মিতু তার মাকে বলে মা টাকা দাও । মা বলে কি করবি । মিতু বললো একটা পার্টি আছে । মা বলে কিসের পার্টি । মিতু বললো ব্রেকআপ পার্টি । মা তো হতবাক । আমাদের সময়ে মানুষ বিচ্ছেদের কথা ভাবতেই পারতো না । এখন আমার মেয়ে বলে ব্রেক আপ পার্টি করবে । একদিকে চিন্তা করলে ভালোই বিচ্ছেদ কে তাঁরা আনন্দে পরিণত করেছে । আমাদের যুগের মানুষ মনের সাথে যুদ্ধ করে হলেও বিচ্ছেদের কথা কখনো ভাবেনি । নিজেকেই চিন্তা করি সমঝোতা করে জীবন টা পার করে দিলাম । অথচ মিতুর মতো চিন্তা করলে আজ জীবন টা অন্যরকম হতো । মিতুর বাবা ছিল শারীরিক ভাবে অক্ষম । বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে আমি বুঝতে পারি । কিন্তু কাউকে কিছু বলতে লজ্জা পাচ্ছিলাম । প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে স্নান করি ভাবটা এমন দেখাই মনে হয় রাতে না জানি কতকিছু হয়েছে । সামাজিকতা দেখানোর জন্য সে বিয়ে করেছে অথচ তার এই সমস্যা বাসায় কাউকে বলেনি । কিন্তু তখন যদি তাকে ছেড়ে মিতু র মতো ব্রেকআপ পার্টি করতে পারতাম তাহলে বেশি ভালো ছিল । তখন তো সামাজিক অবস্থা এখনকার মতো ছিল না । আমার সমস্যার কথা বললে উল্টো আমাকেই খারাপ ভাববে । দিন দিন আমার স্বামীর উপর রাগ বেড়েই যাচ্ছিল। আমি তখন জেদ করে পাশের বাড়ির এক যুবকের সাথে প্রেম শুরু করলাম । যুবকটি অস্থির প্রকৃতির ছিল । সে আমাকে মনে প্রাণে ভালোবেসে ফেলল । এভাবেই অবৈধ সম্পর্ক চলছিল । ঠিক তখনই মিতু আমার পেটে আসে । কিন্তু আমার স্বামী ঠিক জানে এটা তার সন্তান না। মনে হয় সেই চিন্তায় বেচারা স্টোক করে এবং পড়ে মারা যায় । আমি তখন অনুশোচনা করতে শুরু করলাম । আমি এখনও নিজেকে মাফ করতে পারি না । সবাই জানে মিতু আমার স্বামীর মেয়ে কিন্তু আমি তো জানি সে কার সন্তান । কিছুদিন পর আমার প্রতিবেশী যুবক বিদেশ যাবার স্কলারশিপ পেয়েছে । আমাকে বিয়ে করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল আমি রাজি হইনি । সে অনেক কান্না কাটি করেছিল । কিন্তু আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম তোমার সাথে আমার যা হয়েছে সব ভুলে যাও। আমি জেদের কারণে এতবড় ভুল করেছি । আমি আসলে তোমাকে ভালবাসি না। আমার স্বামী মারা যাবার পর আমার অনুশোচনাই আমার পাপের শাস্তি বহন করছে । মিতু আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলে মা কি চিন্তা করছ । তোমাকে বললাম আমার টাকা লাগবে । আমি সম্বিত ফিরে পেলাম এবং মিতু কে টাকা দিয়ে বললাম যা ব্রেকআপ পার্টি কর। সমাপ্তি ।