বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

অন্বেষণে লেখকের আত্মজীবনী প্রথম খন্ড


একুশ শতকের ভারত বাংলাদেশের ৯০ জন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে জীবনী মুলক প্রবন্ধ গ্রন্থ ছাপানো অক্ষরে প্রকাশিত।



অন্বেষণে লেখকের আত্মজীবনী প্রথম খন্ড

জীবনী লেখক ও প্রবন্ধকার :- শংকর হালদার শৈলবালা।

সম্পাদনায় :- শান্তনু দাস।


ISBN :- 9798885917391

==============================

                উৎসর্গ

বন্ধু শ্রদ্দেয় কবি ও সাহিত্যিক সোমেন বিশ্বাস।
জন্ম 18 ফেব্রুয়ারি 1985 ও মৃত্যু 24 মার্চ 2019

                          এবং 

             স্বর্গীয় বিমান দত্ত।



==============================

প্রথম প্রকাশ :- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সাল। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে।
বইয়ের নাম :- অন্বেষণে লেখকের আত্মজীবনী প্রথম খন্ড।
শ্রেণী :- জীবনী গ্রন্থ।
বিষয় :- লেখকদের আত্মজীবনী মূলক প্রবন্ধ।
জীবনী লেখক প্রবন্ধকার :- শংকর হালদার শৈলবালা।
মোবাইল :- 8926200021
সম্পাদনায় :- শান্তনু দাস।
প্রকাশনায় :- টিউলিপ পাবলিশার্স।
ইমেইল :- santanu.presi@gmail.com
ঠিকানা :- Suri Samannay pally ,Birbhum,West Bengal,731101
মুদ্রণে :- Notionpress Co-powered by pothi.com, Notionpress, xpress.com, Google play store, Amazon.in, Amazon Kindle and flipcart.
ঠিকানা :- Notion Press Media Pvt. No.50 Chettiyar Agaram Main Road Vanagaram Chennai -600095
Tamil Nadu , India.
প্রচ্ছদ শিল্পী :- শান্তনু দাস।
গ্রন্থ স্বত্ব :- লেখকের।

© All rights reserved by the authors.No part of this publication may be reproduced , stored, in a retrieval system,or transmitted in any form or by means, electronic, mechanical, photocopying or otherwise, without the prior permission of the copyright holders.

----------- পৃষ্ঠা সংখ্যা 5 থেকে 7 --------------

              ।। ভূমিকা ।।
কিছু অজানা কথা। বাঙালি লেখক সংসদ। ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি লেখকদের সংগঠন। সংগঠনের স্থাপনের জন্ম তারিখ 25 জানুয়ারি 2021 সালে। প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক :- শংকর হালদার শৈলবালা। স্থায়ী ঠিকানা :- দত্তপুলিয়া, রানাঘাট, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। 
মোবাইল :- 91 8926200021

বাঙালি লেখক সংসদের পক্ষে লেখক শংকর হালদার শৈলবালার প্রচেষ্টায় পৃথিবীর সকল বাঙালি লেখকদের নামের তালিকা তৈরির কাজ চলছে এবং বাঙালি লেখকদের আত্মজীবনী সংগ্রহ করছেন। লেখকদের আত্মজীবনীর তথ্য পাওয়ার পর জীবনী লেখক শংকর হালদার শৈলবালা নিজের মত করে সাজিয়ে গুজিয়ে একত্রে প্রবন্ধ তৈরি করছেন এবং ছাপার অক্ষরে বই প্রকাশিত করে চলেছেন।

লেখক শংকর হালদার শৈলবালা মহাশয় জানিয়েছেন লেখকদের নিকট থেকে নাম নথিভুক্ত করার জন্য সামান্য অর্থমূল্য নেওয়া হয় কিন্তু আত্মজীবনী ছাপানো অক্ষরে প্রকাশিত বই নির্দিষ্ট মূল্য দিয়ে সংগ্রহ করতে হবে। সৌজন্যে কপি হিসাবে আত্মজীবনী পিডিএফ কপি দেওয়া হবে।

