ভবানীপুরের শেষ রাতের স্বপ্নে
পরী-দিদার বাড়ীতে পেট ভ’রে, মন ভ’রে সুস্বাদু ডিনার খাওয়ার পরে, আমি ঘরে এসে সোজা ঘুমোতে গেলাম। আমাকে সকাল সাতটায় ঘুম থেকে ওঠানোর জন্যে আমি ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়েছিলাম এবং কোনও রকম ভাবনা দুশ্চিন্তা না ক’রে গভীর ঘুমের মধ্যে নিজেকে ভুলে গেছিলাম।
আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, - আমি জানি না কখন কোথায় ছিলাম তখন সে স্বপ্নে। আমি স্বপ্নে দেখেছিলাম যেন আমি একটি চার বছরের বাচ্চা, হাফপ্যান্ট পরে, আমার লাল ট্রাই সাইকেল নিয়ে একটু খেলছি বাড়ীর উঠোনে। অনেকক্ষণ আমি জোরে জোরে এবং তাড়াতাড়ি প্যাডেল ক’রেছি। ক্লান্ত হ’য়ে পড়েছি, তার উপর তেষ্টা পেয়েছে। আমি বাড়ি ফিরে সোজা মায়ের কোলে গিয়ে পড়লাম। মা মেঝেতে বসে ছিলেন, তার দুটি পায়ের একটা অপরটার উপর তুলে ভাঁজ ক’রে, আমার জন্যে একটি কোমল গদি তৈরি ক’রেছিলেন। আমি মা'র কোলের ভাঁজে ঢুকে পড়ার পরে, মা একটি দুধের বোতল ধ’রেছিলেন, আমার ঠোঁটের ফাঁকে বোতলের নিপ্লটি। আমি চুষতে লাগলাম, আর ধীরে ধীরে চুষে মিষ্টি দুধের স্বাদ উপভোগ ক’রলুম। আমি নিপ্লটি শুকনো না হওয়া পর্যন্ত চুষতে থাকলাম এবং চুষতে চুষতে প্রায় ঘুমিয়ে পড়লাম। আমি চোখ বন্ধ ক’রে মা'র কোলে মাথা রেখেছি। আমি আমার কপালে মা-এর নরম স্তন অনুভব ক’রেছিলাম এবং হঠাৎই মা আমাকে বাম হাত দিয়ে ধাক্কা মেরেছিলেন - আমি ঘুম থেকে উঠে পড়লাম ...
আমি ঘুম থেকে উঠে দেখলাম যে, আমি আমার বিছানায় শুয়ে আছি, কম্বলের নীচে। আমি তাড়াতাড়ি ক’রে কম্বলটা সরিয়ে ফেললাম। তখন আমার চোখে পড়লো - এক মেয়েমানুষ আমার পাশে শুয়ে আছে। আমি ভেবেছিলাম, আমি এখনও একটা স্বপ্নে দেখছি, অন্য একটা অন্য স্বপ্ন। আমি মেয়েমানুষটির দিকে তাকালাম; কোন পোশাক প’রে নেই এমন মেয়েমানুষ আগে কখনও দেখিনি। মেয়েমানুষটির মুখটি কি আমার জানা? হ্যাঁ, এটি আমার অঞ্জু মাসীর মতো মুখ মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমি মেয়েমানুষটির স্তনগুলির উপর নজর দিলম - আমি আগে একবার দেখেছি ব’লে মনে পড়ছে – দেখেছি এই সূক্ষ্ম স্তনবৃন্তগুলি, দেখেছি এই সুডৌল এবং বৃত্তাকার স্তনগুলি, দেখেছি দুটো স্তনেরই লম্বা লম্বা বোঁটা, আর প্রতি বোঁটার চার পাশে ঘোর বাদামি রঙের চামড়া; ঐ বাদামি রঙের বৃত্তাকার চামড়ার কেন্দ্রবিন্দু থেকে খাড়া হ’য়ে উঠে ইশারা ক’র ডাকছে স্তনের লম্বা বোঁটা। দেখেই মনে হ’য়েছিল, আমি এগুলি আগে একবার দেখেছি; আর কখনই ভুলে যেতে পারবো না। আমি বাজার থেকে কিছু কিনতে যাবো ব’লে আমাদের বাড়ীর সদর দরজা খুলে বেরিয়েই দেখেছিলাম – গলির কলের নীচে বসে চান ক’রছে অঞ্জু মাসী – পরণে কেবল একটা সায়া, ভিজে গায়ের সঙ্গে সেঁটে আছে – রোদ্দুর পড়েছে অঞ্জু মাসীর মুখে আর বুকে – জামা না পড়া মেয়েমানুষদের দেখতে নেই – তবু এড়াতে পারিনি – নজরে পড়েছে – আর মনে গাঁথা হ’য়ে আছে ও বুকদুটোর ছবি।
এবারে আমি মেয়েমানুষটির শরীরের নীচের অংশে আমার চোখ নামিয়েছিলাম, দেখলাম তার ভুঁড়ির বোতামটি, দেখলাম পেটের নীচে যেখান থেকে তার পা দুটো বেরিয়ে এসেছে, দেখলাম ঠিক সেখানে পা দুটোর ফাঁকে তার ভালভা – স্ত্রীযোনিমুখ। … আমি এখনও আমার স্বপ্নের ঘোরে ছিলাম, ভালভাটি যেন আমাকে ইশারা ক’রে ডাকলো; স্বতঃপ্রবৃত্ত হ’য়ে আমি ঝাঁপ দিলাম ভালভা ফাঁক ক’রে - আমি জানি না যে আমি কী ক’রছিলাম; তবে আমি ক’রে ফেললাম, আমি দ্রুত শ্বাস নিলাম, তারপরে গভীর তৃপ্তির আনন্দে ঢুকলাম স্বর্গে – মেয়েমানুষটির ভিতরে হ’লো আমার অমৃতধারার প্রবেশ।
হে ভগবান! আমি মেয়েমানুষটির মুখের দিকে তাকালাম; মনে হ’লো ও পরিতৃপ্ত, বেদনার্ত হ’লেও সুখী আনন্দিত।
এখন আমি বুঝতে পারলাম যে আমি স্বপ্ন দেখছিলাম না; আমি সবেমাত্র অঞ্জু মাসীকে কী ক’রেছি তার জন্যে আমার নিজেকে দোষী মনে হ’লো। অঞ্জু মাসী, যাকে আমি আমার মায়ের বোনের মতো শ্রদ্ধা ক’রি।
‘তুমি এখানে কেন, অঞ্জু মাসী?’ আমি তাকে জিগ্যেস ক’রলাম, ‘এবং কেন তুমি আমার বিছানায় শুয়ে আছো?’
ঠিক তখনই, অ্যালার্ম ঘড়ি বাজতে শুরু ক’রলো। এখন বিছানা থেকে উঠে, দিনের জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করার সময়; একটু পরে বেরোতে হবে ট্রেন ধরার জন্যে।
আমি অঞ্জু মাসীকে আবার জিগ্যেস ক’রলাম, ‘আমি তোমার উপর যা ক’রেছি, তা নিশ্চয়ই করা উচিত ছিল না, বলো তুমি এখন এমন আছো?’
আমার গায়ে কমপক্ষে কিছু জামাকাপড় ছিল; আমি একটি লুঙ্গি এবং একটি গেঞ্জি পরেছিলম। অঞ্জু মাসী ছুটে গিয়ে নিজের ব্লাউজ, আর তার পেটিকোটটি গায়ে চড়ালো; তারপর এসে নিজের গায়ে শাড়ি জড়াতে শুরু ক’রলো। তার সমস্ত পোশাক আমার বিছানার পাশে একটি চেয়ারে রাখা ছিল। অঞ্জু মাসী তার ব্লাউজ গায়ে চড়াবার আগে আমি তার ডান স্তনের উপরে দুধের ফোঁটাটির দিকে না তাকিয়ে থাকতে পারছিলাম না। মনে আসছিল, একটু আগের স্বপ্নে মার কোলে শুয়ে দুধের বোতলের নিপ্লে মুখ দিয়ে দুধ খেয়েছি প্রাণ ভ’রে। এর আগে বেশ কয়েকবার, আমার সাথে কথা ব’লার সময় অঞ্জু মাসী ওর মেয়ে টুম্পাকে স্তন্যপান করিয়েছিল, কিন্তু সব সময়েই ও কমপক্ষে এক টুকরো কাপড় বা কিছু দিয়ে নিজের স্তন ঢাকতে ভুলে যায় নি।
