দত্তপুলিয়া নদীয়া জেলার কবি ও সাহিত্যিকের জীবনী।
শংকর হালদার শৈলবালার জীবনী।
জীবনী লেখিকা :- মাধবী লতা বিশ্বাস।
লেখকের জন্মসূত্রে নাম :- শংকর হালদার।
সাহিত্য জগতের নাম :- শংকর হালদার শৈলবালা। (অর্থাৎ ছদ্মনাম :- শৈলবালা।)
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার দত্তপুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ভারতীয় নাগরিক।
বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক। বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষার সাহিত্যের উপন্যাসিক, প্রবন্ধকার, ছোট ও বড় গল্পকার, কবি, অনুবাদক, লেখকদের জীবনী সংগ্রহকারী ও জীবনী গ্রন্থ লেখক। বাঙ্গালী লেখকদের তালিকা তৈরি কারক। একজন দক্ষ সম্পাদক ও প্রকাশক এবং বই বিক্রেতা। সমাজ সেবক এবং বৈষ্ণব ধর্ম অবলম্বী।
জন্ম তারিখ :- 14 জানুয়ারী 1968 সালের রবিবার, পৌষ সংক্রান্তির দিনে।
লেখকের বংশ পরিচয়।
লেখকের নাম :- শংকর হালদার।
পিতা :- মৃত সন্তোষ হালদার।
মাতা :- তুলারানী হালদার।
ঠাকুরদা :- জয়দেব হালদার।
সহধর্মিণী :- মুক্তা হালদার (মুক্তি)।
ছেলে :- সুশান্ত হালদার (অবিবাহিত)
মেয়ে :- মাধবী লতা বিশ্বাস।
জামাই :- রবীন্দ্র বিশ্বাস (ডাকনাম রবি)।
নাতনি :- রিমি বিশ্বাস।
মেজ ভাই :- সুনীল হালদার।
ভাইয়ের বৌ :- মৃত অঞ্জলি হালদার।
ভাইপো :- অনিমেষ হালদার।
ছোট ভাই :- সুশীল হালদার (গিরিধারী সাধু বাবা)।
বর্তমান স্থায়ী পৈতৃক নিবাস :- গ্রাম :- দত্তপুলিয়া , পাড়া :- রামকৃষ্ণ পল্লী, ডাকঘর :- দত্তপুলিয়া, থানা :- ধানতলা, জেলা :- নদীয়া,পিন কোড নম্বর :- 741504, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
যোগাযোগ হোয়াইট অ্যাপস 91 8926200021
জন্মস্থান :- জন্মসূত্রে পূর্ব পাকিস্তানী অধুনা বাংলাদেশে। গ্রাম:- কবীর পুর ( শৈলকুপা) , উপজেলা ও থানা :- শৈলকুপা জেলা :- যশোহর বর্তমান ঝিনাইদহ , বাংলাদেশ। 14 জানুয়ারী 1968 সালের রবিবার, পৌষ সংক্রান্তির দিনে কবির পুর গ্রামের এক দারিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সন্তাষ হালদার হাটে বাজারে দই-ঘোল বিক্রতা ছিলেন। সেই হিসাবে ঘোষ নামে পরিচিতি লাভ করেন।
লেখকের জন্মভূমি ত্যাগ :- 1970 সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পূর্ব মুহূর্তের সময়ে, মায়ের কোলে চড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বলাগড় থানার শ্রীপুর বাজারের সন্নিকটে গঙ্গা নদীর ধারে ক্ষত্রিয় নগর গ্রামে, লেখকের মামা প্রফুল্ল ও অমূল্য বিশ্বাসের বাড়িতে আগমন করেন।
তারপর থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ভারতীয় নাগরিক।
শিক্ষাগত যোগ্যতা :- মাধ্যমিক ।
পড়াশোনা :- মামা বাড়ির এলাকার হুগলি জেলার বলাগড় মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক।
লেখকের সাহিত্য চর্চা শুরু :- 2008 সালে চিন্তা ভাবনা শুরু করে ছিলেন।
শৈলবালা ছদ্মনাম নাম ব্যবহার করার কারণ :- লেখকের জন্মভূমি শৈলকুপার স্মৃতি রক্ষার্থে।
2010 সালে প্রথম উপন্যাস লেখা শুরু করেন। চরিত্রহীন লম্পট এবং 2020 সালে উপন্যাসের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করেন *চরিত্রহীন সদাশিবের প্রেম* অনলাইনে প্রতিলিপি সাহিত্য জগত প্রকাশনা অ্যাপসের মাধ্যমে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