বাঙালি লেখক তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার জন্য আত্মজীবনীর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। যথা :- আপনার নাম, জন্ম তারিখ, পিতা মাতার নাম, পুরুষ লেখকের ক্ষেত্রে সহধর্মিণী ও ছেলে মেয়েদের নাম আর মহিলা লেখকের ক্ষেত্রে স্বামী ও ছেলে মেয়েদের নাম সহ পিতা মাতার নাম। জন্মস্থান,স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বংশে যদি কোন বিশিষ্ট ব্যক্তি থাকেন তাদের নাম ও বিবরণ, হোয়াট অ্যাপস্ মোবাইল নাম্বার, কোন কোন বিষয়ের উপর লেখালেখি করেন যেমন গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও প্রবন্ধের ইত্যাদি লিখতে হবে। প্রকাশিত বইয়ের তালিকা, সাহিত্য চর্চা কত সাল থেকে শুরু করেছেন। এরপর আপনার মত করে আপনার জীবনের যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা থাকে তা উল্লেখ করুন। আপনার মূল্যবান জীবনী লিখে পাঠিয়ে দেবেন।

যোগাযোগ :- শংকর হালদার শৈলবালা।
হোয়াইট অ্যাপস 91 8926200021

1000 জন কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে বাঙালি লেখকদের তালিকার বই ।
অন্বেষণে লেখকের আত্মজীবনী প্রথম খন্ড ও বাঙালি লেখকদের পরিচয় নামক বইটি প্রথম খন্ড দ্বিতীয় খন্ড এভাবে খণ্ড খণ্ডভাবে প্রকাশিত হতে থাকবে।

লেখক শংকর হালদার শৈলবালা মহাশয় কে সাধুবাদ জানাই। তিনি গ্রাম বাংলার অবহেলিত তৃণমূল স্তরে লেখকদের নিয়ে ভেবেছেন এবং প্রতিটি লেখককে ইতিহাসের পাতায় তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। লেখকদের হাজার হাজার বছর ধরে অমর করে রাখতে চান। শংকর হালদার বলেছেন গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে হাজার হাজার কবি ও সাহিত্যিক অবহেলায় পড়ে আছেন। অতীতে ও বর্তমানে তাদের প্রতিভার কোন মূল্যায়ন করা হয়নি। ইতিহাসের পাতায় নামটা তো দূরের কথা। প্রতিষ্টিত কবি-সাহিত্যিকগণ তাদের নিজেদের কথা ভাবেন কিন্তু ছোটখাটো লেখকদের মূল্যায়ন করতে চাইনা।

একুশ শতকের নতুন নতুন লেখকগণ জীবিত থাকাকালীন অবস্থায় লেখকদের মর্যাদা দান করে চলেছেন শংকর হালদার শৈলবালার অভিনব কর্মসূচি "লেখক পরিচয় পত্র কার্ড" তিনি বলেন মানুষের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নাগরিকদের ভোটার কার্ড পরিচয় পত্র, বসবাসের জন্য স্বীকৃতি আধার কার্ড ও জন্মের প্রমানের জন্য জন্ম সার্টিফিকেট তাহলে লেখক হিসেবে দেশের রাজ্যের স্বীকৃতি পাবে না কেন? প্রতিটি দেশের মধ্যে বড় বড় বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক এবং রাজনীতিক নেতা-মন্ত্রীমন্ত্রীদের মধ্যে বড় বড় কবি ও সাহিত্যিক আছেন কিন্তু লেখকদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবনা চিন্তা মাথায় আসে না। তাদের কাছে নাকি এইসব ভাবনা ছোটখাট ব্যাপার। নিজের আভিজাত্য প্রতিভাকে আরো বড় করতে ব্যস্ত কিন্তু এইসব লেখক এর কোন মূল্য নেই । 

শংকর হালদার মহাশয় বেসরকারি হিসাবে বাঙালি লেখক সংসদ নামের সংগঠনের মাধ্যমে লেখকদের লেখা পরিচয় পত্র কার্ডের মাধ্যমে স্বীকৃতি ও সম্মান দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। সকল কবি ও সাহিত্যিকদের সুস্থ-সবল কামনা করছি ভয়াবহ মারাত্মক করনা ভাইরাসের হাত থেকে নিজেকে ও পরিবারসহ প্রতিবেশীকে রক্ষা করুন।

