সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, বিপত্তি হল মন্দির দর্শন করে বাড়ি ফেরার সময়! পশ্চিম আকাশে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। ঠিক এ সময় আমি চন্দনপুরের শ্মশান ক্রশ করছি। সমস্ত শরীর কেমন শিহরণ খেলে গেল। গা'টা ছম ছম করছে, শ্মশানের উল্টোদিকে যতদূর চোখ যায় ধূ ধূ ফাঁকা মাঠ, কোথাও কোন জনপ্রাণী নেই। কানের ধার ঘেঁষে হু হু করে বাতাস বয়ে চলেছে। আমার প্রতিটা পা ফেলার সাথে সাথে মনে হল কেউ আমার পিছু নিয়েছে। রাস্তার দু'ধারে উচু উচু সোনাঝুরি গাছের পাতার খসখস শব্দ বাতাসে ভেসে আসছে। অন্ধকারে আকাশের বুকে যেন কোনো অজানা আতঙ্ক দানা বাঁধছে। কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা পথ হাঁটছি। ততক্ষণে আমার হাঁটার স্পিড দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এই রাস্তাটা যত তাড়াতাড়ি পার করবো ততই মঙ্গল। শ্মশানটা ক্রস করলাম, এবার আরো স্পষ্ট শুনতে পেলাম কার হাঁটার শব্দ! আমি থমকে দাঁড়াতে ওই আওয়াজটাও থমকে গেল। চারিদিক নিস্তব্ধ নিঝুম অন্ধকারে ঢেকে গেছে।