লেখক পরিচিতি –
কথাশিল্পী হিসেবে রম্যাণী ইতিমধ্যেই পাঠকমহলে সমাদৃত। তিনি জলপাইগুড়ির বুকে স্কুল ও কলেজ জীবন কাটিয়ে কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় মাস্টার্স করেন। এরপর ইন্ডিয়ান অ্যাসোশিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স (আই এ সি এস) থেকে পদার্থবিদ্যায় গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৮ সালে শিলিগুড়ি সূর্য সেন কলেজে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হন এবং বর্তমানে সেখানে বিভাগীয় প্রধান পদে কর্মরতা।
লেখালেখির জগতে তাঁর প্রবেশ বছর ছয়েক আগে। প্রথম গল্প ‘কুয়াশা’ প্রকাশিত হয় ‘সানন্দা পুজো সংখ্যা’ ২০১৪ তে। ‘দেশ’ পত্রিকায় ২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সংখ্যায় প্রকাশিত একটি গল্পের মাধ্যমে বৃহত্তর পাঠকের নজরে আসেন। এরপর ‘দেশ’ পত্রিকার পাশাপাশি তাঁর অসংখ্য গল্প প্রকাশিত হয়েছে ‘শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকা’, ‘সানন্দা পুজো সংখ্যা’, ‘সানন্দা বোধন সংখ্যা’, ‘উনিশ কুড়ি’, ‘কথাসাহিত্য’, ‘গৃহশোভা’, ‘তথ্যকেন্দ্র’, ‘ফেমিনা বাংলা’, ‘শিলাদিত্য’, ‘এখন ডুয়ার্স’, ‘আজকাল পত্রিকা’, ‘উত্তরবঙ্গ সংবাদ’, ‘বর্তমান পত্রিকা’, ‘উত্তরের সারাদিন’, ‘শুভম সাময়িকী’ এবং বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে। বড়দের পাশাপাশি কলম ধরেছেন ছোটদের জন্যও। ‘আনন্দমেলা’, ‘কিশোর ভারতী’, ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত ‘কিশোর বার্তা’ ইত্যাদি ছাড়াও আরও অন্যান্য শিশু কিশোর উপযোগী পত্র পত্রিকায় তিনি লিখে চলেছেন প্রতিনিয়ত। ছোটদের ওয়েব ম্যাগাজিন ‘ম্যাজিক ল্যাম্প’ এ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বেশ কিছু গল্প। শিলিগুড়ি আকাশবাণীর অনুষ্ঠান ‘প্রান্তিকের গল্পপাঠ’ এ বহুবার সম্প্রচারিত হয়েছে তাঁর স্বরচিত গল্প।
তাঁর প্রকাশিত বইদুটি হল, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প সংকলন, ‘স্বপ্নের পাখিরা’ [প্রকাশক – সোপান, প্রকাশকাল - ২০১৮] এবং শিশু কিশোর উপযোগী গল্প সংকলন, ‘নানা স্বাদের ষোলো’ [ প্রকাশক – মিত্র ও ঘোষ, প্রকাশকাল - ২০১৯]। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘মেঘ রঙের মেয়ে’ এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় সানন্দা পত্রিকায় এবং উপন্যাসটি বিপুল পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে।
রম্যাণী ‘নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন’ এর পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে পেয়েছেন ‘সাহিত্য সম্মান’। লেখালেখি ছাড়াও ওঁর নেশা বই পড়া, বেড়ানো আর ফটোগ্রাফি।