উতসর্গ – আমার বিশাল পরিবারের প্রতিটা মানুষকে...
যদি এমন হ’ত, রোজকার চেনা ছকটা ভেঙ্গে পরিচিত বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারতাম আমরা সবাই, তাহলে কি ভালই না হ’ত, তাই না? কিন্তু কাজটা ভাবতে যতটা সহজ, বাস্তবে কিন্তু তার চেয়ে ঢের কঠিণ। পরিচিত গন্ডী ছাড়িয়ে একটু বাইরে পা রাখতে গেলেই প্রতি পদে অপেক্ষা করে থাকে বিপদ, অসহোযোগিতা এবং কাছের মানুষগুলোর দূরে সরে যাওয়া।
সেই পরিচিত গন্ডীর বাইরে বেরোতে চাওয়া কয়েকজনকে নিয়েই এই উপন্যাসটি। মানুষ যে নিজেরটুকু বাদ দিয়েও এক সামাজিক জীব, সমাজের প্রতি তার কিছু দায়িত্ব থেকেই যায়, সেই কথাই মনে করিয়ে দেয় রুক্মিণী, আর্যরা। অন্যদিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো শ্রীরাধা বা তার দাদু অনিলবাবুকেও সমূহ বাধার সন্মুখীন হ’তে হয়। প্রতিনিয়ত জীবন-যুদ্ধে লড়তে লড়তে একসময়ে ক্লান্তি আসে অরিজিতের, একটা আশ্রয় খোঁজে সে। দারিদ্র্যকে জয় করে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার মরিয়া চেষ্টা করে বাসন্তী। পারিবারিক অস্বাচ্ছন্দ্যকে জয় করেও একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ওঠে দুই বোন, প্রিয়া আর রিয়া।
এরা সবাই হয়ত রোজই রয়েছে আমার-আপনার পাশে। আমরা কখনো চিনতে পারি, কখনো বা চোখ বুজে থাকি, ভাবি ও পারে, ওর সাহস আছে। একবারও ভাবি না আমরা কেন পারি না? স্বামীজীর কথায় বলতে গেলে, মানুষ হয়ে জন্মেছি যখন, একটা আঁচড় যে কেটে যাওয়া বড় জরুরী...