিক অপচয়, বায়ু-দূষণ ইত্যাদি মানবিক ক্রিয়াকলাপ, প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে, বিশ্বব্যাপী পরিবেশের ক্ষতি ক’রেছে।

দু'শো বছর আগে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল এক বিলিয়নের কিছু বেশী। এর পর থেকে ২০২১ সালের মে-মাসে গ্রহে মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৭.৯ বিলিয়ন হয়েছে।  খাদ্য উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তি এবং উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থার ব্যবহার জনসংখ্যার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত ক’রেছে। বিশাল জনসংখ্যা পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক দ্রব্যের ভাণ্ডারকে নিঃশেষ ক’রেছে, যার মধ্যে অনেকটাই সীমিত এবং নতুন ক’রে সৃষ্টি করা অসম্ভব। শিল্পগুলিতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হ’য়েছে, যা প্রধানতঃ জীবাশ্ম জ্বালানী জ্বালিয়ে, জল, কাঠ ইত্যাদি ব্যবহার ক’রে উত্পাদিত হয়েছে।
 
মানুষ কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে?: People’s Power বা জনশক্তি দেশ ও পৃথিবীকে অলৌকিক ক্ষমতা সরবরাহ ক’রতে পারে, যদি জনগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় (১) জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ক’রতে, (২) জনগণকে পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ উত্পাদনের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস ক’রতে, এবং (৩) সূর্যালোক, বাতাস এবং জলের মতো প্রাকৃতিক উত্স থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি উত্পাদন ক’রতে।
 
আমরা কি প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বিদ্যুৎ তৈরি ক’রতে পারি? আমরা আতঙ্কের সাথে ঝোপঝাড়ের আগুনের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ দেখি; আমাদের কীভাবে আমরা এই ধ্বংসাত্মক আগুনের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারি এবং পণ্য ও পরিষেবা উত্পাদনের কাজে ব্যবহার ক’রতে পারি। যদি আমরা দুর্যোগ-বিপর্যয়গুলিতে নষ্ট হয়ে যাওয়া শক্তিকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত ক’রে সঞ্চয় করার উপায়গুলি জানতাম, তবে জীবাশ্ম জ্বালানীর খরচ অনেক কম হ’তো।
 
এ প্রবন্ধ বহু সমস্যার সমাধানের প্রয়াসী। 
আবহাওয়ার অতর্কিত পরিবর্তন প্রতিরোধের ব্যবস্থার জন্যে চাই জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রণ ও দুর্যোগ থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের চেষ্টা।
বিবাহপ্রথা না থাকলে স্বামী ও স্ত্রী নিয়ে আলাদা পরিবারই থাকবে না, কাজেই দাম্পত্য কলহের সহিংসতা থাকবে না।
Carl Djerassi-এর জীবনদর্শন অনুযায়ী, ভ্রূণহত্যার বা গর্ভপাতের আর প্রয়োজন হবে না, কারণ বিনা পরিকল্পনায় সন্তানের ভ্রূণ সৃষ্টি ক’রবে না কেউ।
দেশের জনসংখ্যা যত কম হবে,  কোভিড-১৯ এর প্রতিরোধ ও চিকিত্সার জন্য তত তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হ’তে পারবে সে দেশ – ভ্যাক্সিনেশন, মাস্ক, পিপিই ইকুইপমেন্ট, আই-সি-ইউ বেড, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন সিলিণ্ডারের দ্রুত সরবরাহ ক’রে।
দুর্নীতি-পরায়ণ ক্ষমতাশালীরা নিজের আত্মীয়স্বজনকে ধনী করার চেষ্টা করে, বিবাহপ্রথা না থাকলে আত্মীয়স্বজনের সংজ্ঞা বদলে যাবে। সাদা পরিবারের সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে; বিবাহপ্রথা না থাকলে সাদা বা কালো দুই ধরণের মানুষই অনাত্মীয়; ‘ব্ল্যাক লাইভস্ ম্যাটার’ আর ‘হোয়াইট লাইভস্ ম্যাটার’-এর মধ্যে তফাৎ থাকবে না। কত রকম সীমারেখা মানুষের জীবনে,- ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষ, দেশি-বিদেশি, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, জাত-পাত, তারুণ্য-বার্ধক্য...।  সব সীমারেখা ভুলে প্রতিটি মানুষকে পৃথিবীর নাগরিক ব’লে মেনে নিতে হবে; প্রতি নাগরিকের থাকবে পৃথিবীর যে কোনো দেশে খেটে খাওয়ার ও বাস করার অধিকার এবং দায়িত্ব।
************



[1] http://www.djerassi.com/Daily_Teleg_Interv.11-9-14.pdf

Sex will soon be just for fun not babies, says father of the Pill: Prof Carl Djerassi claims advances in fertility treatment make it safer for parents without fertility problems to consider IVF.  By Sarah Knapton, Science Editor (Daily Telegraph, London) 7:am GMT 09NOV2014
[2] সম্প্রতি আমি প্রথম মহিলা স্নাতক ডাক্তার কাদম্বিনী বোসের বায়োপিক দেখেছি, দেখেছি কীভাবে ওঁকে মহিলা-শিক্ষার বিরোধী রীতিনীতিগুলির সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হয়েছিল।


************

“Leaving Earth (from BBC News)

Hawking was clearly troubled that we were putting all our eggs in one basket - that basket being Earth. For decades, Hawking had been calling for humans to begin the process of permanently settling other planets. It made news headlines again and again.

Hawking's rationale was that humankind would eventually fall victim to an extinction-level catastrophe - perhaps sooner rather than later. What worried him were so-called low-probability, high impact events - a large asteroid striking our planet is the classic example. But Hawking perceived a host of other potential threats: artificial intelligence, climate change, GM viruses and nuclear war to name a few.

In 2016, he told the BBC: "Although the chance of a disaster to planet Earth in a given year may be quite low, it adds up over time, and becomes a near certainty in the next thousand or 10,000 years.”

 

We should not sit idle and let Hawking’s prediction materialise. I think we can control global temperature by keeping population and their luxury in control, while Hawking recommended for moving to another planet, which may not be feasible in hundred years.



[1] http://www.djerassi.com/Daily_Teleg_Interv.11-9-14.pdf

Sex will soon be just for fun not babies, says father of the Pill: Prof Carl Djerassi claims advances in fertility treatment make it safer for parents without fertility problems to consider IVF.  By Sarah Knapton, Science Editor (Daily Telegraph, London) 7:am GMT 09NOV2014
[2] সম্প্রতি আমি প্রথম মহিলা স্নাতক ডাক্তার কাদম্বিনী বোসের বায়োপিক দেখেছি, দেখেছি কীভাবে ওঁকে মহিলা-শিক্ষার বিরোধী রীতিনীতিগুলির সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হয়েছিল।

পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু