''সখি চির অভাগিনী হম—
বৈঠে একাকিনী পোহানু রজনী তবু না আইল শ্যাম
সখি চির অভাগিনী হম ...''
ভেজা চোখে গুনগুন করে তিতির, আয়নায় নিজেকে দেখে। সবুজ তাঁতের শাড়ি, গোলাপি লো কাট ব্লাউজ... বেশ লাগছিল ওকে দেখতে। কিন্তু কার জন্য ও সাজবে? কোথায় ওর পার্থ? সে তো কথা দিয়েও আসে না। সেদিনও এলো না। বিয়েবাড়ি যেতে ভালো লাগেনা তিতিরের। বিয়েবাড়ি গেলেই একটা মনখারাপ ওকে ঘিরে ধরে। কেমন একটা অপূর্ণতা পাক খায় ওর চারদিকে। মেয়েগুলো সব রঙ্গিন প্রজাপতির মত উড়ে বেড়ায়। ছেলেরা সব সতৃষ্ণ নয়নে সেদিকে চেয়ে থাকে। বুকের মধ্যে একটা দম চাপা কান্না পাক খায় তিতিরের।
ওদিকে পর পর প্রতিটা বিয়ে বাড়িতে হয়ে চলেছে খুন। বিয়ে করতে এসে মারা যাচ্ছে বর। কখনো নিজের বাড়িতেই খুন হচ্ছে বরেরা, অস্ত্র একটাই, বিষ, সায়ানাইডের মত মারাত্মক বিষ। যা লুকিয়ে থাকছে চায়ে, জলে, সরবতে, কখনো মিষ্টিতে। কেন খুনি বেছে নিচ্ছে বিয়ের পাত্রদের। কিসের এতো রাগ?
কে এই খুনি? কে এই তিতির? কে এই পার্থ? আলোক আর সাহানা জড়িয়ে পড়েছে এই রহস্যের জালে।
রয়েছে আরও রহস্য, এক গোপন পারিবারিক রহস্যর উপর থেকে পর্দা উঠতে চলেছে। আসুন... পড়ুন... রহস্য সমাধান করুন...