অঞ্জু মাসী এখনও কোনও কথা বলে নি। আমি ওর নীরবতা সহ্য ক’রতে পারছিলাম না। আমি ভেবেছিলাম ও ইচ্ছে ক’রেই আমার প্রশ্নগুলিকে উপেক্ষা ক’রছে। আমি ছুটে এসে আমার দুই হাত দিয়ে ওর মুখটি ধ’রে বললাম, ‘আমি দুঃখিত, আমি জানি না কীভাবে আমি স্বপনকাকে আমার মুখ দেখাতে পারবো। তবে দয়া ক’রে আমাকে বলো - তুমি এখানে কেন এসেছো?‘
‘কারণ, আমি তোমার সঙ্গে দিল্লী যেতে চাই। আমি আমার স্যুটকেস নিয়ে প্রস্তুত; প্লীজ ওদিকে দেখো - ঠিক দরজার পাশে। ও বলেছিলো, ‘তুমি যখন আমাকে এ.সি. স্লিপারে তোমার বার্থটি রিজার্ভ ক’রতে বলেছিলে, আমি আমার জন্যে একটি বার্থ একই কম্পার্টমেন্টে সংরক্ষণ ক’রেছিলাম। আমি এ সম্পর্কে কাউকে বলিনি। আমি আমার স্কুল-বন্ধু মেহেরুন্নিসার নামে টিকিট বুক ক’রেছি। আমার কাছে তার পরিচয়ের নথিপত্র আছে। ‘
‘তুমি আমাকে এই সম্পর্কে কিছু বলো নি কেন? এ বিষয়ে আমার কি কিছু বলার দরকার নেই?’ আমি বললাম ‘তুমি আমার ঘরে ঢুকলে কীভাবে? আমি কাউকে আমার দরজায় ঘণ্টা বাজাতে শুনিনি। আর কেন তুমি আমাকে কোনও ইঙ্গিত না দিয়েই তোমার সমস্ত কাপড় খুলে আমার বিছানায় ঢুকে পড়লে?‘
‘দুঃখিত, বাবলু’, অঞ্জু মাসী বলেছিলো, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে তুমি আমাকে তোমার সাথে দিল্লীতে নিয়ে যেতে রাজি হবে। আমি আলোচনার কোনও সুযোগ দিতে চাইনি। দিল্লীতে আমার এক মামা আছেন, আমি দিল্লী পৌঁছে তার কাছে চলে যেতে পারি। আমি ভেবেছিলাম তুমি সর্বদা যেমন ক’রেছো, এবারেও তেমনি তুমি তোমার অঞ্জু মাসীর কথা শুনবে। ‘
না থেমেই অঞ্জু মাসী বলেছিলো, ‘আর তুমি জানতে চেয়েছিলে - বিছানায় যাওয়ার সময় কেন আমি কিছু প’রিনি। আমার মা, আমার শ্বাশুড়ীর এবং আমার নিজের কুসংস্কারের কারণে আমি এটি ক’রেছি। এই কুসংস্কারের নিয়ম - বিছানায় শোবার সময় যাই প’রে থাকি না কেন, সকালে অবশ্যই সেগুলি কেচে ফেলতে হবে। এ কারণেই আমি কিছু পরিনি, যাতে হাওড়া স্টেশনে যাওয়ার আগে আজ সকালে আমার কোনও জামা কাপড় কাচার দরকার না হয়। আমার ভিজে কাপড় তোমার ফ্ল্যাটে ফেলে গেলে, আমি যে এখানে রাত কাটিয়েছি তা সবাই জেনে যাবে।’
অঞ্জু মাসী অব্যাহত রেখেছিলেন ওর বক্তব্য, ‘তবে তোমাকে প্ররোচিত করা এবং তোমাকে দিয়ে কোনও দুষ্টুমি ক’রিয়ে নেওয়ার কোনও উদ্দেশ্য আমার ছিল না। আমি ভেবেছিলাম, আমি তোমার আগে ঘুম থেকে উঠব, চান ক’রে নেব এবং জামা কাপড় প’রে ফেলব এবং তুমি কখনই জানতে পারবে না যে আমি তোমার বিছানায় শুয়েছি কিনা। ‘
‘তুমি কীভাবে আমার ফ্ল্যাটে প্রবেশ ক’রেছ, অঞ্জু মাসী?’ আমি জিগ্যেস ক’রেছিলাম.
