রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ
তাপস কুমার বর
২৭.০৪.২৩
_________________________
বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট খুব জটিল হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক চরিত্র এখন স্বার্থের কাঙালে আঘাত হানছে। এইভাবে যদি সমাজে স্বার্থের নীতি,ধর্ম,শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অবস্থা প্রতিটি দরজায় কড়া নাড়তে নাড়তে ঢুকে পড়ে, পরবর্তী ভবিষ্যৎ "বড়ো বিপদের জন্য অপেক্ষা করছে"। রাজনীতি মানে "রাজার নীতি"। এই নীতি ধর্ম সবকিছু যদি একটা সিস্টেমে চলে তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা,শিক্ষা ও সুরক্ষা সুন্দর হয়ে উঠবে,.....
"ভাবনার আকাশে অনেক ভাব আসছে কিন্তু বাস্তবের লাইনে দাঁড়িয়ে তোমাকে কাজ করতে হবে। তবেই তোমার চিন্তা-ভাবনা সার্থক হবে"।
*রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এখন কেমন*- বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট খুব জটিল। এখন মানুষের ভবিষ্যৎ চিন্তায় রাজনীতি ডুকে পড়েছে। ছোটোবেলায় শুনতাম গুরুজনরা জিঞ্জাসা করতো। বড়ো হয়ে তোমার কি হওয়ার ইচ্ছে আছে? তখন বলতো,ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,শিক্ষক,পাইলট ইত্যাদি।এখন বর্তমানে যুবশক্তির মধ্যে রাজনীতি তীব্র ভাবে ডুকে গেছে। তাদের স্বপ্ন তারা "রাজনৈতিক বড়ো নেতা হতে চায়"। তবে সত্যি কথা বলতে রাজনৈতিক নেতা হতে দোষ কোথায়? কিন্তু সেই চাওয়া পাওয়াটা যদি আখের গোছানোর "স্বার্থ"হয়। সেটা সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক। কারন,...
"যোগ্যরা পায় প্রত্যাখান। অযোগ্যের চলে চোখ রাঙানি"।
একটা রাষ্ট্রের কাছে বড়ো শক্তি হলো "তাঁর জনগণ"। জনগণ তাঁর অধিকার দিয়ে একটা সরকার গড়ে তোলে। সেই সরকারের দায়িত্ব "জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান নীতি"। কিন্তু সেই নীতি যদি একশ্রেণীর জন্য বরাদ্দ থাকে আর এক শ্রেণীকে প্রত্যাখান করা হয়। তাহলে সেই সরকার "সমাজ সেবা কেমন করে করবে যা নিজেদের পরিচিতদের মধ্যে বরাদ্দ"।
*রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ*- রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বোঝা এখন খুব কঠিন। কারণ তুমি যতো সত্যপথে থাকোনা কেন? "মানুষ চাওয়া পাওয়া রাজনীতিতে ঢুকে গেছে প্রচুর"। যারা সুবিধাভোগী তারা চিলকাল সুবিধার পায়ে পড়ে থাকবে। কারণ তাদের জীবন,ভবিষ্যৎ সুন্দর ভাবে চলে যাচ্ছে। কিন্তু পৃথিবীতে "সত্য এখনো আছে"। মিথ্যার প্রশ্রয় বেশি দিন থাকে না। এই যুগ প্রাচীন বা মধ্যযুগ নয়। এটা আধুনিক যুগ। মানুষ কুসংস্কার থেকে অনেকটা বেরিয়ে এসেছে। কম্পিউটারের মতো তাদের এখন মস্তিষ্ক। তাই তাদের বোধশক্তির জাগরণ ও ঘটেছে। তারা বিচার বিশ্লেষণ করতে পারে। কোনটা ভালো কোনটা খারাপ। তাই রাজনীতির সর্বাঙ্গ যখন উলঙ্গ হয়ে যায় তার পতন তীব্র ভাবে নেমে আসে,.....
"রাজা তোমার নীতি যদি সেবাধর্ম হতো,
তুমি পাঁচ নয় পঞ্চাশ বছর রাজার আসনে বিরাজ থাকতে"।
- রাজনীতির সবচেয়ে বড়ো শক্তি হলো "জনগণ"। তারাই ঠিক করে সরকার। জনগণের নির্বাচিত যে সরকার আসে তারাই "দেশ শাসনে কান্ডারী হয়ে ওঠে"। দেশের ভবিষ্যৎ সত্য ও মিথ্যা লড়াইয়ে লড়ছে। সত্যের যেদিন বিকাশ ঘটবে "সেদিন মিথ্যা, রাজনীতি স্তব্ধ হয়ে পড়বে"!