প্রণব শিকদার ।
বাঙালি লেখক সংসদ।
তারিখ :- 01/09/21
প্রণব শিকদার বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট ছড়া-কবিতা, অনুগল্প, গল্প ও প্রবন্ধ লেখক।
ঠিকানা :- খিরিশতলা, বিদ্যাসাগর সরণি, থানা ও ডাকঘর সোনারপুর, কলকাতা 700150, জেলা দক্ষিন চব্বিশ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ ,ভারত।
 হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার 9433156861


------------ পৃষ্ঠা সংখ্যা 8 ----------------------

   ।। কিছু কথা বলার থাকে।।

প্রথমে শোক বার্তা জানাই কারণ আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন জুলাই মাসের 2021 সালে বিমান দত্ত মহাশয়। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। তিনি জীবিত থাকাকালীন জীবনী গ্রন্থ প্রকাশ করতে না পারায়, নিজের মনের কাছে অন্তরের জ্বালায় দগ্ধ হচ্ছি। 

    লেখকের জীবনী গ্রন্থের প্রবন্ধ লেখা আমার অসাধ্য তবুও চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন লেখকের কাছে গিয়ে ও অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে লেখকের তথ্য জানতে চেয়েছি। লেখকের দেওয়া তথ্য অনুসারে আমি শুধু হাত বুলিয়ে একটি জীবনী মূলক প্রবন্ধ আকারে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু মূলে উক্ত লেখক তার জীবনী লেখক এবং আমি শংকর হালদার শৈলবালা উপলক্ষ মাত্র। 

   লেখকদের জীবনচক্রের খেলা একটি গল্পের মত। আমরা জানি কাজী নজরুল ইসলাম জীবনে বহু দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা ভোগ করেছেন কিন্তু বর্তমানে বহু লোকের জীবন চরিত্র ফুটে উঠেছে কঠিন লড়াইয়ের সংগ্রামের কথা, যা সাহিত্যের মাধ্যমে বৃহত্তম গল্প ও উপন্যাস হয়ে যাবে। একজন লেখক ভালো ভালো গল্প উপন্যাস কবিতা পাঠকদের দান করেছেন কিন্তু এই লেখকের জীবন চক্রের খেলায় দুঃখ-যন্ত্রণা ভরা তা আমরা একবারও অনুভব করতে পারিনা। লেখকের জীবনী না পড়লে, লেখকের সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না সবই অজানা রয়ে যায়।

     আমি ব্যক্তিগতভাবে লেখকদের জীবনী প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছি। একুশ শতকের পৃথিবীতে যত আছে বাঙালি লেখক সবাইকে এক ছাদের তলায় আনতে চাই এবং লেখকদের জীবনী জীবনের তথ্য সংরক্ষন করার মাধ্যমে যা ইতিহাস হয়ে থাকবে। এই কর্মসূচি চলতে থাকবে যতদিন আমার শরীর সুস্থ থাকে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সবাইকে ভালো রাখার চেষ্টা করবেন। শ্রেণী বিশেষে সকল লেখকের চরণে প্রণাম ভালবাসা এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানায়।

 শংকর হালদার শৈলবালা।
 বাঙালি লেখক সংসদ।
 দত্তপুলিয়া, নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
তারিখ :- 28/01/2021

---------- পৃষ্ঠা সংখ্যা 9 থেকে 11 ------------

       ।। আত্মজীবনী গ্রন্থ প্রসঙ্গে।।


 বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক উৎপল মুখোপাধ্যায় তার সৃষ্টির মাধ্যমে শংকর হালদার শৈলবালার সৃষ্টি সম্পর্কে বলেছেন। 

   শংকর হালদার শৈলবালা নিজস্ব উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ও বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সমস্ত বাঙালি প্রবীণ এবং নবীন কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে গবেষণামূলক জীবনী গ্রন্থ প্রকাশের কাজে নিয়োজিত রয়েছে এবং বিশ্বের বাঙালি লেখকদের তালিকা তৈরী করার উদ্যোগ অনেক আগেই নিয়েছেন। তিনি প্রত্যেকটি কাজ সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন।

