বেথুন কলেজের ছাত্রী। পরিবেশ বিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের রিসার্চ স্কলার। লেখা প্রকাশিত হয়েছে দেশ, আনন্দমেলা, শুকতারা, নবকল্লোল, আজকাল সহ বহু বিখ্যাত পত্র পত্রিকায়।
বেথুন কলেজের ছাত্রী। পরিবেশ বিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের রিসার্চ স্কলার। লেখা প্রকাশিত হয়েছে দেশ, আনন্দমেলা, শুকতারা, নবকল্লোল, আজকাল সহ বহু বিখ্যাত পত্র পত্রিকায়।
Book Summary
খনা – খনা এক ভাগ্যাহত নারী। ইতিহাসের পাতায় কোথাও তার নাম নেই। তা যদি থাকত, তবে নারী জ্যোতির্বিদ ও একজন কবি হিসেবে এক অনন্য নজিরের সৃষ্টি হত। খনা মেধাবী। তার প্রজ্ঞার ছটায় মুগ্ধ হয়েছে শত শত মানুষ। আজও সঠিকভাবে জানা যায়নি খনার প্রকৃত পরিচয়। তাই তাকে ঘিরে অজস্র মিথের সৃষ্টি হয়েছে। খনার বচনগুলি মানুষ যুগে যুগে প্রয়োজনে এবং ভালবেসে তার অন্তরে ধারণ করেছে। তাতে খনার গভীর জ্ঞানের পরিচয় থাকলেও সেগুলি জ্ঞানের ভারে ভারী নয়, বরং তা মানুষের নিত্যদিনের ব্যবহারের উপযোগী ও সহজ সরল। সংসারে খনা ভালবাসা পায়নি। দয়িতের হাত ধরে একদিন দেশ, ঘর বাড়ি ছেড়ে এসেছিল সে। স্বামীর অপমানে বারে বারে এগিয়ে এসেছে সে। তবুও তার স্বামীই হয়েছে তার বৈরী। মিহির খনার প্রতিভাকে বেশি করে জানত বলেই খনাকে সে প্রবলভাবে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু মিহির সফল হয়নি। কারণ হাজার বছর পরেও খনাকে নিয়ে উপন্যাস রচিত হয়। খনার বচন বেঁচে থাকে কৃষকের প্রাণে মনে। বেঁচে থাকে খনার মনীষা।
এই উপন্যাসে খনার জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সে যুগের ইতিহাসও আলোচিত হয়েছে।