বইয়ের বিবরণে ফিরে যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা

শেষ চিঠি

মা তুই দেখেনিস  ঠিক ফিরবো পুজোর আগে।

মায়ের পুজো আর আমি ফিরবোনা তা কি হয়?

আমি একা একা আসতে পারতাম, এবার না হয় একটু অন্য ভাবে।

দেখবি তুই আমার মুখটি লাল, কত রক্তে ভরা।

তাতে কি হয়েছে মা? আমার মুখতো তুই দেখছিস।

তাতেই আমার সব আনন্দ, সব খুশিতো তোকে ঘিরেই।

তোকে নিয়ে তো আমার বাঁচা -মরা।

আজ আমি ভীষণ খুশি শুনবি তুই আমার কথা?


দ্যাখ মা দ্যাখ আমি এসেছি, কফিনে সাদা কাপড়ে মোড়া, আমার গলায় ঝুলানো কত মেডেল, তোর চোখের জলের মতো চিকচিক করছে।

তুই কাঁদছিস মা?  এমন সাহসী ছেলের জন্ম দিয়ে আর তুই কাঁদছিস?

দ্যাখ মা দ্যাখ দূরের ওই পর্বতমালায়, সাধারণ বরফে ঘেরা।

বুঁকের আগুন নিভিয়েছি রক্তের স্রোত বয়য়ে দিয়ে।

তাতে আমারও  না হয় একটু রক্ত আছে ক্ষতি কি?

তোর ক্ষতি করার চক্রান্তে যারা লিপ্ত, তাদেরকে আমি মৃত্যু  মিছিলে ছুঁড়ে দিয়েছি,

তাতে আমার ও না হয় একটা  কঙ্কাল আছে, তাতে ক্ষতি কি মা তুই বল?

আমার কফিন ভরা দেহের ঠোঁটের কোনায় একচিলতে হাসি কি তুই দেখতে পারছিস না মা?

ভয় নেই মা তোর জন্যে আমার মতো কোটি সন্তান আছে।

রক্তের নদী বইয়ে দেব, মৃত্যুর পাহাড় তৈরী করবো।

তবু তোর কোলের একটু জায়গা ও কাওকে দেব না।

হোকনা সে ভয়ঙ্কর রাক্ষস, আকাশসম উঁচু, তবু তোর দিকে চোখ রাঙাতে দেব না।

মা আমার বিদায় ঘণ্টা যে বেজে গেল।



পর্যালোচনা


আপনার রেটিং

blank-star-rating

বামদিকের মেনু