*কবে সঠিক রাজনীতি আসবে*? এই প্রশ্ন বহু যুগ থেকে চলে আসছে। এর সমাধান খুব জটিল যেমন। তেমন সহজ ও বটে। সকলে প্রশ্ন করতে পারে? তাহলে সমাধান হচ্ছে না কেন? এই সমাধান প্রত্যেকের। একার পক্ষে কখনো সম্ভব নয়। এর জন্য মিডিয়া, গণমাধ্যম, সংবাদ পত্র,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বুদ্ধিজীবী,সমস্ত সরকারকে এক হয়ে দায়িত্ব নিতে হবে দেশের উন্নায়নে। এই একই চিন্তায় সকলকে উন্মুক্ত হতে হবে,....
"আমরা ভারতবাসী,ভারত আমার দেশ"।
-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলকে সমান দৃষ্টিতে সকলের জন্য এক অধিকার নিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকে নিজের ধর্মকে যেমন সম্মান করবো, তেমনি অন্য ধর্মকে ও সমান মর্যাদা দেবো,....
"বিভেদ তোমাকে যুদ্ধ শেখায়
ভবিষ্যতের রক্তের দাবানলে"!
- সকলের উদ্দেশ্য "দেশের উন্নায়ন" তাহলে সেই দেশ সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়।কারণ দেশের সবচেয়ে বড়ো শক্তি হলো তার "জনগণ"। যে জনগণ রাষ্ট্রের নীতি ধর্ম অর্থনীতি ও শিক্ষা উপর বেঁচে থাকে।
*জনগণ কি চায়*- একটা রাষ্ট্রের কাছে জনগণের চাওয়া পাওয়া হলো "তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা"। সরকার তো দেশের সব পরিবারের ভরণ-পোষনের দায়িত্ব নিতে পারে না। দেশ চালাতে গেলে একটা ন্যায় নীতির উপর যেমন চলতে হয়। তেমন দেশের প্রতিটি জিনিসের প্রতি তাদের ও তেমন একটা দায়িত্ব থাকে। তাই সরকার,.....
"তোমাকে পথ দেখাবে
যদি সেই পথে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারো,
তাহলে সেই কর্ম তোমার জন্য সংরক্ষিত"।
- যদি সরকার বিচার বিবেচনা না করে, অযোগ্যকে সেই স্থানে নির্বাচিত করে তাহলে "সেই কর্ম সংস্থান বিপদের দিকে চালিত হয়। যেমন একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, ---
একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার যোগ্যতা প্রমাণ করে তার কর্মস্থানে আসে আর একজন্য অযোগ্য হয়তো ক্ষমতাশালীর কোন পরিচিত। তাকে যদি সেই স্থানে আনা হয়। চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। সঠিক চিকিৎসা হয় না। তার একটা ভুলে "অনেকে অকালে প্রাণ হারাতে পারে"। এই রকম অনেক উদাহরণ আছে। তাই সঠিক মূল্যায়নে সঠিক নিয়ে আসুন। তাহলে,.....
"তোমার সিংহাসনে ভয় থাকবে না,
থাকবে জনগণের শাশ্বত আশীর্বাদ"।
পরিসমাপ্তির পর্বে জানাতে চাই। জনগণ হলো "একটা দেশের সবচেয়ে বড়ো শক্তি। এই জনগণ কারা? তারা হলো, কৃষক,শিক্ষক, ডাক্তার,মুচি-ম্যাথর-দরিদ্র,ফুটপাতবাসী,ধর্মপরায়ন মানুষ ইত্যাদি সকলে মিলে তৈরি হয়েছে একটা দেশের জনগণ। আমাদের ভারতবর্ষ নানান ভাষা-ভাষীর দেশ। এখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। তাই আমাদের একটাই উদ্দেশ্য হবে,....
"জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতির বন্ধন"
- বিভেদ যতোদিন দূর হবে না। ততোদিন যুদ্ধ-হিংসা-বিদ্বেষ লেগেই থাকবে। সকল জাতিকে সচেতন হতে হবে। সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। তাহলেই,....
"তোমার ভবিষ্যৎ, আমার ভবিষ্যৎ
সুরক্ষার চাদরে মোড়া থাকবে"!
- না হলে দম্ভ রাজনীতি, একদিন পলাশীর যুদ্ধের মতো "শুধু ধ্বংস দেখবে"। যেখানে,....
"রাজারা সুরক্ষিত থাকবে,
জনগণ তোমাদের রক্তে
স্বার্থপর হাসবে"।
- তখন সেই ভবিষ্যৎ, আফিমের নেশার মতো যুদ্ধের দামামায় উলঙ্গ সাজাবে। তাই রাজার নীতিতে হোক সঠিক মূল্যায়ন। আমরা উন্নায়ন চাই। দু'মুঠো সাদা ভাত আর একটু শান্তি চাই,......
"আমরা জনগণ, চাই দেশের উন্নায়ন।যে দেশে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে,একতার ঐক্যবন্ধনে থাকবো মিলে"।
°°°°°°°°°°°