বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

নতুন বছর

নতুন বছর?

         স্বাধীন হবার পরে কেটে গেছে দীর্ঘ পঁচাত্তর বৎসর;

         সময় এসেছে; প্রতি দেশবাসী হোক আরো তৎপর।

         সরকারী উদ্যোগ ও চাকরীর উপর যাবেনা করা নির্ভর;

         জবরদস্তি ভোটে জেতা মন্ত্রীরা বিশ্বাসঘাতক ও স্বার্থপর।

নতুন বছর?

         হবো স্বনির্ভর, দেবো পরস্পরকে সাহায্যের ডোর;

         গড়বো কিছু কোঅপারেটিভ – আমরা মালিক ওর।

         হবো পরিশ্রমী; বাড়াবো শরীর আর মনের জোর;

         প্রকৃতি বাঁচাবো, ফসল বাড়াবো- এই শপথ মোর।

আনবো যুগান্তর,

        যা কিছু শিখেছি স্কুলে, কলেজে,

        শিখবো শেখাবো লাগাবো কাজে,

        শ্রমিক, মালিক খাটিবো দিনভর,

        শিল্প-উন্নয়নে সদা রবো তৎপর।

নতুন বছর!

        ধনী ও গরীব মিলে দেখাবো দেশপ্রেমের জোর।

        বিলাসী সরকারী চাকরীর দরকার নাই কারোর।

        হিসের করবো নতুন প্রোজেক্টে কেমন হবে আয়;

        সেই বুঝে ক’রতে হবে সময় ও পরিশ্রমের ব্যয়।      

নতুন বছর!

        পৃথিবী জুড়ে রুখে দেবো সব মন কেমনের ব্যথা।

        মাথা খাটিয়ে, মেহনৎ দিয়ে, বাঁচাবো সবার মাথা।

        কোভিডের কালোছায়া ভুলে জ্বালো জীবনের আলো।

        কমাবোই এ পৃথিবীর তাপমাত্রা, সঠিক কদমে চলো।

নতুন বছর!

        খাদ্যেবস্ত্রে ভরিয়ে দেবো সব মানুষের ঘর।

        তিন শিফটে খাটবো সারা রাত দিন ভর।

        ধর্ম অধর্ম মানি না, প্রতি মানুষই ঈশ্বর;

        বসুধৈব কুটুম্বেকম; কেউ নয় মোর পর।

নতুন বছর!

        লালসা হিংসা যা আছে সব দেবো বিসর্জন।

        ধর্ষক খুনী লোভীদের হোক চির-নির্বাসন।

        আকাশ, আলো, তনু-মন-প্রাণ হোক্ সবার;

        থাক্ দুটি খাবার, মাথা গোঁজবার অধিকার।

নতুন বছর!

        নিভৃতে আত্মহত্যা ক’রে মেনে নেবো না হার;

        বাঁচতে আর বাঁচাতে শেখার নেবো অঙ্গীকার।

        মানুষে মানুষে বন্ধুত্ব চাই, চাই উদার হৃদয়;

        স্বার্থপরতা দেবো ঘুচিয়ে, হ’য়ে নির্ভীক নির্দয়।

নতুন বছর!

        মতবিরোধ যাক্ ঘুচে; আনো দেশের জন্যে মিল;

        সমৃদ্ধ হোক্ দেশ; চাই না অকারণ পার্টি-মিছিল।

        শুধু একবার নয়, বারংবার এ জমিতে ফলাবো ফসল;

        না খেয়ে মরতে দেবো না কাউকে; হতেই হবে সফল।

নতুন বছর!

        ক’রে গেছি বৃথাই অন্নধ্বংস এতদিন, হ’য়ে সন্তান বাবা-মার;

        নিরুপায় বেরোজগাড়; দোষ দিয়েছি – কিচ্ছু করেনি সরকার।

        র’য়ে গেছি অযোগ্য জানোয়ার হ’য়ে; ঋণ শুধিনা বাবা-মার;

        মোরা বেকার, বাবাদের চোখে আমরা কেবল অপচয়ের ভার।

বরিবো কারাগার;

        কারাগারের উপার্জ্জন দিয়ে যত ঋণ শুধিবো বাবা-মার।

        হয়তো জনতার টাকায় চালু থাকবে এই সব কারাগার;

        কয়েদীরা খেটে ক’রবো শোধ, জনতার এ ঋণের ভার;

        শেয়ার-হোল্ডারদের নিয়মিত দেবো লাভের রোজগার।

নহি বেকার-

        মোরা দেশমাতার কর্ম্মী, মনস্বী!
        আমরা দুর্দম, দূর্বিনীত, দূরদর্শী,

        মোরা পরিবর্ত্তনে পারদর্শী,

        প্রতি মানুষের মর্ম্মস্পর্শী!

মোরা সুনিশ্চয়,

        নির্ম্মূল ক’রি কুসংস্কার,

        আমরা হবো ঝাড়ুদার,

        সম্মার্জনী স্পর্শে যার

        স্বচ্ছ, সুস্থ এ সংসার।

নতুন বছর!

       আমাদের হবেই হ’তে নতুন প্রহ্লাদ,

       চূর্ণ করে দেবো দুর্নীতির যত প্রাসাদ!

       আমাদের সত্য সুনিশ্চিত ও সুনির্ম্মল,

       ছিন্নভিন্ন ক’রি মিথ্যে নিয়মের শৃঙ্খল!’

শিক্ষিত বেকার,

       ঘুষ দেবো না কোনো মন্ত্রী বা শিল্পপতিকে,

       কেবল ক’রি কাজ; চাইনা কোনো পার্টিকে

       শিল্প গড়বো নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী কয়েদীকে,

       জিডিপি বাড়াবো- দেশ বাঁচানোর বাতিকে।

নতুন বছর!

       আমরা হবোই বিদ্রোহী বেকার;

       গড়বো কোঅপারেটিভ কারাগার।

       কাজ নিয়েছি দেশে শিল্প গড়ার।

       খাদ্যে ও দ্রব্যে সমৃদ্ধতর হওয়র।

কর্ম্মী বেকার,

      ঘুষ দেবো না ঠাকুর বা দেবতাকে,

      মেহনত দিয়ে আনবো সফলতাকে;

      পুজো দেবো মোদের দেশমাতাকে;

      দেশের মান বাড়াবো বিশ্বের নিরিখে।

*** সমাপ্ত ***

পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু