কে তুমি? - সুবোধ চন্দ্র পাল
কে তুমি?
মরণ যন্ত্রনা থেকে বৃথা বাঁচানোর চেষ্টা করছো।
যেখানে পৃথিবীর কেউই আমার অল্প ভালোবাসা দেয়নি।
ওই আকাশের নীলিমার নিচে দাঁড়িয়ে ম্লান দৃষ্টিতে একনজরে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
জোস্নায় জোনাকিরা তোমার গায়ে ঢোলে পড়ছে।
মনে হয় হাজারও সূর্যের আলোয় তুমি তৈরী।
যার ছোঁয়ায় শিহরণ খেলে যাই আমার সারা শরীরে, পাথুরে হৃদয় ও গলিয়ে দাও।
কে তুমি?
- তবে তুমি কি অপ্সরা? সোজা আকাশ থেকে নেমে এসেছো? কোটি-কোটি মাইল দূর থেকে, পাহাড় পর্বতের ঢাল বেয়ে।
কি সুন্দর চোখ গো তোমার ! যেন কাজল কালো হরিণী, মনে হয় হাজারও ঝর্ণা ঝরে পড়েছে তোমার চোখে।
কে তুমি?
ও তুমি মরণ যন্ত্রনা শেষ করতে এসেছো?
একেবারে মরণঘুমে, ঘুম পরিয়ে দিতে চাও?
দাওনা ঘুম পরিয়ে হোক না সে মরণ ঘুম,
তবু আমার কাছে বড়ো সুখের আজ।
কে তুমি?
ওই যে তোমার ঠোঁটের কোনায় বিন্দু বিন্দু হাসি উঁকি দিচ্ছে, ওটা কি আমার প্রতি তোমার ভালোবাসার প্রস্ফুটন, নাকি তোমার উত্তেজিত শরীরের জমে থাকা খিদে?
আমারতো কেউ কোনোদিন ভালোবাসেনা,
তবু আমারও খুব সুন্দর একটা মনছিলো,
আজ শহরের অলিতে -গলিতে, ধানের ক্ষেতে, নামনা না জানা কনো নদীর স্রোতে
অনেক আগে হারিয়ে গেছে।
আমাকে তো কেউ কনোদিন বুঝতে চাইনি
শত বোঝাবার চেষ্টা করলে ও, তাহলে তুমি আমার মনটাকে বুঝতে পেরেছো নাকি?
একাকিত্ব দূর করে বন্ধু হতে এসেছো!
কে তুমি?
মৃত্যুর দিন গোনা আমি, কেন তুমি মায়াবিনী হয়ে, আমার মৃত্যু ঘুম কেড়ে নিয়ে এত হাতছানি দিচ্ছ?
আমার নাম ধরে ডেকে দূরের নীলিমায় মিলিয়ে যাচ্ছ।
তবে তুমি কি আমার চেনা, না আমি তোমার চিনি?
আমি তোমায় ভালোবেসে ভুলে গেছি না
তুমি আমায়?
আমিতো ভালোবাসার ভিখারী, কত রাস্তায় কুড়িয়েছি তবু একটাও ধরে রাখতে পারিনি !
কে তুমি?
তবে কি কনোদিনও তোমার আমার হৃদয় কি মিলে মিশে একাকার হয়েছিল?
হয়েছিল দুটি হৃদয়ের কম্পমান হৃদয় -স্পন্দনের শব্দ।
শুনতে পেয়েছিলো কি দেয়াল ঘড়িটা?
আমাদের দেখে তাহলে ঠিক মুচিকে হেসেছিলো আড়াল থেকে।
কে তুমি?
আমি মৃত্যু যন্ত্রনায় দিশেহারা, তাই কি ভুলভাল বকছি না ভালোবাসা কোনোদিন পাইনি তাই আকাশ-কুসুম ভাবছি।
আমি, আমার মৃত্যু, পৃথিবী তার লেখা কবিতা সবাই সত্য।
শুধু তুমি আর তোমার অস্তিত্ব, ছলনার হাসি ক্ষনিকের জন্যে থাকে।
আলোতে তোমার আর জগৎ সম্পূর্ণ আলাদা।
কুয়াশা যেমন রোদ্দুরে মিলিয়ে যাই, তুমি ও তেমন।
আমি আজও ভালোবাসার কাঙাল হয়ে থাকলাম।
তুমি কে এখন ও অজানা আমার কাছে !