‘তুমি হয়তো জানো না; আমরা তোমার ফ্ল্যাটের সব চাবির ডুপ্লিকেট রাখি। দয়া ক’রে তোমার চাবিগুলি স্বপনকা বা প্রদীপকাকে হস্তান্তর ক’রতে ভুলো না, যাতে কেউ ডুপ্লিকেট চাবির খোঁজ না করে। আমরা ডুপ্লিকেট চাবিগুলি আমাদের সাথে নিয়ে যাবো।‘
আমি বুঝতে পারছিলাম না যে - কী ব’লবো আর কী ক’রবো। দিল্লীতে গিয়ে টি.সি.এস.-এ নতুন কেরিয়ার শুরু করার জন্যে আমার খুব আশা ছিল। স্নাতক শেষ করার পরে এটি ছিল আমার দ্বিতীয় কাজ। এই চাকরীটি আমার জন্যে একটি নতুন কেরিয়ারের পথ শুরু করবে, বার্ন এন্ড কোম্পানীর মেকানিকাল / স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে টি.সি.এস এর তথ্য প্রযুক্তিতে। অঞ্জু মাসী আমার সাথে তার দিল্লী যাওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে আমার মতামত জানতে চাইলে আমি অবশ্যই তাকে ‘না’ ব’লতাম। আমি এখনও জানি না, আমি কীভাবে টি.সি.এসের সাথে আমার আই.টি কেরিয়ার চালাবো এবং কীভাবে আমার থাকা খাওয়ার খরচ সামলাবো। যদিও আমার দাদা দিল্লীতে আছে এবং আমাদের বাবা মাকে তার সাথে থাকার জন্যে সেখানে নিয়ে গিয়েছে। এখন আমি তাদের উপর বোঝা হতে চাই না; সেখানে অঞ্জু মাসীর থাকার অতিরিক্ত বোঝা নেওয়া – ধ’রতে গেলে অসম্ভব।
তবে এই দিন সকালে যা ঘটেছিল তা আমার চিন্তাভাবনার যুক্তি পুরোপুরি উল্টোপাল্টা ক’রে দিয়েছে। আমি দোষী বোধ করছিলাম - অঞ্জু মাসীকে, আমাকে ছেড়ে, স্বপনকার কাছে ফিরে যেতে বলার মতো অবস্থায় আমি ছিলাম না। আমাকে অবশ্যই অঞ্জু মাসীর সমস্ত দায়িত্ব বহন ক’রতে হবে, যাই হোক না কেন – যতো বিপদই আসুক না কেন।
আমি শান্তভাবে বলেছিলাম, ‘অঞ্জু মাসী, আজ সকালে আমি তোমার সাথে যা ক’রেছি তা আমি আগের অবস্থায় ফেরাতে পারি না। দিল্লীতে আমার সাথে থাকতে তোমাকে সবচেয়ে বেশী স্বাগত জানাই। তবে এসো আমরা তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হয়ে নিই, যাতে সকাল দশটা নাগাদ আমরা হাওড়া স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারি, প্রদীপকা বা স্বপনকা তোমার খোঁজে আমার ফ্ল্যাটে আসার আগে। আমি আমার চাবিগুলি একটি খামে রেখে ওদের লেটার বক্সে রেখে দেবো। যদি ওরা পরে আমার ফ্ল্যাটে আসে তবে ওরা তোমাকে খুঁজে পাবে না।'
অঞ্জু মাসী বলেছিলো, ‘আমরা এমনকি সকাল ৯টায় রওনা হ’তে পারি, ওরা কেউ হয়তো সকাল ৯টার আগে তোমাকে জাগিয়ে তুলবে না এবং আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ ক’রবে না। আমি বোরখা প’রে যাবো - তোমার সাথে এক ট্যাক্সিতে থাকবো। আমি জানি, তোমার স্বপনকা এবং অনেকেই তোমাকে হাওড়া স্টেশনে দেখতে যাবেন, তবে কেউ বোরখার ঢাকা থাকায় কেউ আমাকে চিনতে পারবে না, মুখ দেখতে পারবে না আমার।‘
খুব বেশি সময় বাকি ছিল না। আমরা প্রায় ছোটাছুটি ক’রে আমাদের সকালের কাজকর্ম সেরে ফেললাম; আমিই আমার ফ্ল্যাটে চা আর বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন ক’রলম অঞ্জু মাসীকে; অঞ্জু মাসী আমার ফ্ল্যাটে ছিল ব’লে যাতে কেউ সন্দেহ ক’রতে না পারে সে সম্পর্কে বিশেষ যত্ন নিয়েছিলাম আমরা। আমরা অঞ্জু মাসীর স্কুলের -বন্ধু মেহেরুন্নিসাকে দেখতে গেলাম; আমি আমার বোন মিলির সঙ্গেও দেখা ক’রেছিলাম, যাতে সকাল ৯টার আগে ফ্ল্যাটটি ছেড়ে দেওয়ার জন্যে আমার অজুহাত দেখানো যায়।