1,57,685 জন পাঠক পড়েছেন।
সক্রিয় ভাবে সাহিত্য চর্চা শুরু করেন : 14 জানুয়ারি 2018 সাল থেকে।
লেখকের পছন্দ :- গদ্য সাহিত্যের মাধ্যমে গল্প, উপন্যাস ,গদ্য কবিতা ও বিভিন্ন ধরনের প্রবন্ধ লেখেন।এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভাষায় লিখতে ও অনুবাদ করতে পছন্দ করেন। সাহিত্য জগতে নতুন কিছু সৃষ্টি করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাহিত্য চর্চা :- কয়েক একটি ঐতিহাসিক লেখা আছে। এছাড়াও প্রতিটি লেখার মধ্যে সমাজের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া, বিভিন্ন বাস্তব ঘটনাবলি নিয়ে লেখালেখি করেন। ঐতিহাসিক, তথ্যভিত্তিক ও গোয়েন্দা রহস্য গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও ভৌতিক গল্প, সামাজিক প্রেক্ষাপটে গল্প উপন্যাস ও কবিতা, ধর্মীয় আধ্যাত্মিক বিষয়ে গল্প ও কবিতা লিখেছেন। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিভিন্ন ধরনের লেখা আছে।
লেখার তথ্য সংগ্রহ করার বিষয়ে জানা যায় :- বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে বাস্তবে ঘটে যাওয়া মানুষের জীবনের কাহিনী তুলে নিয়ে আসেন।
লেখকের জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন :- 2008 সালে 25 ফেব্রুয়ারি মাসে *চরিত্রহীন সদাশিবের প্রেম* উপন্যাসটি লেখার জন্য, কাহিনী জানার জন্য, বাংলাদেশের শৈলকুপা গ্রামে উপস্থিত হয়েছিলেন। লেখকের কাকাদের বাড়ি শৈলকুপা থানার হাট ফাজিল পুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন। এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেন।
পুরুষের চরিত্রহীনতা উপলব্ধি করার জন্য- কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন।
লেখক নিজের চরিত্র কে ঠিক রেখে, পতিতালয়ের নারীদের সাথে বন্ধুত্বের মাধ্যমে ও বয়স্ক নারীদের সন্তান হয়ে-বাস্তবে পতিতা নারীদের জীবন যাপনের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে ও সুখ-দুঃখের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
গবেষনা :- 2008 থেকে 2010 সাল পর্যন্ত। দীর্ঘ দুই বছর ধরে পতিতা নারীদের নিয়ে বিশাল গবেষণা করেছেন।
লেখক পতিতা নারীদের কাছে সাধু পুরুষ নামে পরিচিতি লাভ করেছিলেন।
তথ্য সংগ্রহ করার পর 2010 সালে পশ্চিমবঙ্গের বাড়ীতে ফিরে আসেন। পূর্বের পরিকল্পনা অনুসারে, সংগৃহীত সকল তথ্য কে- কল্পনা মিশ্রিত করে, "চরিত্রহীন লম্পট" নামক উপন্যাসটির পান্ডুলিপি তৈরি করে রেখে দেন।
সংসারের বিভিন্ন ঝামেলায় আর সাহিত্য চর্চা করতে পারেনি।
লেখকের জানিয়েছেন :- চরিত্রহীন লম্পট নামক উপন্যাস টি লিখতে গিয়ে-আমি চরিত্রহীন না হয়েও, সংসারের সদস্যদের কাছে চরিত্রহীন হয়ে গিয়ে ছিলাম। সংসারের স্ত্রী ও বাবা-মার সাথে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ বাংলাদেশের আত্মীয়-স্বজনেরা চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন পতিতালয়ে যাতায়াতের কাহিনী।
লেখক জীবনের সাফল্য :- পতিতা নারীদের সুখ দুঃখের সমস্যার কথা গুলো নিগূঢ় ভাবে তুলে ধরেছেন "চরিত্রহীন সদাশিবের প্রেম" উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে। এই উপন্যাসের মাধ্যম দিয়ে, লেখক সাহিত্য জগতের উচ্চস্তরে পৌঁছিয়ে যায়। জীবনের সাফল্য অর্জন করেছেন। কিন্তু উপন্যাস প্রকাশিত করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের বাঁধা বিঘ্ন ঘটে যায়। প্রতিলিপি কর্তৃপক্ষ নয় বার উপন্যাসটি, অনলাইন থেকে মুছে দিয়ে- একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। লেখকের এই ভাবে বহু বার এক লাখ শব্দের উপন্যাস টাইপ করতে হয়েছে।
লেখকের, অনলাইনের প্রতিলিপি প্রকাশনার হাত ধরে লেখালেখির জগতে চলতে শেখা। পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধির আনন্দে, আনন্দিত হয়ে লেখালেখি শুরু করেন।
লেখকের জীবনের ঘটনা :- লেখকের জীবনের ঘটনাবলী বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসের মাধ্যমে আংশিকভাবে বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ করেছেন।
প্রকাশিত রচনা সমগ্র :- সাহিত্য জগতের অনলাইনের মাধ্যমে বৃহত্তম প্রকাশনা সংস্থা "প্রতিলিপি সাহিত্য জগত"।
লেখকের সমগ্র রচনাবলী প্রতিলিপির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
শপিজন অনলাইন প্রকাশনা। লেখক বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি কম করেন।
লেখকের অনলাইনে মাধ্যমে প্রকাশিত সমগ্র রচনা গুলো।
উপন্যাস
(1) পরকীয়া প্রেমের জ্বালা।
(2) নিঃসন্তানের জ্বালা।
(3) পুরুষ পতিতালয়।
(4) চরিত্রহীন সদাশিবের প্রেম ।
(5) আম্রপালী বার বনিতা (ঐতিহাসিক উপন্যাস)
(6) বাইজি লক্ষহীরা ( ঐতিহাসিক উপন্যাস)
(7) শনিদেব ক্রোধিত কেন ? (পৌরাণিক উপাখ্যান)
(8) আতঙ্কিত সমাজ ।
(9) *ধর্ষিতার লড়াই* যাযাবর বেদে সম্প্রদায়ের জীবনের তথ্যভিত্তিক ঐতিহাসিক উপন্যাস।
(10) " অন্তরালে চোরাস্রোত" নামক উপন্যাসের মাধ্যমে সামাজের বিভিন্ন কুপ্রথার বিরুদ্ধে বিবাদ এবং ধর্মের আড়ালে কত নোংরামি কাজ-কর্ম হয়ে থাকে, তার নিগূঢ় তথ্য তুলে ধরেছেন।
(11) *ধর্ষকের প্রতিশোধ* নতুন নিয়মে সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্র উপন্যাস।
(12) পরকীয়া প্রেমের পরিণতি (ছোট উপন্যাস)
ছোট গল্পের সংখ্যা 60 টি ও কবিতা 65 টি এবং প্রবন্ধ 40 টি।
বাংলা ও হিন্দি ভাষা সহ বিভিন্ন ভাষায় লেখালেখি করে থাকেন।
হিন্দি ভাষায় উপন্যাস :- चरित्रहीन सदाशिव का प्रेम, विदेशी प्रेम के परिणाम, विदेशी प्रेम की जलन.
ছাপা অক্ষরে প্রকাশিত বই
(1) "জাতের নামে বজ্জাতি " গদ্য কবিতা।
নির্বাচিত 200 কবিতা শব্দের কথোপকথন। কবিতা সংকলন।
সম্পাদনায়:- বৈদূর্য্য পাড়িয়া ও রিতম বিশ্বাস ।
(2) " খাদ্য রসিক বাঙালি" গদ্য কবিতা।
মন্থান পত্রিকা বৈশাখ 1428 বর্ষবরণ সংখ্যা।
(3)"রাতের আতঙ্ক " সত্য ঘটনা অবলম্বনে ভৌতিক গল্প। শব্দযাপন পত্রিকা প্রথম বর্ষ নববর্ষ সংখ্যা 1428
(4) "বাইশ শব্দের কবিতা "গদ্য কবিতা।
"ভিজে দেখো কবিতায়" কবিতা সংকলন।
সম্পাদনা :- শান্তনু দাস । টিউলিপ প্রকাশনা
(5) " গৃহবধূর অন্তর জ্বালা" সামাজিক মনস্তাত্ত্বিক গল্প। 'এক মুঠো লীনতাপ' গল্প সংকলন।
সম্পাদনা :- শান্তনু দাস । টিউলিপ প্রকাশনা
(6) "লকডাউন মরার ফাঁদ" গদ্য কবিতা। বৃষ্টি ভেজা গল্পকথা সংকলন সম্পাদনা :-পুলক নায়েক। 2021 সালে।
(7) "মে দিবসের ইতিহাস" অন্যকথা পত্রিকা মে দিবস সংখ্যা 2021
-:লেখকের সম্পাদনায় প্রকাশিত বই :-
(8) "বাঙালি লেখকদের পরিচয়" (1000 কবি ও সাহিত্যিকদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়।)
সম্পাদনায় :- শংকর হালদার শৈলবালা।
কর্পোরেট পাবলিশার্স।
-: লেখকদের নিয়ে জীবনী গ্রন্থ :-
