বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

নদীয়া জেলার কবি ও সাহিত্যিকদের জীবনী।


নদীয়া জেলার কবি ও সাহিত্যিকদের  জীবনী।

  সংগ্রাহক ও সম্পাদনা :- শংকর হালদার শৈলবালা।


◆ বইয়ের নাম :- নদীয়া জেলার কবি ও সাহিত্যিকদের জীবনী।
◆ শ্রেণি :- জীবনী মূলক প্রবন্ধ গ্রন্থ।
◆ বিষয় :- বিভিন্ন লেখকের জীবনের কাহিনী সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা ।
◆ সংগ্রাহক ও সম্পাদনা :- শংকর হালদার শৈলবালা।
◆ মোবাইল :- 91 8926200021

◆ গ্রন্থের স্বত্ব :- শংকর হালদার ।

© লেখক এবং লেখিকাদের দ্বারা সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত। এই প্রকাশনার কোনও অংশ পুনরুৎপাদন, সংরক্ষণ, একটি পুনরুদ্ধারের পদ্ধতিতে বা কোন আকারে বা মাধ্যমে, বৈদ্যুতিন, যান্ত্রিক, ফটোকপি বা অন্যভাবে প্রেরণ করা যাবে না।


                 ।। সূচিপত্র ।।

◆ কবি কবিন্দ ধোয়ী। জন্ম তারিখ :- 1119 খ্রিস্টাব্দে।

◆ কৃত্তিবাস ওঝা ( জন্ম ১৩৮১ খ্রিস্টাব্দে)

◆ চৈতন্য মহাপ্রভু। জন্ম তারিখ :- 18 ফেব্রুয়ারি 1486 খ্রিস্টাব্দ।

◆ কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ। জন্ম তারিখ আনুমানিক ১৬০০-১৬১০ খ্রিস্টাব্দে।

◆ রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ । জন্ম তারিখ ১৭৮৬ 

◆ মদনমোহন তর্কালঙ্কার। জন্ম ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে।

◆ তারাশঙ্কর তর্করত্ন ।জন্ম তারিখ ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে।

◆ দীনবন্ধু মিত্র (১০ এপ্রিল ১৮৩০ 

◆ অঘোরনাথ গুপ্ত। জন্ম তারিখ :- 1841 খ্রিস্টাব্দে

◆ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। জন্ম ১ মার্চ ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে

◆ ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ। জন্ম তারিখ :- 12 এপ্রিল 1863 খ্রিস্টাব্দে।

◆ করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্ম তারিখ :- 19 নভেম্বর 1877 খ্রিস্টাব্দে।

◆ গিরীন্দ্রশেখর বসু। জন্ম তারিখ :- 30 জানুয়ারি 1887 খ্রিস্টাব্দে।










◆ সঞ্চিতা সিকদার । ( ৮ জানুয়ারি ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে।)
--------------------------------------------------------------------


।। কবি কবিন্দ ধোয়ী মহাশয়ের জীবনী ।।


◆ লেখকের নাম :- কবি কবিন্দ ধোয়ী।
দ্বাদশ শতকের সংস্কৃত ভাষার বাঙালি কবিদের মধ্যে অন্যতম।

◆ দ্বাদশ শতকের সংস্কৃত ভাষার বাঙালি কবিদের মধ্যে তিনি লক্ষণ সেনের রাজসভায় পঞ্চরত্ন এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি মুলত সংস্কৃত ভাষায় কাব্য রচনা করতেন।

◆ বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার নবদ্বীপ শহরের বাসিন্দা ছিলেন।

◆ জন্ম তারিখ :- আনুমানিক ১১১৯ খ্রিস্টাব্দে।
◆ মৃত্যুর তারিখ :- আনুমানিক ১২০৫ খ্রিস্টাব্দে। ৮৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
◆ জন্মস্থান :- পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার নবদ্বীপ শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কাশ্যপ গোত্রের পালাধী গ্রামীণ ছিলেন। 
◆ বিভিন্ন রচনায় বিভিন্ন ব্যক্তি তাকে, বিভিন্ন জন ব্রাহ্মণ, বৈদ্য এবং তন্তুবায় সম্প্রদায়ভুক্ত বলে উল্লেখ করেছেন। 

◆ লক্ষণ সেনের রাজসভায় পঞ্চরত্ন এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কবি কবিন্দ ধোয়ী মহাশয়। লক্ষণ সেনের পঞ্চরত্ন এর মধ্যে বাকি চারজন হলেন জয়দেব, শরণ, উমাপতিধর ও গোবর্ধন আচার্য। এছাড়াও লক্ষণ সেনের রাজসভায় শূলপাণি, হুলায়ুদ, পশুপতি এবং লক্ষ্মণ সেনের সেনাপতি পুত্র শ্রীধর রাজসভায় সমাদৃত ছিলেন।

◆ পেশা :- কবি ও দূত কাব্য লেখক।
◆ ভাষা :- সংস্কৃত।
◆ সময়কাল :- সেন যুগের উল্লেখযোগ্য রচনাবলি
পবনদূত ও কাব্য কীর্তি।

◆ পবনদূত কাব্য গ্রন্থের রচনার ইতিহাস :- কবি কবিন্দ ধোয়ী মহাশয়ের একমাত্র কাব্যগ্রন্থ "পবনদূত" আবিষ্কৃত হয়েছে। লক্ষ্মণসেন দিগ্বিজয় উপলক্ষে দক্ষিণ দেশে মালয় পর্বতের কাছে গেলে কুবলয়বতী নামে এক গন্ধর্ব কন্যা কবির প্রেমে আসক্ত হয় এবং সে পবন অর্থাৎ বায়ুকে দূত করে তার কাছে প্রেরণ করে। তাই এই কাব্যগ্রন্থের নাম পবনদূত। এটা পবনদূত কাব্যের মূল বিষয়বস্তু। 

◆ কাব্যটি বাঙালি কবিদের রচিত সংস্কৃত দূত কাব্য সমূহের মধ্যে প্রাচীনতম। এই কাব্যটি মন্দাক্রান্তা ছন্দে ১০৪টি শ্লোকে রচিত। 
◆ এই কাব্যের শেষ ভাগের একটি শ্লোকে (১০১) গৌড়েন্দ্র লক্ষ্মণ সেন কে কবিতার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কাব্যটিতে কুবলয়বতী ও লক্ষ্মণ সেনের প্রেমলীলা ছাড়াও গৌড় সহ ভারতের অন্যান্য কিছু স্থান ও নদ নদীর বর্ণনা আছে।

◆ কাব্য থেকে তৎকালীন বাংলা অর্থাৎ গৌড় দেশের রাজধানী বিজয়পুরের চমৎকার বর্ণনা আছে। আরও জানা যায় যে, দিগ্বিজয় কালে লক্ষ্মণসেন দক্ষিণ দেশীয় রাজাদের পরাজিত করেন এবং তার সময়ে বিজয়পুর যে গৌড়ের রাজধানী ছিল সেই কথা জানা যায়। 

◆ পবনদূত কাব্য গ্রন্থের ৩৮ তম শ্লোক থেকে জানা যায় তৎকালীন সময়ে বাংলায় সুপারি গাছের প্রাচুর্য ছিল। এছাড়া তৎকালীন সময়ের দক্ষিণ ভারত ও উত্তর ভারতের কিছু ভৌগলিক তথ্য এ কাব্য থেকে পাওয়া যায়। পবনের গতিপথের বর্ণনা প্রসঙ্গে কবি পান্ড্যদেশ, উরগপুর, সেতুবন্ধ, কাঞ্চীপুরম, চোল, কেরল, অন্ধ্র, কলিঙ্গ, সুহ্ম প্রভৃতি স্থানের; তম্রপর্ণী, সুবলা, কাবেরী, গোদাবরী, রেবা, নর্মদা, গঙ্গা, যমুনা প্রভৃতি নদী এবং ভিল ও শবর জাতির নাম উল্লেখ করেছেন।

◆ কাব্য সমালোচকরা কাব্য রচনায় কালিদাসের মেঘদূত কাব্যের প্রভাব আছে বলে মনে করেন। তবে মেঘদূতের মতো এতে পর্ব বিভাগ নেই। কালিদাসের মেঘদূতে যেমন যক্ষ মেঘকে দূত করেছিলেন তেমন এখানে পবনকে দূত করা হয়েছে। মেঘদূতের বর্ণনা পড়লে বোঝা যায় কালিদাস রাম গিরি থেকে কৈলাস পর্যন্ত নিজে চোখে দেখে বর্ণনা দিয়েছেন কিন্তু সেই বর্ণনা পবনদূত কাব্যের মধ্যে নেই।

◆ পবনদূত কাব্যের ভাষা প্রাঞ্জল ও সরস। ধোয়ীর কবি প্রতিভার স্বীকৃতিস্বরূপ জয়দেব তাকে কবিক্ষ্মাপতি (কবিদের রাজা) এবং 'শ্রুতিধর উপাধিতে ভূষিত করেন। ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে দূত কাব্য রচনায় এই কাব্যের দৃষ্টান্ত বিরল। সেই হিসেবে সংস্কৃত দূত কাব্যের ইতিহাসে পবনদূত এক বিশেষ স্থানের অধিকারী।

◆ অন্যান্য কাব্য কীর্তি :- তবে পবনদূত ছাড়া সদুক্তিকর্ণামৃত, সুভাষিত মুক্তাবলী, শার্ঙ্গধর পদ্ধতি প্রভৃতি কোষ কাব্যে তার প্রকীর্ণ কবিতা পাওয়া যায়।

◆ তথ্যসূত্র :- ধোয়ী বাংলাপিডিয়া।
◆ আনন্দবাজার, বিতান ভট্টাচার্য (৪ আশ্বিন ১৪১৯ বৃহস্পতিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২)। 

◆ "প্রাচীন অর্ধনারীশ্বর মূর্তি পেয়ে পুজো শুরু সুখচরে"। 

◆ "ধোয়ী"। চক্রবর্তী, রজনীকান্ত (১৯১০ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ))। গৌড়ের ইতিহাস। রঙ্গপুর: রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ। 

◆ "সাময়িক সাহিত্য সমালোচনা - ৩৮"। আশ্বিন, ১৩০৫। Authors list-এ | 
--------------------------------------------------------------------
ধারাবাহিক ভাবে চলবে।

পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু