আগামী যুগের দূরবীণ
#বিভাগ_কবিতা
#কবিতার_শিরোনাম: আগামী যুগের দূরবীণ
#কবির_নাম: ডাঃ পরমেশ ঘোষ
#লাইন_সংখ্যা: ২৮
চোদ্দশো কোটি বছর আগে তৈরি হতে শুরু করে নক্ষত্র এবং ছায়াপথ;
দুহাজার একুশ সালের চৌঠা জানুয়ারীতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের এই মত।
দু-হাজার একুশ সালে পঁচিশে ডিসেম্বরের দিন,
উৎক্ষিপ্ত আকাশে নাসার জেমস ওয়েব দূরবীণ।
বিখ্যাত হাবল টেলিস্কোপের এ এক নতুন উত্তরসূরী,
মহাবিশ্বের অতীতে আগের চেয়ে বেশী দূরে যাবে ফিরি।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ – তাপ দূরবীণ আগামী যুগের।
কত দূরে দেখবে এ দূরবীণ? সে দৃশ্য কতদিন আগের?
যখন প্রথম নক্ষত্র এবং ছায়াপথ তৈরি হতে শুরু করে,
দেখবে মহাবিশ্ব কেমন ছিল তার দশ কোটি বছর পরে।
এ দূরবীণ ক’রবেনা শুধু সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলির অধ্যয়ন,
সৌরমণ্ডলের গ্রহ ব্যবস্থাও জেমস ওয়েব ক’রবে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ,
বহু অচেনা ধূমকেতু, বরফে ভরা উপগ্রহের এ দূরবীণ পাবে খোঁজ;
নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে নিত্য নতুন খবর পাঠাবে এ দূরবীণ রোজ।
দূরবীণের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নাসা ঘোষণা করেছে এ-খবর:
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ কাজ ক’রবে অন্ততঃ দশ বছর
লঞ্চের প্রায় ছয় মাস পরে জেমস ওয়েবের কাজ হবে চালু।
নিয়মিত বিজ্ঞান অপারেশন, চিত্রগুলি ক’রবে আসতে শুরু।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ চলে হাবলের চেয়ে একশোগুণ বেশী জোরে।
হাবল পৃথ্বীর চারপাশে ঘোরে, জেমস ওয়েব ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে।
চোখে দেখা আলো এবং অতিবেগুনী ফোকাসে বিশ্বকে দেখে না জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ,
এর ইনফ্রারেড সেন্সর চার লাখ কিলোমিটার দূরে এক মৌমাছির তাপ করতে পারে অনুভব৷
ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে এক হাজার কোটি ডলারের এই স্পেস টেলিস্কোপের উৎক্ষেপণ,
আনবে এক নতুন বিজয় যা লক্ষ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এক প্রজন্ম ধরে ক’রছেন অনুসরণ।
সূর্য-পৃথিবী অক্ষের একটি স্থান যেখানে পৃথিবীর মহাকর্ষীয় টান
সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে রাখে জেমস ওয়েব দূরবীণ মহাকাশযান।
একুশ হাজার মাইল প্রতি ঘণ্টায় জেমস ওয়েব-এর অভিযান।
পাঠাবে তেরোশো নব্বই কোটি বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার জ্ঞান।
***সমাপ্ত***