পর্ব সংখ্যা :-1 প্রচ্ছেদ, ভূমিকা ও সূচনা পর্ব।
* চরিত্রহীন সদাশিবের প্রেম *
লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা।
মোবাইল :- 91 8926200021
প্রকাশের তারিখ :- 10/08/21
প্রথম উপন্যাস লেখকের জীবনের।
পান্ডুলিপি সম্পুর্ন তারিখ 25 ডিসেম্বর 2010
পরিমার্জিত সংশোধন 23 ডিসেম্বর 2020 থেকে 8 জুন 2021 পর্যন্ত।
গ্রন্থস্বত্ব :- লেখক শংকর হালদার।
মূল্য :-
=================================
ভূমিকা
পাঠকদের প্রতি জানাই :- এই উপন্যাসের মধ্যে কিছু অবাস্তব চরিত্রের বর্ণনা আছে :- যা মানুষ্য সমাজের বলা যায় না কিন্তু বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটেছিল।
একদম সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা উপন্যাস 'চরিত্রহীন সদাশিবের প্রেম' অবাস্তব চরিত্রের ঘটনা গুলো, আমার বিশেষ ভাবে জানা।
পাঠক গণ কৃপা করে ক্ষমা করবেন, চরিত্রের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে হয়তো- আপনাদের ভীষন ভাবে খারাপ লাগতে পারে।
এই উপন্যাসের চরিত্রের নাম ও স্হানের নাম কাল্পনিক।
উপন্যাসের মধ্যে সমাজের বৈধ-অবৈধ ও নিষিদ্ধ পল্লীর প্রেমের গল্প আছে। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণা মূলক গল্প যুক্ত করা হয়েছে।
সাহিত্যের প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে-নতুন ভাব ধারায়-নতুন নিয়মে, ভিন্ন সাধের ভাবধারায়, রোমাঞ্চকর- রোমান্টিক কাহিনী।
সমাজের মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সুখ দুঃখের বিভিন্ন দিকের জ্বালা ও উত্থান পতনের কাহিনী।
ভুল ত্রুটি অবশ্যই থাকবে পাঠক ক্ষমা করে দেবেন।
উপন্যাসের তথ্যসুত্র
এই উপন্যাস প্রকাশ করতে গিয়ে 11 বার বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ করার পর মুছে ফেলতে হয়েছে।
বিভিন্ন খন্ড খন্ড ঘটনা, একত্রিত করে পূর্ণাঙ্গ ঘটনার রুপ দেওয়া হয়েছে।
2006 সালে, কথা প্রসঙ্গে চাকদা, নদীয়া।
সুকুমার নামের এক আত্মীয়র কাছে থেকে ঘটনার সূত্র পায়।
এই কাহিনীর সূত্রপাত হয়েছিল বাংলাদেশের বৃহত্তম যশোহর জেলার কোন এক গ্রাম থেকে।
উপন্যাসের কাহিনী জানার জন্য ।
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশের শৈলকুপার ,হাটফাজিলপুর গ্রামে উপস্থিত হয় এবং পৈতৃক নিবাস কাকাদের বাড়িতে বসবাস শুরু করি।
বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে, বিভিন্ন ধরনের খন্ড খন্ড কাহিনীর গল্গ শুনতে পায়।
পুরুষের চরিত্রহীনতা সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান ছিল না।
পুরুষের চরিত্রহীনতা উপলব্ধি করার জন্য- কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে গিয়েছিলাম এবং তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে মিলামিশা করে বাস্তবে, পতিতা নারীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার তথ্য সংগ্রহ করি।
তথ্য সংগ্রহ করার পর 2010 সালে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসে, কল্পনা মিশ্রিত করে চরিত্রহীন লম্পট নামক উপন্যাসটির পান্ডুলিপি তৈরি করে রেখে দেয়।
সংসারের বিভিন্ন ঝামেলায় আর সাহিত্য চর্চা করতে পারেনি। কারণ চরিত্রহীন লম্পট নামক উপন্যাস টি লিখতে গিয়ে-আমি চরিত্রহীন না হয়েও,সংসারের সদস্যদের কাছে চরিত্রহীন হয়ে গিয়ে ছিলাম। বাংলাদেশের আত্মীয় স্বজনেরা জানিয়ে দিয়েছেন, আমার পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘদিন পতিতালয়ের থাকার কাহিনী।
2016 সাল থেকে 2018 সাল কয়েক বছর ধরে গবেষণা করেছি। পতিতালয়ের নারীদের নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা ও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে।
পতিতা নারীদের সুখ দুঃখের সমস্যার কথা গুলো নিগূঢ় ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি ।
"চরিত্রহীন সদাশিবের প্রেম" উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে।
লেখক জীবনের সাফল্য অর্জন করেছি, চরিত্রহীন সদাশিবের প্রেম উপন্যাসটির মাধ্যমে।
চরিত্রহীন সদাশিব উপন্যাসের ঘটনা বাস্তব কিন্তু চরিত্রের নাম ও স্থানের কাল্পনিক ভাবে সৃষ্টি করা।
2008 থেকে 2009 সালের তথ্য অনুসারে উপন্যাসের চরিত্র গুলোর ব্যক্তিগণের অবস্থান।