 বিশেষ অবদান :- প্রবীণ (অর্থাৎ পূর্বসূরী লেখকগণ) ও নবীন কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে মোট এক হাজার লেখকদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় সংরক্ষণ করেছেন এবং একটি বই আকারে প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও একুশ শতকের প্রায় 200 জন লেখকের সম্পূর্ণ আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশের পথে।

    আগামী দিনের নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা সাহিত্য অনুরাগীদের বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠবে এই আশা সর্বদাই পোষণ করি। আধুনিক যুগের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের দ্বারা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহায়তায় তিনি কবি ও সাহিত্যিক প্রবীণ এবং নবীনদের বাংলা সাহিত্য চর্চার উপর ভিত্তি করে তাদের জীবনী সংগ্রহের যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে কোন সাহিত্যপ্রেমী প্রখ্যাত প্রকাশক ও লেখক-কবি কারুর মধ্যে পাওয়া অসম্ভব কিন্তু শংকর হালদার সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন। 

   এই বাঙ্গালী জাতির বাঙ্গালী সাহিত্যের কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সম্পন্ন মানুষের কাছে পরম সৌভাগ্য বলে মনে করি। 

   এই ধরনের বিশিষ্ট কর্মে উদ্যোগ নেওয়ার মুহূর্তে তাকে নানা দিক থেকে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি মূলক মন্তব্য শুনতে হয়েছে। তার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ "বাঙালি লেখকদের তালিকা" নামক গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন অশ্লীল অপমানজনক মন্তব্য লেখা হয়েছে কিন্তু তিনি সেই মন্তব্যের সন্তোষজনক উত্তর দিয়ে সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করেছেন। তাদের কটুক্তি মন্তব্য শুনে পিছিয়ে না গিয়ে সামনের দিকে ঝড়ের গতিতে এগিয়ে চলেছেন।

  মনে পড়ে যায় রামকৃষ্ণদেবের একটি অমৃতময় গল্পের কথা।
  একদিন রামকৃষ্ণদেব বিবেকানন্দকে ডাক দেয়। বিবেকানন্দ তড়িঘড়ি করে গুরুদেবের সামনে এসে প্রণাম করে বলেন:- "গুরুদেব" বলুন।
 রামকৃষ্ণদেব বলেন :- লোকে তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তুমি নাকি ইচ্ছামত কাজ কর্ম ও চলাফেরা করছো? 

বিবেকানন্দ গুরুদেবের পাশে বসে বলেন :- "গুরুদেব" চলার পথে পিছন থেকে সব সময় মানুষ নামক কুকুরগুলো ঘেউ করে চলেছে। তাদের ধর্ম হচ্ছে আধ্যাত্মিক জগতের দিকে কেউ এগিয়ে যেতে চাইলে তাকে ঘেউ ঘেউ করে বাধা সৃষ্টি করে নিচের দিকে টেনে নিয়ে আসা কিন্তু আমি এসব কিছু মনে করি না কারণ আমার লক্ষ্য হচ্ছে সামনের দিকে ঈশ্বরের পথে এগিয়ে যাওয়া। আর জগতের ভালো করতে গেলে সেই কাজের চলার পথে নানা রকম বাধা সৃষ্টি হবেই।

 বাঙালি জাতির বাংলা ভাষায় একটি প্রবাদ বাক্য বলে :- কাজ করতে গেলে ভুল ত্রুটি হবে আর সেই ভুল ধরেই সমালোচকেরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে যাবে কিন্তু যে ব্যক্তি কাজ করেন তার ধৈর্য সহকারে সমালোচনা এড়িয়ে যেতে হবে। 

