কোনভাবেই বাবাকে সেদিন বোঝাতে পারেনি অভিরূপ যে ধ্রুপদী অনাথ আশ্রমে মানুষ হলেও ওর মতো ভালো মনের মেয়ে আজকাল বিরল।
জোর করেই নিজের বড়োলোক বন্ধুর মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে ওর জীবনটাই বরবাদ করে দিয়েছিলেন সমীরবাবু সেদিন। অলিভিয়ার গুছিয়ে সংসার করার মানসিকতাটাই নেই। সারাক্ষণ নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত সে।
তাই আজও বাবা ডাকটাই শোনা হলো না অভিরূপের।
আর অভিরূপেরই ছোটোবেলার বন্ধু,শুভায়ন সেদিন ধ্রুপদীকে বিয়ে করে যমজ দুই সন্তানদের নিয়ে পাড়ার স্কুলে পোলিওর ডোজ খাওয়াতে যাচ্ছে আজ। ওর পেছনে ধ্রুপদীও আছে।
ওদের দেখে অভিরূপ আর তার বাবা ওষুধের দোকানে অন্যমনস্ক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
অতি হিসেবী সমীরবাবু জীবনের শেষ অধ্যায়ে এসে বুঝলেন,বড়ো ভুল করে ফেলেছেন।