শৈশব থেকেই সাহিত্যে প্রবল অনুরাগ। লেখালিখি আরম্ভ স্কুলবেলা থেকেই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলজিতে পোস্ট গ্রাজুয়েশনের পরে বিবাহসুত্রে স্বামীর সঙ্গে ঘোরাঘুরির সুবাদে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ভিন্ন রাজ্যের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া, দুটি স্কুলের শিক্ষকতা ও একটি ব্যাংকে চাকরির...More
শৈশব থেকেই সাহিত্যে প্রবল অনুরাগ। লেখালিখি আরম্ভ স্কুলবেলা থেকেই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলজিতে পোস্ট গ্রাজুয়েশনের পরে বিবাহসুত্রে স্বামীর সঙ্গে ঘোরাঘুরির সুবাদে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ভিন্ন রাজ্যের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া, দুটি স্কুলের শিক্ষকতা ও একটি ব্যাংকে চাকরির বিচিত্র অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ। সারস্বত-সাধনার একনিষ্ঠ সেবিকার অক্ষর-প্রেমের প্রকাশ রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড়-মঠ ক্যাম্পাসের বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত ৭ টি বই, এর মধ্যে যোগ ও ধ্যানের উপর ৫ টি অনুবাদ গ্রন্থ, স্বামীজীর মাদ্রাজি শিষ্য আলাসিঙ্গা পেরুমলের জীবনী ও সিস্টার নিবেদিতার ‘ক্রেডল টেলস অব হিন্দুইজম’ অবলম্বনে একটি কিশোর গল্প-সংগ্রহ ‘প্রাচীন ভারতের ছোটদের গল্প’। বইগুলো রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সমস্ত শোরুম থেকে বিক্রয় হয়। ডিসেম্বর, ২০১৮ আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রকাশিত বই—‘পৌরাণিক কথা ও কাহিনী’। রামকৃষ্ণ মিশনের একমাত্র বাংলা ম্যাগাজিন ‘উদ্বোধন’ পত্রিকা ও শ্রী সারদা মঠের দ্বিমাসিক পত্রিকা ‘নিবোধত’-তে দীর্ঘ দশ বছর ধরে মননশীল দার্শনিক প্রবন্ধ লিখছেন। এছাড়াও ‘ইচ্ছামতী’, ‘জয়ঢাক’ প্রভৃতি শিশু-কিশোর ওয়েবজিন ও ‘শব্দের মিছিল’, ‘অন্যনিষাদ’ প্রভৃতি অন্যান্য ওয়েবজিনের নিয়মিত লেখিকা। বর্তমানে স্বামী বিবেকানন্দ ও ভগিনী নিবেদিতার উপর নতুন বই-এর কাজ, রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ থেকে প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা ‘বিশ্ববাণী’-তে ধারাবাহিক প্রকাশিত স্বামী অভেদানন্দের জীবনীর অনুবাদ (ইংরাজি থেকে বাংলায়), ‘শাশ্বত নির্ভীক পথিক’ পত্রিকার ‘আমাদের ঐতিহ্য আমাদের গর্ব’ বিভাগে প্রাচীন ভারতীয় ঋষিদের যুগান্তকারী আবিষ্কার ও গবেষণা নিয়ে লেখা, ‘জয়ঢাক’ ওয়েবজিনের ‘বৈজ্ঞানিকের দপ্তর’-এর জন্য লেখা ও বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়, উদ্বোধন কার্যালয় ও সারদা মঠ অর্পিত কয়েকটি বই-এর কাজ নিয়ে ব্যস্ত লেখিকার অন্যতম ভালোবাসা ছোটদের জন্য লেখা।
Book Summary
“রথে চ বামনাং দৃষ্ট পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে”— যদি কেউ রথযাত্রা উৎসবের সময় রথারূঢ় জগন্নাথদেবের শ্রী বিগ্রহ দর্শন করে, তাহলে তার আর জড় জগতে জন্মগ্রহণ করতে হয় না। তিনি চিন্ময় ধাম প্রাপ্ত হন। যারা মন্দিরে এসে ভগবানকে দর্শন করতে পারেন না, তাদের দর্শন দেওয়ার জন্য ভগবান জগন্নাথদেব ভক্ত পরিবেষ্টিত হয়ে নিজেই পথে বের হন। সেই প্রফুল্ল পুণ্ডরীকাক্ষকে এই চক্ষুদ্বারা দর্শন করলেও জন্ম সার্থক হয়। শ্রীদারুব্রহ্ম পুরুষোত্তমের শ্রীমুখারবিন্দে বিশাল নয়নযুগল অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে, শ্রীকপোল ভাগ মণিময় তিলকে বিভূষিত এবং শ্রীঅঙ্গ নবজলধর কান্তির ন্যায় পরিশোভিত; তাঁর অরুণকান্তি অধরের দীপ্তিতে শ্রীমুখমণ্ডল পরম রমণীয়ব্যঞ্জক ও মন্দ মন্দ হাস্যচন্দ্রিকার দ্বারা আপামর জনগোষ্ঠির অপার আনন্দ বর্দ্ধন করছে।