বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

কে এই দেশপ্রেমী?

মনে করো,  আমি সেই বাঙালী দেশপ্রেমী- সাহেব মারতে পিস্তল ধরেছি, আবার পেট চালাতে খবরের কাগজের ফেরিওয়ালাও হ’য়েছি। আমি এক রাজবাড়ীর বংশধর; জন্ম হ’য়েছিল মামাবাড়ীতে, দর্জিপাড়ায়, ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ক’লকাতায়; আমার বাবা ছিলেন এক আধ্যাত্মিক- অমৃত পথের সন্ধানী; আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি বাবাকে; বুঝে উঠতে পারিনি কোথায় বাবার পথ, উনি পৌঁছতে চান কোন্ গন্তব্যে।

স্কুলে গিয়ে আর এক পথের খোঁজ পেলাম- স্বদেশী আন্দোলন- ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার পথ, সক্রিয় ভৃমিকা নিলাম এই পথে, হ’লাম কারাগারে অন্তরীণ; ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থেকে হ’লাম বঞ্চিত; সেই থেকে পড়েছি নিজের চেষ্টায়- নানা বিষয়ে- যাতে কিছু রোজগার করা যায় আর নিজের পেট চালিয়ে কাজ করা যায় স্বাধীনতার সংগ্রামে।

ছোটবেলা থেকেই দেখেছি,- বাড়িতে বাবা-মা দু’জনের কেউই লৌকিক জগতে থেকেও যেন নেই। তাই আমারও মায়া জন্মায়নি সংসারে। অল্প বয়স থেকেই বাড়ি ছেড়ে বারবার পালিয়েছি- পাহাড়ে, সমুদ্রে, যখন যেখানে খুশি। পকেটে এক পয়সাও নেই। যেখানে খুশি যত দিন খুশি কাটিয়ে আবার ফিরে এসেছি বাড়িতে। এসে দেখেছি, বাবা-মা দুজনেই নির্বিকার, কাউকে না জানিয়ে এত দিন বাইরে থাকার পরেও। একবার তাঁরা জিগ্যেসও ক’রতেন না, ‘এত দিন কোথায় ছিলিস?’ এমন পরিবেশে বড় হওয়ার জন্যই রাজসম্পত্তি, সংসার কোনও কিছুতেই মায়া জন্মায়নি আমার। কিশোর বয়েসেই একদিন পাকাপাকি ভাবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলাম দেশবন্ধু চিত্তররঞ্জন দাশের সঙ্গে।

আমি তখন প্রাথমিক স্কুলে; মাস্টারমশাই প্রবন্ধ লিখতে দিলেন— বড় হ’য়ে কী হ’তে চাও? সহপাঠীরা কেউ লিখলো ডাক্তার, কেউ উকিল। আমি লিখেছিলাম, দেশপ্রেমিক হ’তে চাই। মাস্টারমশাই অবাক! এক সহপাঠী আড়ালে ডেকে ব’ললো, ‘দেশপ্রেমিক হ’তে চাইলে আমাদের দলে আয়। আমিও বিপ্লবী, আমার মতো দেশের কাজ ক’রবি।‘

যোগ দিলুম ওই বিপ্লবীদের দলে। এ-দলে ছোটদের কাজ গোপনে চিঠি আর অস্ত্র পাচার করা, যাতে পুলিশ সন্দেহ না করে।

এক বিশাল সভার মধ্যে এক সাহেবকে গুলি ক’রে মারার দায়িত্ব পড়লো আমার ওপর। পিস্তল এসে গেলো। পকেটে পিস্তল নিয়ে আমি গেলাম সেই সভায়। জানি, সাহেবকে গুলি করার পরেই নিজেকেও মরতে হবে। দেশের জন্য মরতেও প্রস্তুত ছিলাম।

যেই সাহেব মঞ্চে উঠেছেন, দর্শকের আসন থেকে উঠে দাঁড়ালাম আমি। গুলি ছোঁড়ার জন্য পকেট থেকে পিস্তল বার ক’রতে যাবো, তখনই মাইকে ঘোষণা হ’লো,- আমাকেই মঞ্চে এসে উদ্বোধনী সঙ্গীত গাইতে হবে।

সবার চোখ তখন আমার দিকে। আর উপায় নেই, আমাকে উদ্বোধনী সঙ্গীত গাইতে হ’লো। পিস্তল পকেটেই রয়ে গেলো!

 
আমাদের শহরে সভা ক’রতে এলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। আমিও গেলাম দেশবন্ধুর ভাষণ শুনতে; শুনে এমন উদ্বুদ্ধ হ’লাম যে দেশবন্ধু ফেরার ট্রেনে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ওই বগিতেই লাফ দিয়ে উঠে পড়লাম।

‘আপনার সঙ্গে কলকাতায় যাবো।’

‘কী ক’রবে গিয়ে?’