   শংকর হালদার শৈলবালা আজ নতুন সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন তা নয় কিন্তু, জগতের জন্য নতুন কিছু সৃষ্টি করতে গিয়ে প্রত্যেককেই কোনো-না-কোনোভাবে সমালোচকদের কাছে হেনস্থা ও অপমানিত হতে হয়েছে। কিন্তু তা সাময়িক সময়ের জন্য, অতএব এই মহৎ কর্মের উদ্দেশ্য; সাফল্য অর্জন করতে গিয়ে শংকর হালদার শৈলবালা বাদ পড়েননি।
 আমার জানামতে শংকর হালদার শৈলবালা" বাঙালি লেখকদের পরিচয়" নামক বইটি প্রকাশ করতে গিয়ে এক প্রকাশকের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় 14 হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু তিনি লেখকদের কাছ থেকে হারিয়ে যাননি। বরং লেখকদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শংকর হালদার শৈলবালার কোন চালচুলো নেই, সংসার ত্যাগ করে আশ্রমবাসী হয়েছেন। জগতের কলির ভগবান শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মত দুই হাত উপরে তুলে দিতে পারতেন কিন্তু মানবিক কারণে লেখকদের আর্থিক ক্ষতি বাঁচাতে ধারদেনা করে নতুন করে "অন্বেষণে লেখকের আত্মজীবনী" বই প্রকাশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

   সবথেকে আশার বিষয় এই যে লেখকদের জীবনী গ্রন্থের তিনটি খন্ড প্রকাশ হতে চলেছে কিন্তু এ প্রসঙ্গে নির্দ্বিধায় বলা উচিত তিনি একক প্রচেষ্টায় নিজের অর্থ ব্যয় করে এই মহৎ কর্ম সমাধান করতে চলেছেন ও করে যাচ্ছেন। এই জীবনী গ্রন্থের প্রথম খন্ডের জন্য কোন টাকা আদায় করেননি।
 এই ক্ষেত্রে যথাসম্ভব প্রতিটি লেখক শিল্পীকে বিশেষ অনুরোধ করছি, সাধ্যমত আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য। তাকে যদি আমরা সকলে মিলে সহযোগিতা করতে পারি তাহলে এই ধরনের মহৎ কর্ম একদিন বাংলা সাহিত্য জগতের কৃষ্টির সৃষ্টির শৈলীতে বিশেষ মর্যাদার ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে। এই কথাগুলো বিশ্বাসের সাথে বলা সম্ভব বলেই আপনাদের জানালাম।

 এই মহৎ ব্যক্তির সঙ্গে আমার সরাসরি সাক্ষাৎ আলাপচারিতা কোনদিন হয়নি কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি মিডিয়াতে তার সঙ্গে কথা বলে যে টুকু বুঝেছি এবং হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছি তাতে সর্বক্ষণের জন্য মনে হয়েছে উনি আমার জন্ম জন্মান্তরে পরিচিতি পরিজন, আত্মীয়-বন্ধু, সাথী, সহযোগী ও অন্তরের আত্মিক জন।

  তাই হৃদয়ের অন্তঃকরণ থেকে সর্বদাই চাই তিনি বাংলা ভাষা সাহিত্যিক লেখক, কবি ও শিল্পীদের জীবনী গ্রন্থ করে তুলুন। আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা তে আর মানসিক ও আর্থিক আনুকূল্যের ফলে দুই বাংলার নবীন-প্রবীণ সমস্ত কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, উপন্যাসিক, লেখক, নাট্যকার, সাংবাদিক এবং ভাষাবিদ সকলের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বাংলা সাহিত্যের অগ্রগতিতে যথেষ্ট ভাবে পথ সুগম ও প্রশস্ত হবে । 

 "বাঙালি লেখকদের পরিচয়" প্রথম খন্ডের 1000 জন সংক্ষিপ্ত পরিচয় এবং "অন্বেষণে লেখকের আত্মজীবনী" প্রথম খন্ড পড়ে সকলে নিশ্চয়ই মন্তব্য করে জানাবেন তার এই কর্মযোগ এর বৈশিষ্ট্য ও তার গুনাগুন সম্বন্ধে।
 এই আশা রেখে শংকর হালদার শৈলবালা সহ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা আন্তরিকতা ও শুভেচ্ছা জানাই।

 উৎপল মুখোপাধ্যায়।
26 নভেম্বর 2021
 বাঙালি লেখক সংসদ।
উৎপল মুখোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের একজন কবিতা, ছড়া, গল্প, প্রবন্ধ, পথনাটক, শ্রুতি নাটক ও ছোট ছোট নাটক রচয়িতা এবং একজন দক্ষ শিল্পী।
 ঠিকানা :- রঘুনাথপুর, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
মোবাইল :- 91 9735883485

==============================পরর্বতী অংশ পড়ুন। ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত করা হবে।






পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু