রোজকার মতো অফিস যাওয়ার জন্য হন্তদন্ত হয়ে পলাশ বাড়ি থেকে বের হলো। প্যান্টে শার্ট গুজতে গুজতে বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছালো। এই বাস'টিতেই সে রোজ অফিস যায়। বাস স্ট্যান্ডে সেই বাসের জন্য অপেক্ষা করছে হঠাৎ খেয়াল করলো তার মোবাইল বাড়িতে ফেলে এসেছে। আবার দৌড়ে বাড়ি থেকে মোবাইল আনতে আনতে বাস ততক্ষণে বাস স্ট্যান্ড পার হয়ে গেছে। অগত্যা পরের বাসের জন্য অপেক্ষা। ফেসবুকে চোখ বুলাতে গিয়ে তারা চক্ষু স্থির। কয়েক মিনিট আগে পার হওয়া বাস টি দুর্ঘটনা গ্রস্থ। যাত্রীরা সকলেই প্রায় মারা গেছে। শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠলো। মনে পড়লো মোবাইল তো সে ব্রেকফাস্ট করার আগেই ব্যাগে নিশ্চিত ভরেছিল। তাহলে কেন এমন আশ্চর্যের ঘটনা টা ঘটলো। কোন ঐশ্বরিক শক্তি এভাবে তাকে বাঁচিয়ে দিল। দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না পলাশ। বাস স্ট্যান্ডে পাতা চেয়ারে কাঁপতে কাঁপতে বসে পড়ল। একটা গরম বাতাস তার শরীরের উপর দিয়ে ঢেউ খেলে গেল। কে যেন তার কানে কানে ফিস ফিস করে বলে গেল "আমি... আমি রে খোকা.... । আওয়াজ টা চিনতে পলাশের ভুল হলো না, এটা তার মায়ের গলা।
এক বছর আগে তার মা যে এরকমই এক অ্যাকসিডেন্ট মারা গেছিল।
সমাপ্ত