‘দেশসেবা। স্বদেশী ক’রবো।’

‘চলো তাহ’লে।’

কলকাতায় এক মেসে এসে উঠলাম, যেখানে সব অল্পবয়েসি স্বদেশীরা থাকে, ইস্কুলে যায়, চরকা কাটে।

সব ব্যবস্থা ক’রে দিলেন দেশবন্ধু। তবে এও ব’ললেন, ‘শুধু দেশসেবা ক’রলে হবে না, সঙ্গে পড়াশোনাও ক’রতে হবে।’

আমাকেও স্কুলে ভর্তি করা হ’লো। সেই মেসের কড়া নিয়ম। মেস-ম্যানেজারের হাতে দেশবন্ধু দশটা টাকা দিয়ে ব’ললেন, আমার বই খাতা পেন জামা সব কিনে দিতে।

কিক’রে যেন সেই টাকা আমার হাতে এলো; দু’দিনের মধ্যেই সিনেমা দেখে আর চপ কাটলেট খেয়ে খরচ ক’রে ফেললাম।

ম্যানেজার চড়াও হ’য়ে কৈফিয়ত চাইলেন। আমি দোষ স্বীকার ক’রলাম।

ম্যানেজার আমাকে মেস ছেড়ে যেতে ব’ললেন।

শুরু হ’লো আবার ভবঘুরের জীবন।

 

তখন মেসে থাকি। একদিন রাত্তিরে কুখ্যাত টেগার্ট সাহেব এসে হাজির; সঙ্গে অনেক পুলিশ। ওরা খবর পেয়েছে, মেসে প্রায়ই বিপ্লবীরা এসে রাত কাটায়। টেগার্ট এসে জিগ্যেস ক’রলেন, আমার মেসে আর কেউ আসে কিনা।

ব’ললাম, ‘আজ্ঞে হ্যাঁ, যে যার খুশিমতো আসে, চলে যায়, আবার আসে।’

‘কে এসেছিল এর মধ্যে?’

‘আজ্ঞে, তারক এসেছিল।’

‘দেখতে কিরকম?’

যা ব’ললাম, তাতে টেগার্ট ব’ললেন, ‘ওকেই চাই- একজন টেররিস্ট।’

‘টেররিস্ট কি না জানি না, স্যার, তবে উনি নভেলিস্ট। ওঁর লেখা শুনতে চাইনা; তবু টেররিস্ট-এর মতো জোর করে শোনায়।’

আর কিছু ব’ললেন না টেগার্ট; আমার ঘর সার্চ করালেন। কিছুই পেলেন না। কিন্তু তার পর দিন থেকে নাম ছড়িয়ে গেল আমার- কেউ ভাবলো পুলিশের চর, কেউ ভাবলো বড় বিপ্লবী।

 

জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ীতে রবীন্দ্রমঞ্চে আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে; পাশে বসে রয়েছেন স্বপনবুড়ো; তিনিও বক্তা। মঞ্চে মানপত্র পাঠ হ’লো; আমার সম্পর্কে সকলে ব’লছেন; কিন্তু আমার খিদে পাচ্ছে; শেষে ধৈর্য্য ধরলোনা; পাশে বসা স্বপনবুড়োকে ব’ললাম, ‘এসব মানপত্তর নিয়ে কী হবে? ঘরের দেওয়ালে টাঙানোর জায়গা নেই। পেরেকই বা কে এনে দেবে?’
‘সে পেরেকের ব্যবস্থা না হয় ক’রে দেওয়া যাবে।‘
‘ধুর মশাই, পেরেকের বদলে রাবড়ি-টাবড়ি আনলে খিদে মিটতো।‘
তারপর সন্দেশ, রাবড়ি এলো; মঞ্চে বসেই খেতে শুরু ক’রলাম।
 
