"অনুসন্ধান"
✍সুস্মিতা মালাকার ঘোষ
ঝিলিক আর রাজীবের মাঝের
অবস্থানগত দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়, চার দেওয়ালের মধ্যেই তাদের বাস
কিন্তু মনের ব্যবধান যে বিশাল..
কয়েক আলোকবর্ষ যেন ঢুকে আছে
ওদের দুজনের মন ও
মানসিকতার মাঝখানে,
সামাজিক পরিচয়ে ওরা কিন্তু স্বামী-স্ত্রী, এরকম লাখ লাখ স্বামী-স্ত্রী আছে বোধহয়
আজকের এই সমাজের বুকে,
যাদের ঠিকানাটা মানে
পোষ্টাল অ্যাড্রেস কিন্তু এক
অথচ তাদের মাঝে অবস্থান করছে
যেন চীনের মহা-প্রাচীর;
তারা যেন সমান্তরাল রেখার মতো
চলতে হয় বলে চলছে শুধুই
মাইলের পর মাইল
হাঁটছে শুধুই গন্তব্যহীন পথে;
তারা জানে তাদের দুজনের পথ
কোনদিনই এক হবে না,
তাদের মেলার জন্য নেই
কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুও,
সারাজীবন তারা মনের ব্যবধানের সাথে
চলতে থাকবে,চলতেই থাকবে, জীবনের বাকি থেকে যাওয়া পথটুকুতে;
আচ্ছা, গল্পটা তো অন্যরকমও
হতে পারতো- পারতো না কী?
কেন এ পৃথিবীতে ঠিক মানুষের জন্য
সঠিক মাপের ও মনের আরেকটা মানুষ
তৈরি হয় না?
বিপরীত মানসিকতার দুটো মানুষকে
বিবাহ সূত্রে বেঁধে দিলেই কি
সব কিছুর সমাধান হয়?
হয় না,
বরং জটিলতা বেড়েই যায়
বহু বহু বহু গুণ....
কিন্তু প্রথা চলে আসছে
আবার অনেক সময় দেখা যায় জেনে-শুনে-চিনে-বুঝেও
একে অপরকে সঙ্গী হিসেবে নির্বাচন
করার পরও,
মনের ব্যবধান কিন্তু
বাড়তেই থাকে,
বাড়তেই থাকে শুধু....
এই মন হয়েছে
এক মহা ঝামেলার বস্তু,
এই পৃথিবীতে ক'জন,
ক'জনের মনের মতো হয় -
তা কী কেউ বলতে পারে?
তার চেয়ে বরং
চলতে থাকুক অনুসন্ধান,
যদি কখনো হিসেবটা মিলে যায়.....