• 17 July 2020

    আদর

    আদর

    5 147


      - হাই প্রিন্সেস, কাম।

    তিতলি যাবে না লোকটার কাছে, কিছুতেই না। কিন্তু মাম্মি ওকে ঠেলে পাঠাচ্ছে!

      - দেখো আঙ্কেল কতো চকোলেট নিয়ে এসেছে!


    বড়ো বড়ো দাঁত বের করে হাসতে থাকা রণিত বসু চশমার উপর দিয়ে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিল তিতলির বাড়তি শরীরটার ওপর। বয়েস আট হলে কি হবে, গড়ন কিন্তু বারো-তেরো বছরের বাচ্চার চেয়ে কম নয়! এই ধরণের শরীরে আলাদা একটা স্পঞ্জিভাব থাকে। হাতে নিয়ে স্পঞ্জ রসগোল্লা চিপলে যেমন একটা আলাদা প্রশান্তি, এই শরীরগুলো তাই।

    লোভী দৃষ্টিটা আরো প্রসারিত করে, পোড়া ঠোঁটটাকে একবার জিভ দিয়ে চেটে নিলেন তিনি।


    তিতলি সেইদিনটার কথা মনে পরে, আঙ্কেল কোলে বসিয়েছিল ওকে। বুকের সদ্য উঁচু হওয়া জায়গাদুটো চেপে ধরছিল খুব জোরে। ব্যথা করছিল তিতলির। আঙ্কেল নিজের বুকে-পেটে ঠেসে কোলে বসিয়েছিল তিতলিকে, দুই থাইয়ের মাঝে কেমন একটা অস্বস্তি হচ্ছিল! দমবন্ধ হয়ে আসছিল যেন ওর!


    মাম্মিকে বলতেই বলেছিল আঙ্কেল ওকে নাকি অনেক বেশি ভালোবাসে, তাই নাকি অতো আদর করে।

    দুদিন ধরে বুকে ব্যথা অনুভব করেছিল তিতলি৷ বেশি আদরে ব্যথা লাগে বুঝি?

    কই, পাপা তো তাকেও আদর করে, তার তো ব্যথা লাগে না?


    রণিত বসু তখনো হাতের ইশারায় ডেকে যাচ্ছে তিতলিকে। তিতলি কিছুতেই যাবে না, সে দৌড়ে নিজের ঘরে চলে গেলো।


    তিতলির এই আচরণে কিছুটা হতভম্ব ওর বাবা-মা। রণিত বসুর সাথে তাদের কোম্পানির বড়ো ডিল হতে যাচ্ছে, কোটি টাকার ব্যাপার প্রায়। উনি কোন কারণে অপমানিত বোধ করলে মুশকিল! ব্যাপারটাকে কিছুটা সামলে নিতে মি. রায় বলে উঠলেন,

      - আসলে মেয়ের একটু অভিমান বেশি, কাল রাতে বকা খেয়েছে মাম্মির কাছে, তাই আমাদের কারো কাছেই আসছে না।


    রণির বসু কিন্তু মি. রায়-এর দুর্বলতা জানেন, যে করেই হোক, কচি মেয়েটাকে একবার মনের মতন হাতে না পেলে হচ্ছে না।

      - ইটস ওকে, মি. রায়। তিতলির সাথে আমি ঠিক বন্ধুত্ব করে নেবো, ডোন্ট ওরি। তার চেয়ে এক কাজ করুন, নেক্সট সান্ডে আমার বাড়িতে আসুন। উই উইল ফাইনাল দ্য ডিল দেয়ার আর তিতলির সাথে বন্ধুত্বটাও হয়ে যাবে!


    সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান মি. এন্ড মিসেস রায়।


    ******************************


    রোববারে রণিত বসুর বাড়িতে হাজির হয় ওরা। বিশাল ভূরিভোজনের পর হাল্কা ড্রিংকস নিচ্ছিল ওরা। তিতলির এখানে আসতে ইচ্ছে করেনি একদম, প্রথমে মন খারাপ থাকলেও এখন ভালো লাগছে। সেটা অবশ্য লুসির জন্য। লুসি রণিত বসুর পোষ্য, প্রজাতিতে জার্মান শেফার্ড। লুসি এমনিতে বদরাগী হলেও তিতলির সাথে অপ্রত্যাশিত ভাবে ভাব জমে গিয়েছে।


    এদিকে ড্রিংকসটা একটু বেশিমাত্রায় হওয়ায়, তিতলির মা-বাবা গা এলিয়ে পরেছিলেন ড্রইংরুমে। সুযোগটা হাতছাড়া করলেন না রণিত বসু, মুখটা মুছতে মুছতে এগিয়ে গেলেন দোতলায়। তিতলি তখন দোতলার প্যাসেজে লুসির ছুঁড়ে দেয়া বল কুড়োতে ব্যস্ত।


    বলটা সবে কুড়োতে যাবে তিতলি, এমন সময় রণিত বসু একহাতে তিতলির মুখ ও অন্যহাতে বুক চেপে ধরে কোলে তুলে নিলেন। লাগোয়া রুমটার দরজা ঠেলে ঢুকে তিতলিকে ছুঁড়ে দিলেন বিছানায়।


    তিতলি স্থির হয়ে গেলো ভয়ে, গলা শুকিয়ে গিয়েছে ওর!


    রণিত বসু বড়ো বড়ো দাঁত বের করে, হামাগুড়ি দিতে দিতে এগোচ্ছে তিতলির দিকে। একটু পর তিতলির বুক আর মুখের খুব কাছে চলে আসে। হুইস্কির গন্ধে গা গুলিয়ে উঠলো তিতলির, একটা আর্তনাদ করে দুহাতে মুখটা ঢেকে নিলো।


    সঙ্গে সঙ্গে তিতলির চেয়েও বেশি আর্তনাদ করে মেঝেতে ছিটকে পরলেন রণিত বসু। লুসির আওয়াজে মুখ তুলে তাকায় তিতলি।


    মেঝেতে ছটফট করছে রণিত আর গোঙাচ্ছে রক্তাক্ত অবস্থায়! হাতের একপাশ থেকে মাংস খুবলেছে লুসি!


    লুসি নিজের জিভ দিয়ে তিতলির গালে কপালে জমতে থাকা ঘাম চাটতে থাকে। ওকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে তিতলি!


    সত্যিকারের আদর তো এমনই স্বস্তিরই হয়!












    Mukulika Das


Your Rating
blank-star-rating
শংকর হালদার শৈলবালা - (28 July 2020) 5
চমৎকার লেখা ভালো লেগেছে ধন্যবাদ

1 1

সমন্বিতা ঘোষ - (18 July 2020) 5
প্রতিযোগিতায় যতগুলি কাহিনী পড়লাম তার মধ্য এই কাহিনী সবচেয়ে বেশি কাছের হয়ে উঠেছে। অসাধারণ।এমন সাহসী , বাস্তবনিষ্ঠ, প্রতিবাদী আর অনুভূতি ময় লেখাকে কুর্নিশ। অসাধারণ লিখেছেন।

1 1