লেখক পঞ্চানন ঘোষাল ছিলেন এক দুঁদে পুলিশ অফিসার। একবার আমাকে ‘ফলো’ করার দায়িত্ব পড়েছিল ওঁর উপর। উনি শুনেছিলেন- আলাভোলা দেখালেও আমি আসলে বিপ্লবীদের পাণ্ডা, গভীর জলের মাছ। কয়েক দিন পরেই বুঝলেন, বৃথা পরিশ্রম; চালচুলোহীন একটা লোক। তবে ‘ফলো’ করার অন্য ফল পেয়েছিলেন পঞ্চানন; আমার সামনেই স্বীকার ক’রেছিলেন তিনি এক সাহিত্য আড্ডায়। উনি তখন অবসরপ্রাপ্ত; ব’লেছিলেন যে আমাকে ‘ফলো’ করার ফল তিনি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন।
‘কীভাবে?’, প্রশ্ন ক’রলো সকলে।
‘আমার এই বিশাল বপু।‘
‘বুঝলাম না।‘
‘কী আর ব’লবো? ‘ফলো’ করা শুরু তো করলাম। কিন্তু রোজই দেখি, ইনি একটু এগোন আর কোনো একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে মিষ্টি বা চপ-কাটলেট সাঁটাতে থাকেন। বাধ্য হ’য়ে আমাকেও সেই দোকনে ঢুকে ভালোরকম খেতে হ’তো। সেই খেয়ে খেয়ে এমন পাহাড় প্রমাণ চেহারা হ’লো যে নিজেকেই চেনা কঠিন হ’য়ে উঠলো।‘
শুনে আমি ব’ললুম, ‘আমিও তো খেতুম, কিন্তু নাতিদীর্ঘই রয়ে গেলাম; আপনার মতো হাতিদীর্ঘ হ’তে পারলাম না কেন?’
‘আরে মশাই, আপনি খেতেন নিজের পয়সায়; আমি খেতাম সরকারের পয়সায়। যা টাকার খেতাম তার তিনগুণ বিল জমা দিতাম। তারই সফল ফসল নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছি এখন। আপনার মতো খাইয়ে লোকের পেছনে লাগা যে কী কঠিন, তা মেদে মেদে টের পাচ্ছি।‘
 
সুভাষ বোসকে চিঠি লিখলেন দেশবন্ধু, আমাকে ‘আত্মশক্তি’ কাগজে লেখার কাজ দেবার জন্যে। গুরুদেবের আদেশে আমাকে চাকরিতে নিলেন নেতাজি। কিন্তু আমি নিয়মিত অফিসে যেতাম না। কখন আসতাম আর কখন বেরিয়ে যেতাম তার ঠিক থাকতো না।

নিয়মনিষ্ঠ নেতাজির পছন্দ হয়নি এমন আচরণ। তিনি ওয়ার্নিং দিলেন, রোজ ঠিক সময়ে দপ্তরে আসার জন্যে। কিন্তু কারও কথা শুনে চলতে পারিনা আমি। ফলে যা হওয়ার তাই হ’লো। একদিন হাতে একটি খাম পেলাম। তার মধ্যে একশো টাকার একটি নোট আর সুভাষচন্দ্রের একটি একলাইনের চিরকুট। তাতে লেখা— ‘আপনাকে আর দরকার নেই।’

চাকরি নেই। হাতে বরখাস্ত হওয়ার চিঠি পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম!

 
‘আত্মশক্তি’ কাগজের চাকরি যাওয়ার পরে আস্ত একটা খবরের কাগজেরই মালিক হ’য়ে গিয়েছিলাম আমি। যুগান্তর সেবার দেউলিয়া। বন্ধই হ’য়ে যাবে এমন অবস্থা। মাত্র পাঁচশো টাকা দিয়ে কিনে ফেললাম যুগান্তর-এর স্বত্ত্ব; সম্পাদকও হ’লাম। তখন অনেক কাগজেরই ইংরেজ সরকারের কোপে পড়ে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। যুগান্তর-এ ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে লেখা ছেপে আমিও পড়লাম রাজরোষে।

একদিন দফতরের কাজ সেরে মেসের দিকে ফিরছি, রাস্তাতেই খবর পেলাম পুলিশ এসেছে- আমাকে খুঁজছে। আমি ঢুকে পড়লাম সামনে একটা মিষ্টির দোকানে, যদি জেল হয় তাহ’লে কত দিন মিষ্টি খাওয়া হবে না, কে জানে! আর আজ নিশ্চয়ই অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকতে হবে পুলিশি জেরায়। ধরা যখন পড়তেই হবে, তখন রসগোল্লা খেয়ে ধরা পড়াই ভালো। টপাটপ কুড়িটা রসগোল্লা আত্মসাৎ করার পর পকেটে হাত দিয়ে বুঝলাম একটা টাকাও নেই। এবার?

দোকানের মালিক সঙ্গে লোক দিয়ে দিলেন, যে আমার সঙ্গে আমার মেস পর্যন্ত গিয়ে টাকা নিয়ে আসবে।

বাড়িতে ঢোকার মুখেই গ্রেপ্তার হ’লাম আমি। পুলিশকে বোঝালাম একজনকে টাকা মেটাতে হবে, একবার ঘরে ঢোকা দরকার। কিন্তু পিছনে তাকাতেই দেখি- সেই কর্মচারী বিপদ বুঝে পালিয়েছে! পাছে স্বদেশীকে মিষ্টি খাওয়ানোর অভিযোগে তাকেও জেলের ঘানি ঘোরাতে হয়!