(9) "লেখকদের আত্মজীবনী গ্রন্থ- প্রথম খন্ড।
( 85 জন কবি ও সাহিত্যিকদের জীবনী গ্রন্থ) জীবনী লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা।
লেখকের প্রকাশিত গল্প
(10) *পেত্নী বৌয়ের প্রতিশোধ*
(10টি ভৌতিক গল্প নিয়ে সংকলন।)
গল্পকার :- শংকর হালদার শৈলবালা।
সম্পাদনা :- শান্তনু দাস । টিউলিপ প্রকাশনা।
লেখকের প্রকাশিত উপন্যাস
(11) *পরকীয়া প্রেমের পরিণতি* ছোট উপন্যাস।
উপন্যাসিক :- শংকর হালদার শৈলবালা।
সম্পাদনা :- শান্তনু দাস। টিউলিপ প্রকাশনা।
(12)
-: লেখকের আরো বই শীঘ্রই প্রকাশিত হবে :-
1/ *চরিত্রহীন সদাশিবের প্রেম* উপন্যাস।
2/ *পরকীয়া প্রেমের জ্বালা* উপন্যাস।
3/ * পুরুষ পতিতালয়* উপন্যাস।
4/ একক গল্প সংকলন।
5/ কবিতা সংকলন সমগ্র।
6/ প্রবন্ধ সমগ্র ।
পরিবার :- বিবাহের তারিখ :- 1986 সালে। বাংলাদেশের অরঙ্গবাদ গ্রাম, দোহার থানা, ঢাকা জেলার মেয়ে। বর্তমানে গ্রামটি পদ্মা নদীর কবলে পড়ে,জলময় নদী হয়ে গিয়েছে।
লেখকের এক ছেলে, এক মেয়ে, দুই ভাই ও মা কে নিয়ে ছোট পরিবার।
পেশা :- বইয়ের ব্যবসা করতেন। আড়াংঘাটা , নদীয়া। বর্তমানে বইয়ের প্রকাশক ও বিক্রেতা।
শখ :- ভ্রমণের মাধ্যমে সমাজের মাঝে ঘটে যাওয়া, বিভিন্ন ঘটনাবলী সংগ্রহ করে-সাহিত্যর মাধ্যমে লেখালেখি করা ।
রাজনীতি :- 2011 সালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল 'তৃণমূল কংগ্রেস' রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগদান। বাবলু সাধুখা, উজ্জ্বল সরকার ও প্রশান্ত বিশ্বাসের হাত ধরে। বুথ কমিটির এক জন সক্রিয় সদস্য।
সামাজিক কাজ :- দত্তপুলিয়া যুব গোষ্ঠী ক্লাবের একজন সক্রিয় সদস্য। 2012 সালে ক্লাবের ক্যাশিয়ার বাবলু সাধুখার হাত ধরে, সদস্যপদ লাভ করেন। ক্লাবের থেকে প্রতি বছরের আয়োজন করা হয়, রথযাত্রার উৎসব ও মেলা এবং বিখ্যাত শারদীয়া দুর্গাপূজার প্যান্ডেল । লেখক রথযাত্রার রথের ও শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গোৎসবের পূজা মন্ডপের দায়িত্ব পালন করেন।
সংসার ত্যাগের পরিকল্পনা :-2018 সালে সংসারের সকল বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন।
এবং মনের আত্মতৃপ্তি লাভের জন্য সাহিত্য চর্চা শুরু করেন।
গৃহ ত্যাগ :- 2020 সালে:- ছেলের উপর সংসারের দায়-দায়িত্ব বুঝে দিয়ে, সহধর্মিণীর অনুমতি নিয়ে আংশিক ভাবে আশ্রমবাসি।
বৈষ্ণব ধর্মীয় বন্ধু দেবানন্দ গোস্বামী (দেবাশীষ)
আশ্রমের নাম :- শ্রী শ্রী মা সেবাশ্রম, দোলনঘাটা, খাটুয়া, মাঝদিয়া, নদীয়া বসবাস শুরু করেন।
সংসারের ছেলে-মেয়ের বিশেষ প্রয়োজনে, বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন। এবং বর্তমান পরিব্রাজক হিসাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ভ্রমণের অভিজ্ঞতা :- ভারতবর্ষের বিভিন্ন তীর্থস্থান দর্শন করেছেন যথা গয়া, কাশি, বৃন্দাবন, হরিদ্দার, কুরুক্ষেত্র, উজানী, চার ধাম আদি, অমরনাথ, জম্মু-কাশ্মীর বৈষ্ণব দেবী, পাঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দির, নবদ্বীপ-মায়াপুর, পুরী জগন্নাথ মন্দির , রামচন্দ্রের রামেশ্বর অর্থাৎ রাম মন্দির, শনি সিঙ্গাপুর (শনি দেবের মন্দির), হিমাচল প্রদেশ জ্বালাদেবী ও শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা সহ বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়েছেন।