1/ সদাশিবের কাকিমা এখনো জীবিত আছে, বাংলাদেশে। তাহার মুখ থেকে শোনা কাহিনী।
2/ কামিনী বৌদির প্রেমের কাহিনী বাস্তব 1981 সালের ঘটনা।
বর্তমান কামিনী বৌদি জীবিত নেই- বংশধর আছে ত্রিপুরা রাজ্য ,ভারতে।
3/ লাবণ্যময়ী ও সদাশিব জীবিত নেই । লাবণ্যময়ী ও সদাশিবের বংশধর আছে হুগলি জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। বংশধর থেকে শোনা কাহিনী ।
4/ রূপালী জীবিত নেই।
5/ শহিদুল জীবিত নেই- মাগুরা জেলা বাংলাদেশ বংশধর আছে।
6 / আয়শা মেদিনীপুর পশ্চিমবঙ্গ। জীবিত নেই বংশধর আছে।
7 /আরতী হরফে সাবিনা হাওড়া জেলা পশ্চিমবঙ্গ জীবিত নেই বংশধর আছে।
8/ আমেনা মাসি ফরিদপুর বাংলাদেশ জীবিত নেই।
9/ সুবাস উত্তর দিনাজপুর পশ্চিমবঙ্গ জীবিত নেই বংশধর আছে।
10/ নুরুল ঝিনাইদহ, বাংলাদেশে জীবিত নেই বংশধর আছে।
11/ তাপস ও রীনা বৌদি কুমারখালী, কুষ্টিয়া জীবিত নেই। কোন বংশধর নেই।
12/ সমাজের থেকে সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে অনেক তথ্য-সংগৃহীত হয়েছে।
13/ যৌন বিষয়ক ঔষধের ব্যবসার তথ্য সংগ্রহ হয়েছে।
বাস্তব জীবনে কাহিনী হিমাচল প্রদেশ থেকে সংগৃহীত তথ্য, এখনও চলছে যৌন বিষয়ক ঔষধ । ফর্মুলা আমাকে বলেছিলেন। ঔষধ তৈরি করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি, বাস্তবে উপকৃত হয়ছি।
14/ বাংলাদেশর ও ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ের পতিতাদের জীবন কাহিনী ও বিভিন্ন ব্যাক্তিদের অভিজ্ঞতার রসদ সংগ্রহ করা হয়েছে।
15/ বিভিন্ন ধরনের বই পত্রিকার থেকে তথ্য সংগ্রহ হয়েছে।
16/ ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
17/ সদাশিব, লাবণ্যময়ীর জন্য- বাস্তবেই বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।
শৈলকূপা কবিরপুর স্থানের নাম দিয়ে, গল্পের কাহিনী তৈরি করার কারণ- কবিরপুর আমার জন্মস্থান। 1970 সালে পশ্চিমবঙ্গ চলে আসা হয়। কিন্তু যুবক কালের সময়ে, অনেক বার শৈলকুপা কবিরপুর বসবাস করেছি।
জন্মভূমির স্মৃতি রক্ষার্থে কাহিনী স্থানের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
তথ্য-সংগৃহীত করার পর- উপন্যাসের সব চরিত্র একত্রে করে, নিজের কল্পনায় কাল্পনিক চরিত্র ও নাম দিয়ে উপন্যাসটি সৃষ্টির চেষ্টা করেছি।
বাস্তবের সঙ্গে মিলে যেতে পারে, এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী সকলের কাছে।
চরিত্রহীন সদাশিব উপ্যানাস লেখার জন্য।
সহযোগিতা করেছেন।
(1) শ্রী মা সেবাশ্রম
পরিচালক শ্রী দেবানন্দ গোস্বামী বাবাজি মহারাজ । থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
2/ কৃষ্ণ দাস বাবাজি আশ্রমের বাসিন্দা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন।
=================================
ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করতে হলে
91 8926200021 এই মোবাইল নাম্বারে কল বা হোয়াটসঅ্যাপে মন্তব্য লিখতে পারেন।
=================================
চরিত্র বিশ্লেষণ
==================================
মূল চরিত্রে "সদাশিব" এক জন চরিত্রহীন
মাতাল ।
"লায়লা" মূল চরিত্রের নায়িকা। সদাশিবের সহধর্মিণী। লায়লা কে কেন্দ্র করে কাহিনীর বিভিন্ন রূপ নিয়েছে।
কামিনী বৌদি :- পরকীয়া প্রেমের নায়িকা। কামিনী বৌদিকে নিয়েই গল্পের কাহিনী শুরু।
শহিদুল :- সদাশিবের অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং লায়লার বড় দাদা । বন্ধুত্ব কি ভাবে বজয় রাখতে হয়,তা শহিদুলের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
তাপস :- বন্ধু হয়ে , পিছন থেকে চাকু দিয়ে বার বার আঘাত কারী এবং লায়লার মৃত্যুর জন্য দায়ী। পরকীয়া প্রেমের একজন নায়ক।
নুরুল :- সদাশিব ও শহিদুলের রসিক বন্ধু।
আশুতোষ :- সদাশিবের বাবা।
মাধুরী :- সদাশিবের বোন।
আয়শা :- একজন পতিতা নারী আয়েশার কাছ থেকেই জানা যাবে পতিতা জীবনের অবাস্তব কিছু কাহিনী। পতিতালয়ের বিস্তারিত আলোচনা।
আমেনা :- পতিতালয়ের মাসি। পতিতা নারীদের উদ্ধারের জন্য, নিজেই আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করেন।
আরো অনেক চরিত্র এসেছে।
==================================
পরবর্তী অধ্যায় থেকে উপন্যাস শুরু।
শব্দের সংখ্যা 890