Dipanwita DeyRay - (09 November 2022)আপনি কুসংস্কারকে থিম করে একটি গল্প লেখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতে আলোর জাগরণ নেই। আমাদের সব কিছুই না হলেও হয় আবার হলে সেটাকে আঁকড়ে থাকি নিজের করে। এটাই সংস্কার। সেখানে সবসময় কু থাকেনা। একটা সন্তান জন্মের পরে তাকে আশ্রয় করে অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান হয়। কিছু ক্ষেত্রে আগেই বাচ্চাটিকে অন্ন ভোগ খাওয়ানো হয়ে যায় পরিস্থিতির জন্য। ওয়ার্কিং মাদাররা বেশিদিন ব্রেস্ট ফিড করাতে না পারলে হেবি খাওয়ানোর জন্য সাত পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে পারেননা। তাই বলে কি সেটা কুসংস্কার? বিয়েতে শাঁখা সিঁদূর মানেই খারাপ? ভালোবাসার ঐতিহ্য বহন করতে ভালোবাসা যায়না। এবার বলবেন পুরুষ কেন ধারণ করেনা সেই চিহ্ন। করতেই পারে। আমি অনেক পুরুষকেই দেখেছি তারা মন দিয়ে ভালোবাসেন স্ত্রীকে। হাতে এনগেজমেন্ট রিং পরে থাকেন সর্বদা। আর টেকনিক্যাল একটা দিক বলি বিয়ের রেজিষ্ট্রেশন না হলে কি পরবর্তী সময়ে সেই নারী স্বামীর সম্পত্তি এত সহজেই ছেড়ে দেবেন। এমন কাউকে আমি অন্তত দেখিনি। এ তর্ক চলতেই থাকবে। বিবাহ মানে বিশেষ ভাবে বহন। সে বহনের ভার দু'জনই নিক কিন্তু এক্ষেত্রে ছেলেটি যদি মা'য়ের প্রতি এত রূড হয় তাহলে সেখানে সংস্কার শুধু নয় সংস্করণ প্রয়োজন পুরুষটিরও। মৃত্যুর পরে বিশাল লোকজন নেমন্তন্ন করা অপ্রয়োজনীয় কিন্তু সামান্য কয়েকজন যারা পরিচিত তাদেরওকি একদিন শেষবারের মত ডাকা যায়না? এই গল্পে কুসংস্কারের কথা আছে। আলো নেই।
01
ডাঃ পরমেশ ঘোষ - (07 November 2022)ভালো লাগলো সংস্কার মুক্ত রীতিকা আর অরিত্রের ভালোবেসে স্বামী-স্ত্রীর মতো একসঙ্গে থাকার ও জীবন কাটানোর গল্প। তবে আইনসঙ্গত বিয়ের দরকার আছে; আয়কর, স্বাস্থ্যবীমা, বিদেশের নাগরিকত্ব নেওয়া ইত্যাদি কয়েকটা ব্যাপারে আইনসঙ্গত বিয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে। এছাড়া, যদি বিবাহ-বিচ্ছেদের দরকার পড়ে, তখন দুজনের যাবতীয় সম্পত্তি ও দায়িত্ব ভাগ ক’রে দেওয়া দরকার। বিবাহ আইনসঙ্গত না হ’লে বিচ্ছেদও হবে অতর্কিত, আইনসঙ্গত নয়।
01
শতাব্দী চক্রবর্তী - (05 November 2022)নারী শুধু শাঁখা পলা আর সিঁদুরে মোড়া থাকবে না এই হচ্ছে আপনার গল্পের বিষয়বস্তু। এটা হলে একপক্ষে ভালো আবার খারাপও। অবশ্য দুজনের ভালোবাসা, মানিয়ে নেওয়া থাকলে আর কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সিঁদুর শাঁখা এগুলো হিন্দু নারীদের সংস্কারের পরিচয়। গল্পের রীতিকা আর অরিত্রকে দিয়ে আপনি নতুন ধারণা প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। খুব ভালো লাগলো। অরিত্র যদি স্ত্রীর টাকায় প্রতিপালিত হয়ে কোন দ্বিধাবোধ ছাড়াই দাম্পত্য বোঝায় রাখতে পারে তাহলে ভালো কিন্তু বাস্তবে এটা সহজ নয়। মা বাবার প্রতিও সন্তানের দায়িত্ব আছে।
সংস্কার মুক্ত রীতিকা আর অরিত্র ভালোবেসে বিয়ে করল কোনও রকম নিয়মকানুন না মেনে। বিয়ের পর সমাজের কঠিন শাসনকে ভেঙে এগিয়ে চলেছে রীতিকা আর অরিত্র নিজেদের মতো করে। রীতিকা আর অরিত্রর গল্প পড়তে হলে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে গল্পটা।