জগৎ ও জীবনের নাট্যমঞ্চে অহরহ ঘটে চলেছে নানা দৃশ্য । দৃশ্যের গর্ভেই সৃষ্টি হয় গল্পের ভ্রূণ । দৃশ্যের মধ্যে থাকে ঘটনা----সুখ-দুঃখ, মিলন-বিচ্ছেদ, হাসি-কান্না, ভালবাসা- ঘৃণা, বন্ধুতা-শত্রুতা, আশা-নিরাশা, ঈর্ষা-হিংসা, বিশ্বাসঘাতকতা প্রভৃতি জীবনের বিভিন্ন রঙে আঁকা ঘটনা, যা নির্মাণ করে গল্পের শরীর । ঘটনার মধ্যে থাকে চরিত্র । চরিত্রের মধ্যে থাকে মন । পাঠকের প্রবল আকাঙ্ক্ষা ও অদম্য কৌতূহল থাকে ওই মনের ঘরে কী কাণ্ডকারখানা ঘটছে, কী রান্না-বান্না হচ্ছে, কী কথাবার্তা হচ্ছে, কী সব দার্শনিক ভাব-তরঙ্গ বয়ে যাচ্ছে, তা জানার ও দেখার । কিন্তু ওই মনের ঘরের চাবিটা থাকে লেখকের কাছে । লেখকের দায়িত্ব থাকে চরিত্রের মনের ঘরের তালা খুলে , সেখানে আলো জ্বেলে দিয়ে, আসন পেতে দিয়ে, পাঠককে চুপি চুপি নিয়ে গিয়ে ওই আসনে বসিয়ে দেওয়া। আমি চেষ্টা করেছি সেই দায়িত্বটা আন্তরিকভাবে পালন করতে। কতটা সফল হয়েছি সেটা পাঠকই বলতে পারবেন।