জেল হ’লো। প্রেসিডেন্সি জেলের অখাদ্য লপসি খেতে খেতে মন মেজাজ খুবই খারাপ। নির্দেশ এলো বহরুমপুর জেলে বদলি হওয়ার। শুনেছিলাম- বহরুমপুর জেল পাগলাগারদ; জেলারকে ব’ললাম, ‘স্যার, আমি কি পুরো পাগল হ’য়েছি?’

‘ওখানে আর পাগল থাকেনা; থাকেন বিশেষ রাজবন্দীরা- যেমন কাজী নজরুল ইসলাম।‘

-শুনেই আমি আনন্দে ডগমগ।

বহরুমপুর জেলে ঢোকার পরেই কাজীর অভ্যর্থনা. ‘লে হালুয়া! দে গরুর গা ধুইয়ে।‘

প্রথম আপ্যায়নেই আমার দিলখুশ।

গোটা জেলখানাতেই কাজীর রাজত্ব- হৈ-হুল্লোড়, গান, কবিতা, আড্ডায় সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন কাজী; কখনও গাইতেন ‘কারার ওই লৌহকপাট’, কখনও আবার প্রেমের গজল। মন্ত্রমুগ্ধ হ’য়ে শুনতো রাজবন্দীরা।

জেলখানার রাজবন্দীদের জন্যে নিজের হাতে রান্না ক’রতেন নজরুল- বিরিয়ানি, পোলাও, কোর্মা, কাবাব, কাটলেট, মাংসের চাঁপ।

‘বহরুমপুর জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত টিঙটিঙে রোগা ছিলাম। তারপর দুইবেলা কাজির খানা খেয়ে এমন মোগলাই চেহারা নিয়ে বেরোলাম যে আর রোগা হ’লাম না। জেলখানায় আর জেলের খানায় গড়া এই চেহারা এতটুকু টসকায়নি।‘

 

জেলখানা থেকে ছাড়া পাওয়ার সময় জেলার ব’ললেন, ‘আপনার নিজের জিনিস নিয়ে যেতে পারেন।’

জেলের দেওয়া কম্বলদুটো বগলদাবা করে বেরিয়ে পড়লাম রাস্তায়।

ওই কম্বলদুটো পেতেই কাটিয়েছি বাকি জীবন।

 

 

‘আমি কখনও কালজয়ী হ’তে চাইনি। সেই বৃথা চেষ্টার অক্লান্ত সাধনায় কালক্ষয় না ক’রে সকলের জীবনের সকালটা, না জয় ক’রতে নয়, তার সঙ্গী হ’তেই চেয়েছিলাম আমি। ছেলেমেয়েরা ছোটবেলায় আমার লেখা পড়বে, একটু বেলা হ’লে, বড় হ’লেই অক্লেশে ভুলে যাবে আমায়। সেই একটুক্ষণ তাদের একটুখানি হাসি-হাসি ক’রতে পারলেই আমার খুশি।‘

 

‘প্রেরণার আদায়ে নয়, প্রাণের দায়ে আমার লেখা। গায়ে জোর নেই ব’লে রিকশা টানতে পারিনা, তার বদলে এই কলম টানি। কলমের উপর টান আমার অতটুকুই।‘

 

‘প্রায় লেখককেই নিজের কবর খুঁড়তে হয় নিজের কলম দিয়ে। গায়কের মতো লেখকেরও ঠিক সময়ে থামতে জানা চাই। সমে এসে যথাসময়ে না থামলেই বিষম, সবটাই বিষময় হ’য়ে দাঁড়ায়।‘

 

‘সূর্যের মতো আর্লি রাইজারের পক্ষপাতী আমি নই। সকালে উঠতে হবে, এমনকী উঠতেই যে হবে এমন কোনও কুসংস্কার আমার নেইকো। চাইকি দুপুরের বারোটা বাজার পর রাতের বারোটা বাজিয়েও যদি তার পরদিন প্রাতঃকালে আমি উঠতে পারি, তাহলেই আমি নিজেকে ধন্য ধন্য জ্ঞান ক’রি।‘

 

‘আমার লেখায় বেশ ভেজাল আছে। সেই অ্যাডাল্টারেটেড লেখা ছেলেমেয়েদের অ্যাডাল্ট বানিয়ে ছাড়ে। আমার ছোটদের লেখায় থাকে কিছু পোলা আর পান। পোলাপানদের জন্য লেখা এই আমার শিশু সাহিত্য।‘

 

‘টাকা উড়ে যাওয়ার জন্য। কখনোই জমাবার জন্য নয়। যাওয়ার সময় তো আর টাকা যাবে না। শরীর যাবে। তাই টাকাগুলোকে খাদ্যে রূপান্তরিত ক’রে শরীরে চালান ক’রি। বহুrupee বহু রূপে প্রকাশ পাচ্ছে।‘

পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু