ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি যখন মুষলধারায় নামে,
শবরী চঞ্চল হয়ে ওঠে।
বৃষ্টির গতির সাথে তাল মিলিয়ে
সব বাধা ছিঁড়ে এক ছুট্টে
ঘর থেকে বেরিয়ে পরে,ঊর্ধ্বমুখী হয়ে...
সর্বাঙ্গ ভিজিয়ে...কোনো অদ্ভুত আবেশে
ভেজা শরীরে সিক্ত পায়ে ফিরে আসে ঘরে।
প্রবল হাওয়া শুরু হলে কেমন যেন
অস্থির হয়ে ওঠে শবরীর মন।
ঝড়ের বেগের মতোই উম্মাদ হয়ে
এক দৌড়ে বেরিয়ে পড়ে
কোনো এক অদ্ভুত আকর্ষণে,
সমস্ত মিথ্যে নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে।
লাল গোলাপ দিলেও সে ছিঁড়ে ফেলে।
তার অতীব প্রিয় সেই রং, সেই ফুল....তাও
বিড়বিড় করে বলে,
লাল রঙে মিশে আছে শুধু নিয়মের গ্যাড়াকল
মিথ্যা শব্দে সাজানো পারিপাট্য সমাজ।
আগুন দেখে কাছে যায়
এ যেন এক অসম্ভব নেশা তার...
মায়াবী চোখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
শূন্যে চোখ মেলায়।
চরম হতাশায় চিৎকার করে বলে...
প্রেমের প্রলেপ মেখে তোমরা আসলে ভন্ড দেবতা।
নীলদিগন্তে আঁকিবুকি কাটে চোখের ইশারায়