• 28 July 2020

    ভুতের আলোর নাচ

    লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা

    5 133

    ভুতের আলোর নাচ
    লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা
    শব্দ সংখ্যা :- 358
    •••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
    সুমন বলে কাকা আমার টাকা গুলো দাও।
    কাকা বলে টাকা এখন দিতে পারবো না।

    সুমন বলে 5 হাজার টাকা ধার নিয়েছিল তিন বছর হয়ে গিয়েছে।

    কাকা বলে আমি টাকা দিতে পারবো না এখন।

    সুমন বলে পাট বিক্রি করলে টাকা দাও।

    কাকা বলে পাট বিক্রি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে, যে দিন পারি সেদিন দেবো বলে হাঁটতে শুরু করে।

    সুমন ভাবছে সহজে টাকা তুমি দেবে না আজ তোমার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসবো।
    ভাবতে থাকে কি করে রাতে ঘরে ঢোকা যাবে। অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর লাফিয়ে ওঠে মনে মনে ভাবে বুদ্ধি পেয়ে গিয়েছি ।

    সুমনের বাড়ির পাশে বাড়ি প্রতিবেশী কাকা। সারাদিন বাড়ির উপর নজরদারি করতে করতে সুযোগ বুঝে, কাকার ঘরে ঢুকে কিছুক্ষণ পর চুপিচুপি বেরিয়ে আসে।

    রাত যখন গভীর সবাই নিদ্রামগ্ন চুপিচুপি ঘরের দরজার কাছে এসে, দড়ি ধরে টানতেই ঘরের দরজা খুলে যায়। কারণ দরজার খিলের সাথে দড়ি বেঁধে রেখে এসেছিল।
    সুমন ঘরের মধ্যে ঢুকে কাকার মশারির মধ্যে একটি প্যাকেট রেখে দেয়।
    বিছানার তলা থেকে আলমারির চাবি নিয়ে ধীরে ধীরে আলমারি খুলে 5000 টাকা নিয়ে আলমারি বন্ধ করে।
    নির্দিষ্ট জায়গায় চাবি রেখে দিয়ে ঘরের বাহিরে আসার সময়ে, প্যাকেটটি কাকার বুকের উপর রেখে আসে।
    গরমের রাতে জানালা খুলে শুয়ে আছে প্রতিবেশী কাকা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই এই গ্রামের মধ্যে ।আমাবস্যার রাত অন্ধকারে বুদবুদ করছে সব জায়গায়।
    জালানার কাছে গিয়ে লম্বা লাঠি দিয়ে খোঁচাতে শুরু করে কাকা কে।
    লাঠি খোঁচা খেয়ে কাকার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।

    চোঁখ মেলে দেখতে পায় বুকের উপর একটি আলো লাফিয়ে লাফিয়ে চলছে। আলোগুলো একবার জ্বলছে একবার নিভে যাচ্ছে ভয় পেয়ে ভূত ভূত বলে চিৎকার করতে থাকে।
    মশারী নিয়ে চৌকি থেকে নিচে পড়ে যায়।
    সুমন সুযোগ বুঝে আলোর ভূত কে সরিয়ে দিয়েছে।
    পাড়া পড়শী পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসে কি হয়েছে মদন।
    মদন বলে ভুত ভুত বলে চিৎকার করতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা বলে স্বপ্ন দেখে এমন করছে
    কোথায় ভূত ।
    মদন বলে ভূতটি আমার বুকের উপর দিয়ে আলো জ্বালিয়ে চলাফেরা করছিল।
    পরিবারের সদস্যরা বলে স্বপ্ন দেখেছি ঘুমিয়ে পড়।

    ভূতের রহস্য হলো সুমন রাতে বড় ধরনের একটি কোলা ব্যাঙ ও জোনাকি পোকা সংগ্রহ করে একটি সাদা প্লাস্টিকের প্যাকেটের মধ্যে একত্রে রেখে প্যাকেটের মুখ বেঁধে দেয়। সুুচ দিয়ে ছিদ্র করে কয়েক জায়গায়।
    রহস্য হচ্ছে জোনাকি একবার আলো জ্বালায় আবার আলো নিভিয়েে দেয় আর ব্যাঙ আলো দেখেে লাফাতে শুরু করে।
    *******************************************
    গল্প সমাপ্ত



    শংকর হালদার শৈলবালা


Your Rating
blank-star-rating
Lata Biswas - (28 July 2020) 5
ভীষণ সুন্দর ছোট গল্প ভাল লেগেছে

1 0