চক্রব্যূহে প্রবেশ অভিমন্যু-মনে
মনের আমি, মনের তুমি, মন দিয়ে যায়- ভালো খারাপ মানুষ চেনা।
পরশপাথর খুঁজে বেড়াই, মনের মতো মানুষ চাই, ঠিকানা না জানা।
মন কোথায় হদিশ নাই, সারা শরীর খুঁজে বেড়াই, কে দেবে ঠিকানা?
মস্তিষ্কে আছে তার ঠাঁই, জ্ঞানীদের বিধান তাই, ক’রি বিজ্ঞানের সাধনা।
নানা স্তরে সাজানো মন, চেতন-অবচেতন-অচেতন,- মনের তিন বিভাজন।
মানুষ যখন জেগে থাকে, পারিপার্শ্বিকে যোগ রাখে, কাজে ব্যস্ত চেতন মন।
অতীত স্মৃতি রোমন্থন, যত জৈবিক প্রয়োজন– এর তদ্বিরে মনের অবচেতনা;
মনের দশ শতাংশ চেতন, বাকিটা অবচেতন-অচেতন, এই আমাদের ধারণা।
শৈশবে সয়েছি অবিচার, চেতন মন করে অস্বীকার, থাকে তা অচেতন মনে।
তাই চোখ দিয়ে যতটা দেখি, তার চাইতে বেশী বুঝি চেতনে ও অবচেতনে।
দু লাইনের একটু লেখা, ছবি হ’য়ে দেয় দেখা, এ আঙন থেকে গগনে;
কবিতা শুনিনি কানে, গান তবু বাজে মনে, শুনি প্রতিধ্বনি অবচেতনে;
সহসা গরজে নিষ্ঠুর বাস্তব, নির্মূল করে স্বপ্ন সব, চেতনে বিশ্বাসঘাতনে।
নিজেরে দেখবো ফিরে, কী আছে মোর ভিতরে, বদলায় সত্যিরে স্বপনে?
অবচেতন জাগায় ভীতি, কেউ ভেঙেছে প্রতিশ্রুতি, শৈশবের অসাবধানে?
পায়ের তলায় যেন সর্ষে, মন উড়তে চায় বাতাসে. শরীর জ্বলে আগুনে।
মাতৃগর্ভে অভিমন্যু শোনে, চক্রব্যূহের দিন গোনে, উৎসাহ জাগে অবচেতনে।
ধোঁয়া ছায় আকাশ জুড়ে, পাখীর মতো ধোঁয়া না ওড়ে, হাসি না কাঁদি জানিনে।
কৃতজ্ঞতা অভিশাপ অবচেতনে, সন্দেহ সচেতন মনে ভালোবাসার অবগাহনে?
সারা জীবন একই ভয়, যা ঘটে তা সত্য নয়, গোলাপ সুন্দর কেবল মোর মনে।
************