'#শপিজেন সপ্তাহিক'
#বিষয়--রথ ও প্রেম
#বিভাগ-- গল্প
#শিরোনাম--আবর্ত
#লেখক- প্রশান্ত পরাশর
কুড়িবছর পর রথেরমেলায় শুভদীপ ও অনামিকা মুখোমুখি হয়েগেল,অনামিকার সঙ্গে আছে ছেলে ও স্বামী,
এইরকম এক রথেরমেলায় ওরা প্রেমে পড়েছিল,
অনামিকা বলে উঠল,কি শুভ চিনতে পারছো না?
অপ্রস্তুত শুভদীপ বলল,"না, ঠিক খেয়াল করিনি,
অনামিকার স্বামী বললেন, "আপনার কথা অনেক শুনেছি", আজ পরিচয়ের সৌভাগ্য হল,
শুভদীপ বিব্রত হল,
অনামিকা বলল,'থাক,পরে হবে, এখন মোবাইল নম্বর দাও তো,
আজ তাড়া আছে,
দিনকয়েক পরে অনামিকা ফোনে বলল,কালকে একবার আসতে পারবে?ঠিকানাটা ম্যসেজে দিচ্ছি,
কখন যেতে হবে?
দুপুর দুটোয় এসো,অপেক্ষা করবো।
শুভদীপ তিনটের সময় অনামিকার বাড়ি পৌছালো,
অনামিকা বলল, অপেক্ষা করছিলাম,
শুভদীপ ঘরে ঢুকে, কেউনেই জেনেই বলল,ছেলে কই ?
স্কুলে, 'বসো আসছি'
ফ্রুটজুস হাতে দিয়ে,অনামিকা বলল,তুমি যে একসাথে পথচলার কথা দিয়েও পালিয়েগেলে মাঝপথে,আজ তার শেষটুকু বলবো তোমাকে,
শুভদীপ বিচলিত হল,অপরাধী চোখতুলে চোখে রাখল,
তুমি হঠাৎ নিরুদ্দেশ হওয়াতে প্রচন্ড
মানসিক কষ্টে দিশাহারা অবস্থা আমার,চোখেরকোনে কালি পড়েছে,খাবারে অরুচি,বমি বমি ভাব,আমি তখন সন্তান সম্ভাবা,
শুভদীপ বলল,আমি তো এইসবকিছু জানতাম না,
জানলেই কি টোপর পরতে শুভ?
শুভদীপের মাথা মাটিতে মিশেগেল
আমি সুইসাইড অ্যটেম্ট করলাম,কিন্তু কপালে মরন নেই,আমার স্বামী ডাক্তার অর্ণব সেন আমাকে বাঁচালেন এবং সব জেনেও আমাকে গ্রহণ করলেন, আমার সন্তান পেল পিতৃ পরিচয়,
শুভদীপের পা কাঁপছে,টলতে টলতে বেরিয়ে এল বাইরে ।