বিভিন্ন প্রদেশের মানুষের জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। বিভিন্ন ধরনের সাধু, সন্ন্যাসী বৈষ্ণব ও গোঁসাইদের সঙ্গে মিলামিশা করেছেন।
বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হয়ে সন্ন্যাস ধর্ম নিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের, লেখকের বাবার কাছে ফেলে রেখে-সংসার ধর্ম কে অবজ্ঞা করে নিরুদ্দেশ হয়ে ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। 1997 সালে বাড়ীতে ফিরে আসেন।
লেখকের জীবনের দুর্দিন :-1997 সালে ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে লেখকের পিতা একান্নবর্তী পরিবার থেকে আলাদা করে দেন। ছেলে মেয়ে পরিবার নিয়ে চরম দারিদ্রের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে। খাদ্যের অভাবের তাড়নায়, গোঁসাই বেশ ধারণ করে- রাধাগোবিন্দের নাম করে, পাড়ায় পাড়ায় চাল ও টাকা ভিক্ষা করেছেন।
লেখক 1998 সালে বাবার সঙ্গে ঝগড়া অশান্তি সৃষ্টি করে। বাবা রাগে রাগে দত্তপুলিয়া থেকে দশ কিলোমিটার দূরে আড়াংঘাটা রেল স্টেশনের, দুই নম্বর প্লাটফর্মে শেষের দিকে একটি জায়গায়- পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কিনে, দোকান ঘর তৈরি করে দেয়। কিন্তু ব্যবসার জন্য, কোন মুলধন দেয় না।
মেজ ভাই সুনীলের নিকট থেকে এক হাজার টাকা ধার নিয়ে, পুরাতন বইয়ের ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু বছরের তিন মাসের ব্যবসায়, আরো ধার দিনায় জড়িয়ে পড়েন।
আবার শুরু করেন ভিক্ষাবৃত্তি বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে।
2000 সালের ভয়াবহ বন্যায় ঘর বাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘদিন বাবার পাকা ছাঁদের উপরে, তাবু খাটিয়ে বসবাস করেছেন। দত্তপুলিয়ার এনজিও সংস্থা শ্রীমা মহিলা সমিতির থেকে একটি দুই রুম বিশিষ্ট পাকা ঘর ও পায়খানা বাথরুম সহ পেয়ে ছিলেন।
পাড়ায় পাড়ায় আইসক্রিম ও চুড়িমালার ব্যবসা করেছেন।
দারিদ্রতার কারণে লেখকের ছেলে সুশান্ত কে বিএ পাশ করতে পারে নাই। সুশান্ত দ্বিতীয় বর্ষ থেকে পড়াশোনা কে বিদায় জানিয়ে সিকিউরিটি গার্ডের কাজে চলে যায়। কয়েক বছর কাজ করার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর কয়েক বছর লোন সংস্থায় কাজ করে। এরপর এলাকার মধ্যে একটি ব্যক্তিগত ব্যবসাহিক প্রতিষ্ঠানে প্রথমে খাতা পত্র লেখার কাজ পায়। কয়েক বছরের মধ্যে ম্যানেজার পদে কাজ শুরু করে। তারপর ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে।
লেখকের ছেলে সুশান্ত তার একমাত্র বোনের বিয়ের সমস্ত খরচ করেছে এবং 2019 সালে পুরাতন বাড়ী ভেঙ্গে নতুন মডেলে বাড়ি তৈরি করেছে।
2020-21 সালে করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন শুরু হওয়ার জন্য, ছেলের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান আবার অর্থনৈতিক অবস্থা ভীষন ভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। লকডাউন সাধারণ মানুষের রুটি রোজগারের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রবন্ধ লেখার তারিখ :- 18 সেপ্টেম্বর 2021
কলমে :- মাধবী লতা বিশ্বাস।
তথ্যসূত্র :- বাবার বাড়ির দিক থেকে পারিবারিক ভাবে ও পিতা শংকর হালদারের কাছে থেকে তথ্য সংগ্রহ। ।
==================================